বুধবার, ২৬ জুন ২০১৩
অভিযান চলছে - আশিয়ান সিটির নজরুলকে ধরতে
Home Page » জাতীয় » অভিযান চলছে - আশিয়ান সিটির নজরুলকে ধরতেবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ঢাকা: আশিয়ান সিটির পলাতক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের তালাশে এ পর্যন্ত পরিচালিত বেশ ক’টি অভিযান ব্যর্থ হলেও শিগগিরই তাকে ধরা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।গত কয়েক দিনে নজরুলের বাসভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর প্রকল্প এলাকায় অভিযান চালিয়েও তার টিকিটিও খুঁজে পায়নি পুলিশ। বহু কাজের কাজী এই ভূমি ব্যবসায়ী গোয়েন্দাদের চোখও ফাঁকি দিচ্ছেন বিভিন্ন কৌশলে।
তাই অনেকটাই সাবধান পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কৌশলে জাল বিছাচ্ছে তারাও। অব্যাহত অভিযানের মুখে শিগগিরই তাকে পাকড়াও করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তারা।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) সদস্যকে মারধর, হত্যার চেষ্টা এবং তাদের মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকেই পলাতক আছেন নজরুল।
তিনি ছাড়াও ফেরারি একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলামসহ আরো ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এরা হলেন- মোশারফ, বদি, সেলিম হাওলাদার, আজমত, বাচ্চু হাওলাদার, জাকির হোসেন, ফারুক, শাহীন, রাজ্জাক ও নুর আলম।
এর আগে তাদের নামে মামলা হলে আদালত তদন্ত করে ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ডিজিএফআই সদস্য করপোরাল আবু তাহের দণ্ডবিধির ৩৪২/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/৩৭৯/৩৪/১০৯ ধারায় গুলশান থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় সরকারি কাজে তথ্য সংগ্রহ করতে করপোরাল আবু তাহের ও সাইফুল ইসলাম নামে ডিজিএফআই’র দুই সদস্য আশিয়ান সিটি অফিসে গেলে চেয়ারম্যান ও এমডিসহ এজাহার নামীয় ১২ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮ আসামি মিলে তাদের আটক করে সরকারি কাজে বাধা দেন, হত্যার চেষ্টা করেন এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্র কেড়ে নেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, তারা ডিজিএফআই’র সদস্য বলে পরিচয় ও আইডি কার্ড দেখালেও আশিয়ান সিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ অপর আসামিরা তাদের অন্যায়ভাবে আটক করে ও মারধর করেন।
খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মামলা দায়েরের সময়ও তারা ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়।
ওই মামলার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) আবদুল বারিক এর আগে জানিয়েছিলেন, মামলা দায়েরের পর আশিয়ান সিটির অফিসে অভিযান চালিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় নি।
আশিয়ান সিটির চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১২ আসামির অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সুত্রঃ বাংলা নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৫:৪১ ৫১৪ বার পঠিত