বুধবার, ২৬ জুন ২০১৩
ওয়েব ক্যামেরার ছবি অজান্তেই চলে যায় কালোবাজারে!
Home Page » বিজ্ঞান-প্রযুক্তি » ওয়েব ক্যামেরার ছবি অজান্তেই চলে যায় কালোবাজারে!বঙ্গ-নিউজ ডটকম: সাইবার হামলাকারীরা নানাভাবেই একজনের কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে। এমনকি ওয়েব ক্যামের মাধ্যমেও। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনে ব্রিটেনের কিশোরীদের অজান্তেই ওয়েবক্যামের মাধ্যমে নজরদারি করছে হ্যাকাররা। সম্প্রতি বিবিসি রেডিওর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।বিশেষজ্ঞরা জানান, হ্যাকাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিশোরীদের কম্পিউটারে এক ধরনের ভাইরাস পাঠায়। এগুলো তাদের অজান্তেই নজরদারি চালায়। ওয়েবক্যামেরায় ধারণ করা ছবি ব্যবহারকারীর অজান্তেই চলে যায় হ্যাকারের কাছে।
বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, এ কিশোরীদের ছবি নিয়ে কালোবাজারে এক ধরনের ব্যবসারও প্রচলন রয়েছে। অজ্ঞাতে তোলা ছবিগুলো বিক্রি হয় কয়েক পাউন্ডের বিনিময়ে। হামলার শিকারকে ‘দাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সাইবার অপরাধীরা।
লন্ডনের ১৬ বছর বয়সী এক হ্যাকার বিবিসি রেডিওর কাছে স্বীকার করে বলে, আমি আসলে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নিয়ে হ্যাক করিনি। অনেক সময় নিশানাকৃত কম্পিউটারে বীভত্স ছবির ওয়েবসাইট দেখিয়ে তাদের ভয় দেখাতাম। মজা পাওয়ার জন্যই এ কাজ করেছি।
ই-মেইলে ছোটখাটো সফটওয়্যারের লিংক পাঠিয়ে তা ডাউনলোড করতে প্রলুব্ধ করা হয় কম্পিউটার ব্যবহারকারী কিশোরীকে। ই-মেইল লিংক গুলোয় সাধারণত সেলিব্রিটিদের খবর বা কিশোরীদের আকর্ষণীয় কোনো বিষয়ের তথ্য থাকে। লিংকে ক্লিক করার পর কম্পিউটারে দূর নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সফটওয়্যার ইনস্টল হয়। এতেই কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সাইবার দুর্বৃত্তদের কাছে।
ব্রিটেন সরকারের কর্মকর্তা টনি নিয়েট বলেন এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার সময় এসেছে। অনেক নির্দোষ টিনএজার তাদের অজান্তেই হামলার শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে পুরনো কম্পিউটার, যেগুলোর অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার হালনাগাদ করা থাকে না।
এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থতি ঠেকাতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, ব্যবহার না হলে ওয়েবক্যামটি কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। নিয়মিত হালনাগাদ করা অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
এ বিষয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, সাইবার হামলার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ওয়েবক্যাম হ্যাক করার বিষয়ে জানতে পারেন তারা। কারও কম্পিউটারে অনুপ্রবেশের ঘটনা কম্পিউটার অপব্যবহার আইনের চোখে অপরাধ হিসেবে গণ্য।
ওয়েবক্যামের মাধ্যমে হ্যাকিংয়ে অন্যতম আলোচিত অপরাধী ৩৬ বছর বয়সী ম্যাথু অ্যান্ডারসন। সে ২ লাখের বেশি কম্পিউটার হ্যাক করে ১৮ মাস কারাদণ্ড ভোগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫:৫৪ ৪৫৮ বার পঠিত