শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

“রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ
শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯



 

জালাল উদদীন মাহমুদ

৮২তম পর্ব–
ডেমাজানি শাখা ,বগুড়া -৪১ , ”আম নিয়ে বিড়ম্বনা”-৩

ভদ্রলোক স্যার ”ভাল আমের নাম ল্যাংড়া হবার কাহিনী “ আর শুরু না করে সাথে সাথে প্রসঙ্গ পাল্টালেন।
-তো এবার বলেন কি জন্য এসেছেন।
-স্যার আমার বাড়ী বগুড়া । কিন্তু পটুয়াখালীতে বদলী হয়েছি। বাসায় খুব অসুবিধা স্যার। ছেলে মেয়েরা সব বগুড়ায় পড়ে। বাসায় বাজার করে দেবার মতোও কেউ নাই। এতদুর থেকে আমিও বারবার আসতে পারিনা। এত কষ্ট আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। কাদোঁ কাদোঁ স্বরে দুলাল সাহেব বললেন। এরপর স্যারের হাত ধরে তাকে বদলী করার জন্য বারবার কাদোঁ কাদোঁ স্বরে আর্জি জানাতে থাকলেন।
ম্যাডাম শান্তনা দিয়ে বললেন -কাঁদেন না। আমি বিষয়টি দেখবো। আপনার স্যারকে মনে করিয়ে দিব। তার পর উঠে এসে দুলাল সাহেবের পাশে বসে বললেন-
ভাই আপনার আনা এ হিম সাগরআম আমার খুব পছন্দ। আমার বোনেরও খুব পছন্দ। বোনের শ্বশুর বাড়ীতেও দিতে হবে। । আরো ঝুড়ি চারেক আম কি পাওয়া যাবে?
আরো চার ঝুড়ি আম দুলাল সাহেব কনফার্ম করলো।
প্রত্যেক বছরই আমার মায়ের বাড়ীতে কিছু আম পাঠাতে হয়। ভাই আবার আলাদা থাকে । তাই তাকেও আলাদা দিতে হয়। আপনার স্যার এখন শুধু আম নিয়ে গবেষণা করেন আর যাকে পান তাকেই আম সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন। বলতে গেলে এটা তার একপ্রকার হবি। কিন্তু উনি আম কেনেন না। ভাগ্য ভাল যে নিজে এখন তেমন একটা আম খান না। তবে ডায়াবেটিস হবার আগে উনি আমের মৌসুমে শুধু তিন বেলা আম খেয়েই কাটাতেন । ম্যাডাম এবার স্যারের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন। তার পর ভাবে গদগদ হয়ে বললেন –হ্যাঁ গো , আমরা কেন এত আম চাই তার কারণ জানাতে হবে না ? ইনাকে তুমি আমের উপকারিতা বুঝিয়ে বলেছ ?
সাপোর্ট পেয়ে স্যার গড় গড় করে এক নাগাড়ে বলা শুরু করলেন-
দেখেন আমের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। পর্যাপ্ত চিনি, ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে এই ফলে। আরো আছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এ ভিটামিন শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে সতেজ রাখে । রাতে ঘুম আসতে সাহায্য করে। আমে অনেক খনিজ লবণ আছে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করে আমের এ সব খনিজ লবণ । এ ছাড়াও আমে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। জানেনই তো আঁশ-জাতীয় ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । আম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের জ্যোতি বাড়ায়, দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষা করে, হজম শক্তি বাড়ায়। বুদ্ধি ও শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য আম ভীষণ প্রয়োজনীয়। এবার বুঝলেন তো আমার বাসায় আম কেন সবাই এত পছন্দ করে? ম্যাডাম একজন পরোপকারী মানুষ। এত গুণধর ফল আম উনি আত্মীয় –স্বজনদের মধ্যে না বিলিয়ে থাকতে পারেন না।
তার পর দুলাল সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন ,- আরো ঝুড়ি চারেক আম কি পাওয়া যাবে?
আরো চার ঝুড়ি আম দুলাল সাহেব পুনরায় কনফার্ম করলো।
স্যার ম্যাডামকে জানালো ইনি এরপর ল্যাংড়া ও ফজলী আমও আনবেন। এ ছাড়া আরো কিছু লোক আছে – তারাও আনবে। শুনে হাসি হাসি তৃপ্ত মুখে ম্যাডাম জানালো তাহলে তার বোন, ভাই ও পাশের বাড়ীর জন্য আলাদা করে যেন আনা হয়। তারপর আঁচলে চোখ মুছে বললেন একটাই বোন আমার তার উপর আবার বড় ঘরে বিয়ে হয়েছে। শ্বশুর বাড়ীতে তার একটা মান সন্মান আছে না।
আগের ধারণা পাল্টে এ সময় আমার মনে হলো- শুধু স্যার নয় ম্যাডামের গোটা গুষ্টিই ১০০০% খাঁটি আম -খাদক । কোন আমলে কোন বাঙালী ফ্রি পেয়ে আলকাতরা খেয়েছিল -তার উপর আমার ভীষণ রাগ হলো। ফ্রি পেয়ে খাওয়ার নেশা বোধ হয় সেই-ই ধরিয়েছিল ।
যা হোক এর পর স্যারের দিকে তাকিয়ে ম্যাডাম রাগতঃ স্বরে বললো কি ,তুমি কিছু বলছো না কেন?
স্ত্রীর কথায় স্যার আবার মুখ খুললেন ।
-দেখুন দুলাল সাহেব কতবার এ সময় অনেক আম পেয়েছিলাম। এবার কেন জানি তেমন কেউ আর আম নিয়ে আসছে না। সবার সব কাজই তো আর আমি করে দিতে পারি না। আপনাদের এমডি আবার তেমন সুবিধার না। অন্যের তদবীর শুনতে চায় না। তারপরও দেখব , আমি দেখব । কিন্তু আপনি ঠিক-ঠাক মত আম আনবেন তো?
-অগত্যা দুলাল সাহেব ঠিক-ঠাক মত আম আনতে আবারো রাজী হলো। স্যার বললেন আরো কিছু দিন থাকেন ওখানে। আমের মৌসুম যাক-তখন বদলীর বিষয়টি দেখবো। আম নিয়ে আসবেন- , আপনার জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে।
দুলাল সাহেব তো বাসার ঠিকানা জানতেনই তবু ম্যাডামের নির্দেশে স্যার আবার ভাল করে দুলাল সাহেব কে একটা রঙীন কাগজে তার বাসার ঠিকানা লিখে দিলেন। স্যারের নিজের হাতে লেখা সে ঠিকানাটা কেন জানিনা পরবর্তীতে দুলাল সাহেব তার মানি ব্যাগে যক্ষের ধনের মত আগলে রাখতেন। এ গল্প বলার সময় সবাইকে বের করে করে দেখাতেন। পরম ভালবেসে এক সময় ঠিকানা লেখা সে কাগজটি আমাকে চিরতরে দিয়েও দিয়েছিলেন। অভাগা আমি –সে কাগজটির কোন হদীসই আজ আর খুঁজে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে প্রথম দিনই সেটা আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম। ইস্ ! ঠিকানাটা যদি থাকতো তবে বিনা কাজেই স্যারের বাসায় আমি এখনকার জনপ্রিয় রসে ভরপুর হাঁড়িভাঙ্গা আম রংপুর থেকে এনে আমের মৌসুমে স্যারের বাসায় গিয়ে স্যার বা তার বংশধরদের হাতে পৌঁছে দিতাম।আর দুলাল সাহেবের মতই রসিয়ে রসিয়ে সে কাহিনীর হাঁড়ি হাটে ভেঙ্গে দিতাম। থাক ,আমার দুঃখ আমার মনের মাঝেই থাক , দুলাল সাহেবের সেদিনের কাহিনীতেই আবার ফিরে যাই।
ঠিকানাটা হাতে নিয়ে স্যার ও ম্যাডাম কে পুনরায় ছালাম জানিয়ে দুলাল সাহেব বের হয়ে আসলেন। এমন সময় ভদ্রলোক স্যার তাকে ডেকে একসাথে সিঁড়িতে চলতে চলতে কথা বলা শুরু করলেন- ও আর একটা কথা ,আপনার সাথে ,আর একজন কে যেন এসেছিলেন না ? ভদ্রলোকের আক্কেল দেখেন একজন ভদ্রলোকের বাসায় খালি হাতে এসেছেন । গিন্নীর কাছে আমার একটা সন্মান আছে না। সে ভাববে কি সব লোকজন বাসায় আসে- কার্টেসি জানে না। আর আপনিই বা দুজন আসলেন কেন ? এ সব কাজে সাক্ষী রাখতে হয় না। দুলাল সাহেব জানালেন উনি তার নিজের একটি তদবীরেই এসেছিলেন। স্যার কপালে হাত ঠুকে বললেন –ও তার নিজের তদবীর ছিল । তবুও দু জন এক সাথে আসতে হয় না। এর পর আপনি কিন্তু একাই আম নিয়ে আসবেন। ও ভদ্রলোককে কাল আসতে বলবেন । ঝুড়ি চারেক আম নিয়ে আসতে বলবেন । দুলাল ভাই এবার বলতে শুরু করেছিলেন , আমগুলি উনিই - , কিন্তু এটুকু বলতেই স্যার তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন , মনে আছে তো গিন্নীর ছোট বোনকে দিতে হবে, সবই তো শুনলেনই। পরে কি করবেন সে কথাতো পরে হবে। আগে নগদ কিছু তো আনতে হয়। নাকি ? দুলাল সাহেব মাথা নাড়লেন। দুলাল ভাইয়ের আর কথা বলার প্রবৃত্তি হচ্ছিল না । তবুও বললেন, ঐ ম্যানেজারের সাথে তার যে আর দেখা নাও হতে পারে । ভদ্রলোক স্যার বললেন চেষ্টা করে দেখেন যোগাযোগ করা যায় কি-না। আর একটা যদি তদবীর আনতে পারেন সেটা আপনার জন্যই তো ভাল। কি বলেন ? কি আর বলবে দুলাল সাহেব । শুধু হুঁ -হ্যাঁ করে স্যারের নিকট থেকে বিদায় নিলেন। বিদায় নেবার পরও স্যার দুলাল সাহেবকে আবার ডাকলেন। বললেন আর একদিন যখন আবার আসবেন , তখন আমের পুরা ইতিহাস আপনাকে জানাব । বিশেষ করে ,ভাল আমের নাম ল্যাংড়া কেন হলো – সে কাহিনী? এখন না হয় রিটায়ার্ড , আগে তো ছাত্র পড়ানোই ছিল আমার পেশা। আপনাকে আমি সুন্দর করে বুঝিয়ে দিব। নাকি এখনই এখানেই বুঝিয়ে দিব ? শুনবেন আপনি ?
দুলাল সাহেবের কেন জানি মনে হলো স্যারের কোথাও জানি একটা গোলমাল আছে। ভাল আমের নাম ল্যাংড়া কেন –তা সে জানতে চায় কিন্তু এই গেটে দাঁড়িয়ে ? সবকিছুরই তো একটা স্থান-কাল-পাত্র ভেদ আছে –নাকি ?–আজ নয় স্যার আর একদিন না হয় শুনবো-দুলাল ভাই আন্তরিকতার সাথেই উত্তর দিলেন। । স্যার মনে হয় দুলাল সাহেবের উত্তর শুনে কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন । বললেন –আপনাদের তো জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ নাই ।জানেন রবীন্দ্রনাথ আমকে কত ভাল বাসতেন ? আমকে এমন ভাল না বাসলে সাহিত্যের আসল-নকলের প্রভেদ বোঝাতে গিয়ে তিনি কি সাহিত্যে আমের প্রসঙ্গ আনতেন ? রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতায় অমিত রায় বলেছিল, “কবিমাত্রের উচিত পাঁচ-বছর মেয়াদে কবিত্ব করা, পঁচিশ থেকে ত্রিশ পর্যন্ত। এ কথা বলব না যে, পরবর্তীদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু চাই, বলব অন্য কিছু চাই। ফজলি আম ফুরোলে বলব না, ‘আনো ফজলিতর আম।’ বলব, ‘নতুন বাজার থেকে বড়ো দেখে আতা নিয়ে এসো তো হে।’’ এমন উচ্চু স্বরে অভিনয়ের মত করে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে লাইনগুলি বললেন যেন তিনি কবিতা আবৃত্তি করছেন।

স্যার বোধ হয় আরো কিছু বলতে চাচ্ছিলেন কিন্তু ম্যাডাম আরো উচ্চ স্বরে তাকে ঘরের ভিতরে আসতে বললেন। স্যার কাল বিলম্ব না করে হাত মিলায়ে দুলাল সাহেবকে বিদায় দিয়ে দ্রুত পায়ে বাসায় ঢুকে গেলেন।
দারোয়ান গেট খুলে দেবার সময় বললো ,স্যার আমাকে কিছু বকশিস দিতেন না? দুলাল সাহেব তাকে ৫০ টি টাকা দিলেন। দারোয়ান খুশী হয়ে বললো –হক্কলেই শুধু স্যারেরে দ্যায়। আমাগো দিকে তাকায় না। আপনি বহুত ভালা মানুষ । তারপর সে ফিস ফিস করে বলে উঠলো -অ্যারা সোয়ামী-বউ আছে শুধু মানুষ ঠকানোর তালে। সব অফিসে তাগো দালাল আছে। দেখ্খ্যাই তো বুঝবার পারি আপনি ভালা মানুষ । হ্যাগো কোন কুথাই যেন বিশ্বাস করেন না। ঠকবেন কইলাম।
দারোয়ানের কথাটা দুলাল ভাইয়ের খুব মনে ধরলো। হঠাৎ মনে হলো তারা তো তার কোন পার্টিকুলার্স নেয় নাই। শুধু তাদের বাসার ঠিকানা দিয়েছে। তাহলে বদলী করবে কেমনে। বগুড়ার এক পিয়ন তাহলে তাকে ভুল বোঝায়েছিল। মাহবুব সাহেবও তো দেখছি একই পথের যাত্রী।

রাতে কমলাপুরের এক হোটেলে থাকলেন দুলাল সাহেব। রাতে সে হেটেলে আবার বগুড়ার অগ্রণী ব্যাংকের নেতা গোছের একজনের সাথে দেখা। তিনি কাল সকালে বগুড়ার পথে রওনা দিবেন। দুলাল সাহেব তাকে আজকের সব ঘটনা খুলে বললেন। শুধু ঐ বাড়ীর দারোয়ানের মন্তব্যটি বাদ দিলেন। ঘটনা শুনে সে নেতা বলে উঠলো বাহ্ঃ মাহবুব সাহেবের আম আর দুলাল সাহেবের কাম। নেতা গোছের সে ভদ্র লোক বগুড়ায় যাবার দুই দিনের মধ্যে যখন দুলাল সাহেবের বগুড়ার নিকটবর্তী সিরাজগঞ্জে বদলীর খবর পেলেন –তখন তার শোনা কাহিনী যার সাথে দেখা হলো তাকেই বলতে লাগলো । দুলাল সাহেব সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়াতে যোগদানের আগেই কথাটি রাষ্ট্র হয়ে গেল। অন্যদিকে মাহবুব সাহেবের নামে বগুড়ায় শাস্তিমূলক লেটার আসাতে বিষয়টি আরো বেশী প্রচারনা পেল। কারন মাহবুব সাহেব শাস্তি ঠেকাতেই ঢাকায় ভুলস্থানে আম নিয়ে গিয়েছিলেন।মাহবুব সাহেব ও দুলাল সাহেবের এ কাহিনী জানাজানি হবার পর কারো একই ধরনের ঘটনা ঘটলেই একে অপরকে বলতেন ,জানেন তো মাহবুব সাহেবের আম আর দুলাল সাহেবের কাম।

দুলাল সাহেবের বদলীর প্রকৃত কাহিনীটিই তো বলা হয়নি। সেদিন দারোয়ানের কথা শোনার পর দুলাল ভাই কমলাপুর আসতে আসতে অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করেছিল তিনি আগামীকাল হেড অফিসে যেয়ে নিজে নিজেই তদবীর করবেন। সত্যি সত্যিই সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে তিনি তার দুঃখ তুলে ধরলেন। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা সহ সবাই নাকি সহানুভূতি দেখিয়েছিল সেসময়। তিনি এমডি স্যারের সাথে দেখা করেন। স্যার তার দুঃখ কষ্ট শুনে আবার তাকে বগুড়ার কাছাকাছি বদলী করতে রাজী হন। যা হোক শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে বদলী অর্ডার নিয়ে তার পর পটুয়াখালী যেয়ে রিলিজ অর্ডার নিয়ে ৭ দিনের মাথায় তিনি আবার সিরাজগঞ্জ তে এবং পরবর্তীতে বগুড়াতে যোগদান করেন। কিন্তু দুলাল সাহেবের বদলীর এ প্রকৃত কাহিনী চাপা পড়ে যায়। সবাই মনে করতে থাকে সেই আম-বিভ্রাটই এর কারণ। শুধুমাত্র দুলাল সাহেবের কষ্ট লাঘব করার জন্য হেড অফিসের যে ডিজিএম সাহেব তাড়াতাড়ি এ কাজটি করে দিয়েছিল সে সবাইকে এ ঘটনা বলতে দুলাল সাহেবকে নিষেধ করেছিল। বলে দিয়েছিল সে যেন বগুড়ায় যেয়ে বলে কেমনে অর্ডার হয়েছে তা সে জানেনা । আড্ডা -পাগল দুলাল সাহেব কতদিন আর কথা গোপন রাখতে পারে ? বছর খানেক বোধ হয় গোপন রেখেছিল। কিন্তু ততদিনে অবশ্য সে সময় বগুড়ার অগ্রণী ব্যাংকে প্রবাদ বাক্য হয়ে গেছে-মাহবুব সাহেবের আম আর দুলাল সাহেবের কাম।(ক্রমশঃ)

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৬:৩৭   ৬৩৯ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #