শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
Home Page » প্রথমপাতা » নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী দিবস পালিতসৌরভ বর্মন গৌতম,বঙ্গ-নিউজ,বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সকালে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং বাকৃবি’র সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম কালো পতাকা উত্তোলন করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর বিজয় স্তম্ভ ‘চির উন্নত মম শির’- এ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান-এর নেতৃত্বে এক শোক র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর এর সভাপতিত্বে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হতে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বরের পর পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। কারণ তারা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের বিষয়টি জনগণের মাঝে তুলে ধরেণ। তাঁদের কারণেই রাষ্ট্রভাষা বাংলা হয়েছে। সুতরাং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’ আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য প্রদানকালে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবাকে ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর হত্যা করা হয়। বাবা যখন বাজারে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। আমি আমার বাবার লাশটিও খুঁজে পাইনি। আমার বাবার দোষ ছিল একটাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ছিলেন।’ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আসন্ন নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় আনতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ভাইস-চ্যান্সেলর। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, প্রগতিশীল ছাত্র প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম বাবু এবং মো. রাকিবুল হাসান রাকিব বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটি- ২০১৮ এর সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন। আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. মোকারেরম হোসেন মাসুম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৯:৪৬ ৫০৮ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম