রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে, এখন চলছে গণনা

Home Page » জাতীয় » সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে, এখন চলছে গণনা
রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮



ছবি সংগৃহীত   বঙ্গ-নিউজ:  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে একযোগে সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।

আজ রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ভেট গ্রহনের সময় সারাদেশে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, সংঘর্ষ, বিরোধী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া ও প্রায় ৬০ জনের অধিক প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। এমনকি এ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে।

সরকারি দল নির্বচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করলেও বিরোধী দলের দাবি নির্বচন সুষ্ঠু হয়নি। বিরোধী জোট অভিযোগ করেন, সারাদেশে বিএনপি ও তার জোটের প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, সারাদেশে খুব সুষ্ঠুভাবে নির্বচন হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধান নির্বচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং, প্রার্থীর এজেন্টেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গ্রণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবাহর করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। এ চত্ত্বরে ইসি শটি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রর্শন করবে।

এক নজরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট: নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এবার ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি ভোটেরর এ নির্বাচনে লড়াইয়ে রয়েছেন ১৮৬১ জন। এরমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১৭৩৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ৭ লাখের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে সাংবাদিক, পর্য্যবেক্ষকসহ প্রায় ১ লাখের মতো লোকবল মিলিয়ে ১৫ লাখ লোক নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট হবে। এক প্রার্থীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি।

জানা যায়, ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা। ১২ নভেম্বর পুনতফসিল করা হয়। রিটার্নিং অফিসার ৬৬ জন ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার ৫৮২ জন। ভোটকেন্দ্র ৪০,১৮৩, ভোটকক্ষ ২,০৭,৩১২ ভোটার সংখ্যা ১০, ৪২, ৩৮, ৬৭৭ জন। পুরুষ ৫,২৫,৭২,৩৬৫, মহিলা ৫,১৬,৬৬,৩১২ এবার রাজনৈতিক দল ৩৯টি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী- ২৯৯ নির্বাচনী এলাকায় ১৮৬১ জন। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১৭৩৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন।

ভোটেকেন্দ্রে নিয়োজিত ফোর্স এর সংখ্যা প্রায় ৬,০৮,০০০। এরমধ্যে পুলিশ ১,২১,০০০; আনসার ৪,৪৬,০০০; গ্রাম পুলিশ ৪১,০০০। সেনাবাহিনী (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন): ৪১৪ প্লাটুন (৩৮৯ উপজেলায়)। নৌবাহিনী (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন): ৪৮ প্লাটুন (১৮ উপলোয়)। কোস্টগার্ড (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন): ৪২ প্লাটুন (১২ উপলোয়)। বিজিবি (প্রতি প্লটুনে ৩০ জন): ৯৮৩ প্লাটুন। র‌্যাব (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন): ৬০০ প্লাটুন।

মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা র‌্যাবসহ প্রায় ২০০ প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার জন)। তাছাড়া সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল দল নিয়োজিত রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তরা জানান, নির্বাচনী মাঠে নির্বাহী হাকিম ১৩২৮ জন। (আচরণবিধিতে ৬৫২ জন; আইন-শৃঙ্খলা ফোর্সের নেতৃত্বে ৬৭৬ জন)। নির্বাচনী তদন্ত কমিটির: ১২২টি (২৪৪ জন)।

প্রিজাইডিং অফিসার: ৪০,১৮৩ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার: ২,০৭,৩১২ জন। পোলিং অফিসার: ৪,১৪,৬২৪ জন।

পর্যবেক্ষক, দেশি: ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৫,৯০০ জন। বিদেশি পর্য্যবেক্ষক: ৩৮ জন (ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েল্থ থেকে আমন্ত্রিত)।

কূটনৈতিক বিদেশি মিশনের কর্মকর্তা: ৬৪ জন। দূতাবা ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি: ৬১ জন।

এবার ৬টি আসনে ইভিএম ভোটার ২১ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৪ জন; কেন্দ্র ৮৪৫টি, ভোটকক্ষ ৫,০৪৫টি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৪৮ জন। রংপুর-৩ ভোটার ৪,৪১,৬৭১ জন। খুলনা-২ ভোটার ২,৯৪,১১৬ জন। সাতক্ষীরা-২ ভোটার ৩,৫৬,২৪৬ জন। ঢাকা-৬ ভোটার ২,৬৯,৩১৫ জন। ঢাকা-১৩ ভোটার ৩,৭২,৭৭৫ জন। চট্টগ্রাম ৯ ভোটার ৩,৯০,৪৩১ জন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।

সেক্ষেত্রে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। এ বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা স্থানীয়ভাবে প্রচারের মাধ্যমে প্রার্থী ও দলকে অবহিত করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৩:০৮   ৩৮০ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #