শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

সুরেশ্বরী নদীতে চড়ম নাব্যতা,খরার আশংকায় চাষীরা!

Home Page » বিবিধ » সুরেশ্বরী নদীতে চড়ম নাব্যতা,খরার আশংকায় চাষীরা!
শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯



জমিতে সেঁচের অভাবআল-আমিন আহমেদ সালমান, স্টাফ রিপোর্টার বঙ্গ-নিউজঃসুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার সুরেশ্বরী নদীতে চড়ম নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।নাব্যতার কারনে বরো ফসলে খরার উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য চাষীরা খরার আশংকায় হতাশ।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে লক্ষ্য করা গেছে,সুরেশ্বরীতে চড়ম নাব্যতায় নদীর পানি শুকিয়ে ফাটল ধরে ফেলেছে।নদীর পাড়ের জমিত গুলোতে পানির সেঁচ দেওয়া যাচ্ছেনা।যারফলে মধ্যনগর,চামরদানীও বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের  রোপনের শুরুতেই সেঁচের অভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা শত শত একর বোরো ফসল চাষাবাদের জমি।

বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মোহাম্মদ  আলীপুর গ্রামের কৃষক মো.নুর আলম জানান,শবেমাত্র আমি ৫ কেয়ার জমিতে বোরো ফসলের আবাদ রোপন করেছি।রোপনের পর নদীতে পানি না থাকায় জমিতে আর সেঁচ দিতে পারছিনা।এখন যদি সময় মতো জমিতে সেঁচ দিতে নারি পারি তাহলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হব।
রৌহা গ্রামের কৃষক আবুল কাসেম বলেন,আমাদের কুড়ির হাওরটির সেঁচের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে সুরেশ্বরী নদীর পানি। নদীতে পানি না থাকাতে চড়ম হতাশায় আছি। জমিতে সেঁচ দিতে না পারলে ফসল ফলানো সম্ভব নয়।মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে জমি চাষাবাদ করেছি।আর ফসল উৎপাদন করে যদি ঘরে তুলতে না পারি তাহলে পরিবার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।
অন্যদিকে হাওর গুলোতেও পানিশূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।যার বিকল্প ব্যাবস্থা হিসেবে প্রচুর টাকা খরচ করে মাটির ভূগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলন করে জমিতে সেঁচের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।অনেক স্থানে মাটির নিচ থেকে পানি উত্তোলন করা সম্ভব  হচ্ছেনা।সেইসাথে দেখা দিয়েছে অনাবৃষ্টি, এতে চড়ম হতাশায় হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা।

এই বিষয়ে মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার জানান,আমাদের মধ্যনগর অঞ্চলটি হাওর-নদী অধ্যুুষিত।এক সময় সুরেশ্বরী নদীতে সারা বছর লঞ্চ,বলগেট ও মালবাহী নৌকা চলাচল করত।কিন্তু বর্তমানে আমাদের এই নদীটিতে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়াতে নৌযান চলাচলের যেমন ব্যাঘাত ঘটছে এর ছেয়ে বেশী আশংকায় আছেন কৃষক ভাইয়েরা।কারন সুরেশ্বরীর পারের জমিগুলোতে সঠিক সময়ে সেঁচ দেওয়া যাচ্ছেনা।অনতিবিলম্বে সুরেশ্বরী নদীটি খনন করা হলে নদী ফিড়ে পাবে তার নাব্যতা,অকাল বন্যা থেকে রক্ষা পাবে কৃষকের ফসল।এবং আমার কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৮:০১   ৬৬৭ বার পঠিত