রবিবার, ২৩ জুন ২০১৩

” মুম্বাইয়ে ভবন ধসে আবার ও নিহত ৭”

Home Page » প্রথমপাতা » ” মুম্বাইয়ে ভবন ধসে আবার ও নিহত ৭”
রবিবার, ২৩ জুন ২০১৩



1.jpgবঙ্গ- নিউজ ডটকমঃ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় মুম্বাইয়ের দাহিসার এলাকায় ওই ভবনটি ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।শুক্রবার মুম্বাই থেকে ২০ মাইল দূরে থানি জেলার মুমব্রা এলাকায় একটি তিনতলা ভবন ধসে ১০ জন নিহত হয়। একদিন পরেই দাহিসারের ঘটনাটি ঘটল। এ নিয়ে গত তিন মাসে মুম্বাইয়ে চারটি ভবন ধসে পড়লো।

দাহিসারের ত্রিশ বছরের পুরনো ওই ভবনটিকে আগেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছিল শহর কর্তৃপক্ষ। তাই ভবনটিতে কেউ স্থায়ীভাবে বসবাস করতো না।

কিন্তু ভবনটির দেয়াল ঘেষে সব্জি বিক্রেতারা তাদের দোকান সাজিয়ে বসেছিল। তাদের কেউ কেউ ভবনটিতে সাময়িকভাবে আশ্রয় নিতো।

উদ্ধার তৎপরতার তত্ত্ববধানে থাকা ভারতের জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সহকারী কমানড্যান্ট এস আহমদ বলেন, “পরিবারহীন ভাসমান মজুরদের আশ্রয়স্থল ছিল ভবনটি। তাই ঠিক কতোজন মানুষ ধসে পড়া ভবনটিতে আটকা পড়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা বের করা সহজ নয়।”

১৯৮৩ সালে তৈরি করা ভবনটিতে নির্মাণগত ত্রুটি থাকায় ২০১০ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। তখন ভবনটি খালি করে ফেলা হলেও ভেঙে ফেলা হয়নি।

এই ভবনের এক সময়ের বাসিন্দা ললিত কুমার জানান, ভবনটি ঘেঁসে না বসার জন্য ও ভিতরে প্রবেশ না করার জন্য সব্জি বিক্রেতাদের সতর্ক করেছিলেন তারা।

“ভবনটির ভিতরে কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য একজন পাহারাদার রেখেছিলাম, এ জন্য শহর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছিলাম। এসব করার পর দুই-তিনদিন কেউ ঢুকতো না, তারপর আবার তারা প্রবেশ করতে শুরু করতো,” বলেন ললিত।

মানসিং নামে যে পাহারাদারকে রাখা হয়েছিল ধসে পড়া ভবন চাপায় তিনি- স্ত্রী, কন্যা ও কন্যার স্বামীসহ নিহত হয়েছেন।

মুম্বাই শহর কর্তৃপক্ষ শহরের ৯৪৯টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে। দুর্বল হয়ে পড়া এসব ভবন বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে আরো দুর্বল হয়ে ধসে পড়ার সম্ভবনা ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৮:০৯   ৪১৪ বার পঠিত