সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯

“রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “জালাল উদদীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “জালাল উদদীন মাহমুদ
সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯



 

জালাল উদদীন মাহমুদ

৫৬ তম পর্ব–
ডেমাজানি শাখা ,বগুড়া -১৫।
মোহাম্মাদ হোসেন নামক একজন আমলাকে ১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। উনি বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারী ছিলেন। মোগল আমলে কে দিল্লীর বাদশা হলো তা নিয়ে গ্রামের সাধারণ জনগনের নিশ্চয় মাথাব্যথা ছিলনা। আমরা থাকতাম গ্রাম এলাকায়। ব্যাংকের কে এমডি হলো তা নিয়ে জোনাল হেডের মাথাব্যথা থাকলেও সে সময়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা একদমই ছিল না। তবে মোহাম্মাদ হোসেন স্যার এম ডি হবার কয়েক মাস পর তাকে নিয়ে গ্রামীণ শাখাসমূহেরও মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল । স্যার সরাসরি দুরদুরান্তের শাখাসমূহ ভিজিট করতেন। সামান্য ত্রুটি পেলেই দুরের কোন জেলায় বদলী কনফার্ম। এ কথাটা তড়িৎ বেগে সারা দেশে চাউর হয়ে গিয়েছিল। তবে আমাদের ডেমাজানী শাখায় স্যারের যে সিদ্ধান্ত নগদে আলোড়ন তুললো –তা হলো বেশী কৃষিঋণ রয়েছে-এমন শাখা সমূহে উনি একজন করে প্রধান কার্যালয় থেকে কর্মকর্তা নিয়োজিত করে দিলেন তার একমাত্র কাজ হলো কৃষি ঋণ আদায়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬- এ কয়েক বছর বাংলাদেশে কৃষিঋণ বিতরণের প্রধান প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং সমবায় সমিতিসমূহ।
কৃষিঋণের সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ দেয়ার কাজে সম্পৃক্ত করে সরকার। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রায় সবক’টি গ্রামীণ শাখা কৃষিঋণ বিতরণে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। এতে অবশ্য প্রসার ঘটে কৃষিঋণের। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর গ্রামীণ শাখার মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণের মোট পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি টাকা। নয় বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯৮৪-৮৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় (২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকায়। মোহাম্মদ হোসেন স্যার যখন অগ্রণী ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগদান করেন। তখন রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে নিঃসন্দেহে অনেক খেলাপী ঋণের সৃষ্টি হয়েছিল। তাছাড়া হঠাৎ এসব ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণের দ্বায়িত্ব দেয়া হলেও এ বিষয়ে পযার্প্ত ট্রেণিং বা নির্দেশিকা ছিল না। কৃষি ঋণ আদায় করতে পি ডি আর অ্যাক্ট নামক আইনের সহায়তা নিয়ে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করতে হয়। এছাড়া জামানতবিহীন এ সব ঋণ খুব দ্রুত তামাদি আইনে বারিত হয়ে পড়তো। তামাদি আইনে বারিত হয়ে পড়লে তা আর আইনের আওতায় আদায় যোগ্য থাকেনা। সব দায়- দায়িত্ব পড়ে ম্যানেজারের উপর। ম্যানেজারের পেনশন থেকে তার আমলে সৃষ্ট তামাদি ঋণের টাকা কেটে রাখা হয়। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যাংকারদের কৃষিঋণ বিষয়ে তেমন জ্ঞান ও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। মোহাম্মদ হোসেন স্যার এমডি হিসেবে যোগদান করে এ সব বিষয়ের উপর পুস্তিকা রচনা করে সারা দেশের ব্যাংক শাখা সমূহে পাঠিয়ে দেন। খয়েরী রংয়ের এসব পুস্তিকা খুঁজলে এখনও শাখা সমূহে পাওয়া যাবে। রুরাল ক্রেডিট সুপারভাইজার ও মাঠ সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়। স্যার সম্ভবতঃরাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে হঠাৎ সৃষ্ট বিপুল পরিমান খেলাপী কৃষিঋণ নিয়ে উদ্বিগ্ণ ছিলেন। তাই হয়তো তিনি বেশী খেলাপী কৃষিঋণ রয়েছে-এমন শাখা সমূহে একজন করে প্রধান কার্যালয় থেকে কর্মকর্তা নিয়োজিত করে দিয়েছিলেন।

কৃষি ঋণ আদায়ের জন্য হেড অফিস থেকে ডেমাজানি শাখাতেও একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত করা হলো। আমাদের শাখায় আসলেন নজির আহমেদ স্যার । যার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছি। তিনি তখন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। আদি বাড়ী কক্সবাজরের চকোরিয়া উপজেলায়। চট্টগ্রামের হালিশহরে সেটেল্ড। পরবর্তীতে নারায়নগন্জের কোর্ট রোড শাখার ম্যানেজার , কুমিল্লা অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান এবং চট্টগ্রামের সার্কেল ডিজিএম হিসাবেও কর্মরত ছিলেন। সম্ভবত ১৯৬৮ সালে ব্যাংকে যোগদান করেছিলেন। অতিসজ্জন ব্যাক্তি। অবসর সময়ে এবাদত –বন্দেগী ছাড়া তাকে আর কিছু করতে দেখি নাই। আমাদের বাড়িতেই থাকতেন। দ্বায়িত্ব পালনে সামান্য ক্রটিও নেই। যতদুর মনে পড়ে মাসে ১০/১৫ দিন এ কাজে উনি শাখায় অবস্থান করতেন । পরবর্তীতে আমার সাথে অনেকটা আত্মীয়তার সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। শাখায় এসেই কৃষিঋণ আদায়ে উনি পুরাপুরি মনোনিবেশ করলেন।

স্যার একদিন বললেন এখন থেকে সন্ধ্যার পরে তিনি এলাকার হাটগুলোতে কৃষিঋণ আদায়ের জন্য যাবেন। যেমন কথা ,তেমন কাজ। সিদ্ধান্ত হলো হাটের এককোনায় একটি টেবিল থাকবে, টেবিলের সাথে তিনটি চেয়ার থাকবে। দুটি চেয়ারে আমি ও স্যার পাশাপাশি বসবো। টেবিলের সামনের চেয়ারে ঋণগ্রহীতা বসবে। আমি স্থানীয় হলেও ঋণগ্রহীতাদের তখনও ঠিকমতো চিনে উঠতে পারি নাই। রফিক জানালো এতে অসুবিধা হবে না। রঞ্জু সাহেব আছে ,তাছাড়া সে স্বয়ং আছে। তার কথায় আশ্বস্থ হলাম। প্রথম দিন আমার বাড়ীর কাছের বিশাল দুবলাগাড়ী হাটে বসলাম। রফিক-রঞ্জু মিলে ঋণগ্রহীতাদের ডেকে আনছে। রফিকের সাথে অস্থায়ী পিওন রাজকুমার থাকতো । রাজকুমার অবশ্য ঋণগ্রহীতাদের চিনতো না। রফিক ঋণগ্রহীতাদের সনাক্তকরে রাজকুমারের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়ে আবার নতুন ঋণগ্রহীতা সনাক্তকরনের চেষ্টা করতো। রঞ্জু অবশ্য একাই কাজটি করতো। ঢাকার স্যার তাদের বোঝাতেন-উদ্বুদ্ধ করতেন। আমি ঋণগ্রহীতাদের কমেন্টগুলো রেজিস্ট্রারে লিখে রাখতাম।
প্রথমেই যদি কোন কৃষককে বলা হয় ঋণ আদায়ের জন্য হেড অফিসের স্যার আপনাকে ডাকছে, তাঁর কাছে যেতে হবে, তবে ঋণ গ্রহীতারা সহজে আসতে চাইতো না। উল্টো হাটের মধ্যে হাঙ্গামা হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতো। এজন্য স্যার বলে দিতেন- ঋণের কথা না বলে এমনি অন্য কিছু বলে তাদের তার সামনে একে একে হাজির করতে হবে। ঠিক ভাবেই সব হচ্ছিল। কিন্তু কিছু সময় পরেই এক নতুন বিপত্তি দেখা দিল-রফিক কর্তৃক হাজিরকৃত কৃষকদের বেলায়। মাঝে-মধ্যে সে ভেজাল ঋণগ্রহীতাদের হাজির করা শুরু করলো । দেখা যেত ,স্যার হাজিরকৃত কৃষককে ঋণ পরিশোধে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ৫/১০ মিনিট ধরে বুঝানোর কাজ শেষ করেছেন। এখন কবে শোধ দিবে এজন্য তার কমিটমেন্ট আদায়ে আমি ও স্যার যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বিভ্রান্ত কৃষক এসময় বলে বসতো
- তোমরা কিসের লোনের কথা কসছো বারে?
- কৃষিঋণের কথা, আপনি অগ্রণী ব্যাংক ডেমাজানি শাখা থেকে যে ঋণ নিয়েছিলেন তার কথা বলছি। আমি বলতাম।
-হামি তো কোনও লুন নেইনি। হামি ব্যাংকই চিনি না।
তলব করা হতো রফিককে। ঋণই নেন নাই তাকে কেন হাজির করেছে সে। রফিক বলতো আমি দেখছি স্যার।
রফিক-সত্যি করে বলো তুমি কৃষি ঋণ নিয়েছো কি না ?
কৃষক- সত্যি করে কচ্ছি হামি কোন লুন নেই নাই।
রফিক- তাহলে তোমার ভাই নিয়েছে। তোমার মতোই দেখতে। (এরপর আমাদের দিকে তাকিয়ে বলতো) আমি কনফার্ম স্যার।
কৃষক- হামার কুনো ভাইই নাই।
রফিক- (কিছুটা বিব্রত হয়ে) তুমি একদিন ব্যাংকে লোন নেয়ার জন্য এসেছিলে না? তোমাকে আমার স্পষ্ট মনে আছে, খবরদার মিথ্যা বলবে না।
কৃষক- হামি কোনও দিনও ব্যাংকে যাই নাই। ব্যাংক কুথায় হামি তা জানিই না বাবা।
রফিক- তোমাকে একদিন আমি ব্যাংকের ধার দিয়ে ঘুরতে দেখেছি। (আবার আমাদের দিকে তাকিয়ে) ইনি এখন মিথ্যা কথা বলছে স্যার। আমি একে ব্যাংকের ধার দিয়ে ঘুরতে দেখেছি।

ঢাকার স্যারের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতো। তিনি বলতেন- ব্যাংকের ধার দিয়ে ঘুরেছে কিনা সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো তিনি লোন নিয়েছেন কিনা। এ সময় রফিক এক ধাপে গলার স্বর নামিয়ে স্বগতোক্তি করার মতো বলে উঠতো- ঋণ বোধ হয় তাহলে নেয় নাই। ঢাকার স্যার কৃষকের হাত ধরে মাফ চেয়ে নিত। বলতো - ভুল করে আপনাকে ডেকে আনা হয়েছে। আর রফিককে বলতো- এ ভুল আর করবেন না। যান।
আমি কেবল একটা ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরলাম।

রফিক আবার বিশাল হাটের মাঝে ঋণী খুঁজতে বের হতো। আসলে সে ছিল ব্যাংকের ক্লার্ক , ফিল্ড আ্যসিসসট্যান্ট নয়। সবাইকে তার চেনার কথাও না। যেহেতু ঢাকার স্যার তাকে রাত্রি ৭ টা ১০ টার মধ্যে অন্তঃত ২০জন ঋণ গ্রহীতাকে হাজির করার টার্গেট দিত এবং ঋণগ্রহীতারা আদায়ের ব্যাপারে কথা হবে জানলে আসতে চাইতো না । তাই রফিকের জন্য কাজটা কঠিনই ছিল। ৪/৫ জনের পরপরই সে রাজকুমারের মাধ্যমে ভেজাল ঋণগ্রহীতা পাঠানো অব্যাহত রাখলো। আর ঢাকার স্যারও প্রথমে হাত মিল দিয়ে কেমন আছেন বলে, ঋণ পরিশোধের উপকারীতা সম্পর্কে বয়ান দেয়ার পর এক পর্যায়ে বিষয়টি উদঘাটিত হতো। তাই এ বিড়ম্বনা অব্যাহত থাকলো। আমি স্যারের বয়স ও পদমর্যদার তুলনায় এত ছোট ছিলাম যে, আমিও সিস্টেমটি ডেভেলপ করার বিষয়ে কোন মতামত দিতে সমর্থ ছিলাম না। আর স্থানীয় রফিক ছাড়া চোপীনগর ইউনিয়নের লোকজনদের আরো ভাল করে চিনে এমন কেউ ছিলনা। রঞ্জু তার নিজের আমরুল ইউনিয়নের লোকদের বেশ চিনতো ,তারাও এ হাটে আসতো। এ দুটি ইউনিয়নেই আমরা কৃষি ঋণ দিতে পারতাম। একদম লাগোয়া হলেও আমার বাড়ী অন্য একটা ইউনিয়নে।
সমস্যাটি প্রকট আকার ধারন করতো যখন গ্রামে গ্রামে আমরা রফিককে নিয়ে তার নিজের ইউনিয়নে ঋণ আদায়ে যেতাম। হঠাৎ এক একটা বাড়ীর সামনে যেয়ে রফিক বলতো- এ বাড়ীর লোক ঋণ নিয়েছে। হাঁক ছাড়তো- বাড়ীতে কে আছেন, বের হয়ে আসেন তাড়াতাড়ি। দিনে সাধারনতঃ স্ত্রীলোক ছাড়া আর কেউ থাকতো না। রফিক ঐ স্ত্রীলোকদেরই হুঁমকির সুরে বলতো- বাড়ীর মালিক আপনার কে হয়। উনি বলতেন - স্বামী। কখনও কখনও বাবা –ভাই এরুপ। রফিক বলতো - উনি বাড়ী আসলে ডেমাজানী অগ্রণী ব্যাংকে যেতে বলবেন। উনার লোন আছে। রফিকের এসব টার্গেট হাটের মতই মাঝে মাঝে ভুল হতো। ভুল ভাবে সনাক্ত কৃষকেরা মাঝে মাঝে ব্যাংকে যেয়ে নিশ্চিত হয়ে আসতো যে তার নামে কোনও ঋণ আদৌ আছে কিনা। পরে অবশ্য আমরা কৃষিঋণ গ্রহীতাদের ”ভিলেজ ওয়াইজ লিষ্ট “ তৈরী করে এ সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। এর আগে শাখায় শুধু ঋণের কর্মসূচী (যেমন , আমন , ইরি , আলু , সরিষা ইত্যাদি কর্মসূচী ) ওয়াইজ লিষ্ট থাকতো।

এরপর মাঠে কর্মরত কৃষকদেরও সে ডেকে আমাদের সামনে হাজির করতো। এক্ষেত্রে অবশ্য ভুল হতে তেমন দেখিনি। কারন সে জিজ্ঞাসাবাদের পর্যাপ্ত সময় পেত। মনে হয় হেড অফিস থেকে স্যারের প্রতি খেলাপী ঋণ আরো বেশী হারে আদায়ের তাগাদা আসতো। উনি আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করতেন। আমরা আবার কৃষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করতাম। আমরুল ও চোপীনগর এ দুটি ইউনিয়নে ভীষন চাপাচাপি শুরু হয়ে গেল। ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রায় সবাই লোকাল। ফলে কিছু ভুল ভ্রান্তি সত্ত্বেও আদায়ের হার বেড়ে গেল। গ্রামে গ্রামে ঋণ আদায়ের তাগাদা দেবার সময় এমন হতো যে আমাদের দেখে কোনও কোনও ঋণগ্রহীতা চোখের পলকে একদিকে দৌঁড় দিত। রফিক হয়তো তাকে ধরতে উল্টো দিকে দৌড় দিত। আমরা ডাকাডাকি করে দেখিয়ে দিতাম -ঐ যে যায়। আবার সে ঐ দিকে যেত। এলাকায় রফিকদের যে দাপট ছিল - তাও সে কাজে লাগতো। সে সময়ের কৃষিঋণ আদায়ের আরো কতো যে স্মৃতি আছে। কোন কোন স্মৃতি হাসির উদ্রেক ঘটালেও অধিকাংশই “স্মৃতি তুমি বেদনা” নামে হৃদয়ে একটি আলাদা ফোল্ডারে রয়ে গেছে। আপাততঃ দুটি ঘটনা খুব মনে পড়ছে।(ক্রমশঃ)

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৪:২৯   ৫৭০ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #