বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯

“রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ

Home Page » বিনোদন » “রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ
বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯



 

জালাল উদদীন মাহমুদ

৫২ তম পর্ব–
ডেমাজানি শাখা ,বগুড়া -১১।

ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত । ফাল্গুন এবং চৈত্র মাস মিলে হয় বসন্ত ঋতু। বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে শীত চলে যাবার পর এবং গ্রীষ্ম আসার আগে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় তাপমাত্রা বাড়তে থাকে কারণ পৃথিবী সূর্যের দিকে হেলে থাকে। পৃথিবীর অনেক প্রান্তের মত বাংলাদেশেও এই ঋতুতে ফুল ফুটে, নতুন গাছের পাতা গজায়, নতুন গাছের জন্ম হয়। শীতের জড়তা কাটিয়ে প্রকৃতি নতুন করে জেগে ওঠে। রঙে ঝলমল বাংলার নিজস্ব ফুল কৃষ্ণচূড়া -শিমুল-মাদার এর বাহার দেখতে দেখতে ও কোকিলের ডাক শুনতে শুনতে এ সময় অফিসে যেতাম।

কালিদাস তার ঋতুসংহার কাব্যে বসন্তকে রাজার আসনে বসিয়ে উচ্ছ্বাসভরে তার বন্দনা করেছেন । বসন্তের বন্দনা করতে গিয়ে কালিদাস অনেক উপমা দিয়ে নানা অলংকার ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ মাত্র দুটি সহজ-সরল পঙ্তি দিয়ে বসন্তের ছবি একেঁছেন-—
‘আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়।’

ব্যাংকে আমার যাতায়াতের পথে দেখা মিলতো বেশ কিছু বড়বড় শিমুল গাছের। শীতের শেষে সে সব গাছের পাতা ঝরে যেত। ফাল্গুনে ফুল ফুটতো। মোচাকৃতি ফল হতো । চৈত্র বা বৈশাখ মাসে সে সব ফল ফেটে শিমুল তুলা বেরিয়ে বাতাসে উড়তে থাকতো।

এ ঋতুতে গাছে নতুন পাতা গজায় ও ফুল ফোটে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। প্রকৃতিতে এ সব নতুন মাত্রা যোগের কারণে বসন্ত ঋতু ঋতুরাজ বসন্ত নামে পরিচিত।
বসন্ত ঋতুর গায়ক পাখিদের মধ্যে কোকিলই সেরা। এ সময় সারাক্ষণ একটানা তীব্র সুরেলা অথচ ঈষৎ বিষাদমাখা কোকিলের ডাক শোনা যেত।

আমাদের দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস। এটি কি ঠিক ? মধুমাস হবে চৈত্রমাস। কারন ফলে মধু থাকেনা ,মধু থাকে ফুলে। আর চৈত্র মাসে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় সারা বাংলা। বসন্তের ফুল গ্রীষ্ম কালে ফলে পরিণত হয় । জ্যৈষ্ঠ গ্রীষ্মের শেষ মাস, এ মাসে ফল পেকে রসের ভারে টইটুম্বুর করে । হিন্দিতে ‘বাহারী’ মানে মধুকাল বা মধুমাস। আবার ‘বাহারকে দিন’ মানে বসন্তকাল। তাই দেখা যায় মধুর ঋতু হলো বসন্ত। আর রসের ঋতু গ্রীষ্ম। সর্বপ্রথম দৈনিক বাংলাই জ্যৈষ্ঠ মাস অর্থে মধুমাস শব্দটি চালু করেছে। বর্তমানে দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়ে কোনো কিছু লিখতে গিয়ে লেখা হয় ‘মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস’। এভাবেই জ্যৈষ্ঠ মাসের সঙ্গে মধুমাস বিশেষণটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। স্র্রেফ মিডিয়ার কারণে মধুমাস বলতে আগামী প্রজন্ম জ্যৈষ্ঠ মাসকেই চিনবে, চৈত্র মাসকে চিনবে না।

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বসন্তকালকে নিয়ে একটি বিখ্যাত কবিতা দিয়ে শেষে বলতে হয়,
“শান-বাঁধানো ফুটপাথে
পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে হাসছে।
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত।”
কবি যাই বলুক আমরা সবাই জানি বাস্তবতা হলো, বসন্তকালে ফুল ফুটবেই।

সারা দেশের বসন্তকালের চিত্রের তুলনায় এ এলাকায় এক আলাদা ধরনের একটা চিত্র ছিল, সে কথাই এখন বলতে চাই।
করতোয়া নদী থেকে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের দিকে এ মৌসুমে এগুতে থাকলে দেখা যেত সারা দুনিয়া যেন লালে লাল হয়ে গেছে। যতই যমুনা নদীর দিকে যাওয়া যায় ততই লালের ঘনত্বও যেমন বেড়ে যায় পরিমানও তেমনি বেড়ে যায়। চাষীর উঠানে, ঘরের চালে ,নদীর তীরে, বাড়ির পাশে নতুন তৈরীকৃত উঠানে যমুনার পাকা বাঁধে মাইলের পর মাইল শুধু লাল আর লাল। শুকানো হচ্ছে সুগন্ধ ,ঝাঁজ ও ঝালে অতি উৎকৃষ্ট বগুড়ার বিখ্যাত লাল মরিচ। মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের জন্য ও অন্য মালিকের মরিচ আলাদা করার জন্য স্থান ফাঁকা রাখায় অসংখ্য জ্যামিতিক দৃশ্যে সজ্জিত হয়ে পড়ে পুরা এলাকা। লাল মরিচের চোখ ঝলসানো দৃশ্য এ সময় বগুড়ার চরাঞ্চলের মাঠে মাঠে শোভা পেত , এখনও পায়। এ দৃশ্য কাশ্মিরের টিউলিপ বাগানের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। স্থানীয় চাষিরা মরিচের রঙের মতোই লাল স্বপ্নে প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেন। লাল মরিচের এ স্বপ্নের সঙ্গে মিশে থাকতো হাজার হাজার নারী শ্রমিক। তারা রোদে মরিচ শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করতেন। তাদের চোখেমুখেও আনন্দের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠতো। এর পর মাঠের মরিচ কৃষকের গোলায় উঠতে শুরু করতো । অনেকেই বাজারে শুকনা মরিচ বিক্রি করার জন্য বস্তা ভরে হাটে নিয়ে আসতো। অনেকে মরিচ শুকানোর পর বেশী দামের আশায় তা মাচার উপরে টিন ,ডোল, গোলা, বা ড্রামে করে রাখতো।
মাঘ মাসের শুরু থেকেই দেখতাম চাষীরা ক্ষেত থেকে রবি মৌসুমের কাঁচা মরিচ তুলছে। বীজ বপনের ২ মাস পর বা গাছে ফুল আসার ১৫-২০ দিনের মধ্যেই কাঁচা মরিচ তোলা হতো। এর পর মরিচের রং লাল হওয়া শুরু হলে দফায় দফায় পাঁকা মরিচ সংগ্রহ করা হতো। সারা ফালগুন মাসই লাল মরিচ সংগ্রহের এ দৃশ্য চোখে পড়তো। প্রতিটি গাছে প্রায় ৫০/৫৫টি করে মরিচ ধরে। প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে প্রায় তিনমাস একটানা মরিচ উঠাতে পারা যায়। শ্রমিকদের চা তোলার দৃশ্য দেখতে সবাই খুব উদগ্রীব কিন্তু কাঁচা বা পাকা মরিচ তোলার দৃশ্য ক জন দেখতে চায় ?
যে বার শিলা বৃষ্টি না হতো , কুয়াশা কম হতো , জমিগুলি বানের পানিতে ডুবে উর্বর হতো সেবার মরিচের ফলন অনেক ভাল হতো । উৎপাদক চাষী , ফড়িয়া মৌসুমী ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হতো। তাদের চোখে-মুখেও আনন্দের আভা ফুটে উঠতো । মরিচকে ঘিরে এলাকায় মনে হয় তখন ৫/১০ কোটি টাকার বেচা- কেনা হতো। মাত্র তিন মাসের এ ফসল। ব্যাংকের কৃষি ঋণ আদায় ও আমানত বাড়াতে সাহায্য করতো।

সাম্প্রতিককালে কৃষি বিভাগ মরিচকে বগুড়ার ভৌগোলিক পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বগুড়ায় মরিচ উৎপাদনের এক বিশাল এলাকা গড়ে উঠেছে যমুনার তীরের সারিয়াকান্দির গ্রাম ও চরগুলিতে, এরপর গাবতলির কলাকোপা, ধুনটের গোসাইবাড়ি, ভান্ডারবাড়ি, সোনাতলার রানীরপাড়া, হরিখালি এলাকায় বন্যার সময় চরে পলিমাটি পড়ায় মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে।
বহুকাল আগে থেকেই মরিচ চাষে আগ্রহী এলাকার কৃষকরা। রোগ-বালাই কিছুটা কম হওয়ায় তিন মাস মেয়াদী এ ফসল অন্য অনেক ফসলের থেকে বেশি লাভজনক। জমি ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনাতেই মরিচ চাষ করে এলাকার অনেক গৃহস্থ পরিবার। একই সঙ্গে বগুড়ার শ্রমজীবী নারীদের বাড়তি উপার্জনের উপলক্ষ লাল মরিচ। বর্তমানে এ সব এলাকায় শতাধিক কোটি টাকার লেনদেন হয় এ মরিচকে ঘিরে।অনেক বড় বড় কোম্পানি এখানকার মরিচ কেনায় অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এখানকার মরিচের খ্যাতি থাকায় স্কয়ার, প্রাণ গ্রুপ, বিডি ফুড সহ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের এজেন্টের মাধ্যমে মরিচ সংগ্রহ করছে সংগ্রহ করা এসব মরিচ প্রক্রিয়াজাত ও মসলা আকারে তৈরি করে দেশে ও বিদেশে রফতানি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আমার মনে হয় শুধু মরিচকে ঘিরে ছোট হলেও এ এলাকায় একটি শিল্প অঞ্চল অঞ্চল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী। ভুলে গেলে চলবেনা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেসব মসলার জন্য ভারতের পূর্বাঞ্চলে এসেছিল, মরিচ তাদের অন্যতম।

বাংলাদেশে এক ঋতু বিদায় নেয় তো আসে অন্য আরেক ঋতু। নতুন ঋতুর ছোঁয়ায় প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে । উপহার দেয় নতুন নতুন ফুল-ফল ও ফসল। প্রতিটি ঋতুই স্বতন্ত্র সৌন্দর্যে অপরূপ। ঋতুতে ঋতুতে এদেশে চলে সাজ বদল। এই সাজ বদলের পালায় বাংলাদেশের প্রকৃতি চির সজীব, চির বৈচিত্র্যময় চির নতুন। এমন অপরূপ বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। ষড়ঋতুর পালাবদলের সাথে এ দেশের জনজীবন যে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত তা শহর জীবনের এ যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে কে প্রচার করবে ? প্রচার করলেই কেই বা তা শুনবে?গ্রীষ্মের রুক্ষ্মতার পর বর্ষায় দ্বিগুণ উৎসাহে কৃষক মাঠে নেমে পড়ে, ফসল বোনে। হেমন্তে আবার সেই ফসল ঘরে তোলার ধুম লেগে যায়। ঋতুভেদে গ্রাম বাংলার জীবনে উদযাপিত হয় নানারকম পূজা-পার্বণ, মেলা ও উৎসব।হে পাঠক!এ সব দৃশ্য কি তুমি দেখেছ ? তোমার সন্তানদের দেখায়েছ ?
জাতীয় সংগীত গাও । কিনতু দেখ নাই ফাগুনের আমের বোলের ঘ্রাণে কেমন করে মন পাগল করে ? অঘ্রানের ভরা ক্ষেতে কী মধুর হাসি দেখা যায় ? চারিদিকে কী শোভা ? বটের মূলে , নদীর কূলে কূলে কী আঁচল বিছানো থাকে ?
বাংলার মানুষের মন যে এত উদার এত কোমল তার সাইকোলজী কি বাংলার ষড়ঋতুর মধ্যেই লুকানো নাই ?
আমেরিকার মানুষ পাতার রঙ দেখার জন্য দূর দূরান্ত গাড়ী চালিয়ে যায়।বাংলার প্রকৃতি ও ষড়ঋতু সম্পর্কে সচেতন না হলে একদিন দেশের সবাই যে মানুষ থেকে যন্ত্রে পরিনত হবে । তার পরিনাম কি ভাল হবে ? বছরের একটি দিন কি ”বাংলার ষড়ঋতু সচেতনতা দিবস” হিসেবে পালন করা যায় না ?যে দিন মন –প্রাণ দিয়ে অনুধাবন করে আমরা গেয়ে উঠবো-
’এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
যারা অন্ততঃ বাল্য ও কৈশোর গ্রামে কাটায় নাই ,তাদের পক্ষে বাংলার ষড়ঋতু বা ঋতু বৈচিত্র্য মনে প্রাণে ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তাদের কে আমার চোখ দিয়ে ডেমাজানি পর্বে বাংলার ঋতু বৈচিত্র্য দেখাতে চেষ্টা করেছি। বাল্য ও কৈশোর ছাড়াও ডেমাজানি শাখায় চাকুরীর সুবাদে যৌবনেও আমি বাংলার ঋতু বৈচিত্র্য গভীরভাবে অনুধাবণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।আর যারা বাংলার ষড়ঋতু বা ঋতু বৈচিত্র্য মনে প্রাণে ধারণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন –তাদের এই ডেমাজানি পর্বে আমার লেখার মাধ্যমে পুনরায় গ্রাম বাংলার কাছাকাছি নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ,কোন ঋতুটি সবচেয়ে বেশী মানুষের প্রিয় । এক কথায় এর উত্তর দেয়া কঠিন। আমরা বরং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের পরিসংখ্যান দিয়ে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ১৯১৫।তার ঋতুভিত্তিক গান আছে ২৮৩টি । কবিগুরু গ্রীষ্মকাল নিয়ে গান লিখেছেন, ২৫ টি। শরত্কাল নিয়ে তাঁর লেখা গানের সংখ্যা ৩০ টি। হেমন্তকাল নিয়ে গান লিখেছেন মোটে ৫টি। শীতকাল নিয়ে তিনি গান লিখেছেন এক ডজন বা ১২টি। বসন্তকাল নিয়ে অবশ্য কবিগুরু অনেক বেশি গান লিখেছেন। রোম্যান্টিক এই ঋতু নিয়ে কবিগুরুর লেখা গানের সংখ্যা ৯৬ টি। তবে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবথেকে বেশি গান লিখেছেন, বর্ষাকাল নিয়ে। বর্ষাকাল নিয়ে তাঁর লেখা গানের সংখ্যা ১১৫টি!
অধুনা নগরজীবনে টেনেটুনে চারটি ঋতু পাওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। তবে যুগ যুগ ধরে এই উপমহাদেশের সাহিত্যে, সংগীতে ছয় ঋতু তথা ঋতু বৈচিত্র্য এখনও প্রবলভাবে রয়েছে, যা পাশ্চাত্যের সাহিত্যে তেমন দেখা যায় না।

শহুরে বাসিন্দা হয়ে গেছি অনেক আগেই। তবু আজো মনে জাগে কৃষিঋণ প্রদান-আদায়, আমানত সংগ্রহ ,গ্রাহকদের দাওয়াৎ, মেলা ইত্যাদি কারনে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়ানোর স্মৃতিগুলো । সেই অবারিত মাঠ সেই সবুজ সবুজ ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি। আজ ভাবি আমার সবকিছুর বিনিময়ে আরো একবার কেউকি আমাকে সেখানে সে ভূমিকায় আবার ফিরিয়ে দিতে পারবে ? পারবেনা ,জানি। মনের মাঝে গুনগুন করে বাজে-

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না–
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না–
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।(ক্রমশঃ)

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৪:৩০   ৫৭১ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #