সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯

মহাজোটের শরিক দলের কারও কপালে জোটেনি নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান, মুখ খুললেন মেনন

Home Page » জাতীয় » মহাজোটের শরিক দলের কারও কপালে জোটেনি নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান, মুখ খুললেন মেনন
সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯



 

ছবি:ইন্টারনেট থেকে   বঙ্গ-নিউজ:  আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের শরিক দলের কারও কপালে জোটেনি নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান। ভিতরে ভিতরে এনিয়ে শরীকদের মাঝে কানাঘুষা চলছে। সব রাখডাক শেষে অবশেষে মুখ খুললেন ওয়ার্কস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন নতুন মন্ত্রিসভা ১৪ দলের নয়, এটি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা। শরিক দলগুলোকে কেন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি, তার কারণ জানেন না তিনি। মন্ত্রিসভা গঠনের আগে-পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনাও হয়নি বলে জানান এই নেতা।

ওয়ার্কস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মন্ত্রিসভায় না থাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন তাদের বাদ দিয়েছেন,সে বিষয়ে তারা কেউ অবগত নন বলে জানিয়েছেন শরিক দলগুলোর প্রভাবশালী বিদায়ী মন্ত্রীরা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোট কাউকে মন্ত্রী করার শর্তে গঠন করা হয়নি। মন্ত্রী হলে জোটে আছি, না হলে নাই- বিষয়টি এমন নয়। আর তা ছাড়া পাঁচ বছর অনেক বড় সময়। এর ভেতরে অনেক রদবদল হতে পারে। তখন জোট থেকে বা দলের ভেতর থেকে অনেকেরই ডাক পড়তে পারে।

এদিকে আদো তারা পুনরায় ফিরতে পারবেন কী না মন্ত্রিসভায়, তা নিয়ে চলছে দলগুলোর মাঝে আলোচন। তবে শরিক দলগুলোর একাধিক নেতার সঙ্গে নাম না জানানোর স্বার্থে কথা বলেছেন, দলের মাঝে এ নিয়ে এক ধরণের চাপা-ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কী জন্য তারা বাদ পড়লেন কর্মীদের কাছেও অজানা।

এর আগে, রবিবার (৬ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্যের তালিকা ঘোষণা করেন তিনি।

ঘোষণা অনুযায়ী বিদায়ী মন্ত্রিসভায় থাকা সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নতুন মন্ত্রিসভায় নেই। এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুও বাদ পড়েছেন।

মেনন আরও বলেন, তবে তার মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার নতুন মন্ত্রিসভায় তরুণদের বেশি স্থান দিতে চেয়েছেন। জোট শরিক নেতাদের স্থান না দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়তোবা বয়সের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছেন তিনি। কেননা আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলের অন্য শরিক দলগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশের বয়সই সত্তরের ওপরে। এটাও অন্যতম কারণ হতে পারে বলে জানান এই নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৩:১৭   ৫৯৯ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #