শনিবার, ২২ জুন ২০১৩
মামলা আপনার বিরুদ্ধেই হবে: হাসিনাকে রফিকুল
Home Page » জাতীয় » মামলা আপনার বিরুদ্ধেই হবে: হাসিনাকে রফিকুলবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ‘ফের তত্ত্বাবধায়ক এলে দুই নেত্রীকে জেলে যেতে হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া শেয়ার বাজারের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেননি। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তকে দেশপ্রেমিক উপাধি দেননি। দুর্নীতি, লুণ্ঠন আপনারা করেছেন। তাই মামলা হলে আপনার বিরুদ্ধে হবে, খালেদা জিয়া কিছু করেননি, তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না। তাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের অবস্থা আরো নাজুক করবেন না।শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘সন্ত্রাস দমন আইন (সংশোধন) জন অধিকার সংরক্ষণের সহায়ক নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় রফিকুল এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্বাবধায়ক কইরেন না। ওটা করে আপনার লাভ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে আপনাকেও জেলে যেতে হবে। আমাকেও জেলে যেতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে নির্বাচন হবে না। রোজ কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করবে’।
ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী এতদিন বলতেন নির্দলীয় সরকার ক্ষমতায় এলে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করবে। কিন্তু গতকাল তিনি বলছেন শুধু খালেদা জিয়া নয়, তত্ত্বাবধায়ক এলে তাকেও গ্রেফতার করবে।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই দুর্নীতি, লুণ্ঠন আপনারা করেছেন, মামলা হলে আপনার বিরুদ্ধে হবে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের অবস্থা আরো নাজুক করবেন না।
বিরোধী দলীয় নেতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রফিকুল বলেন, আপনার প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া আমার বন্ধু মানুষ ছিলেন। তিনি একজন রুচিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তার কথা ভেবে এসব রুচিহীন কথাবার্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন, শালীনভাবে কথা বলুন।
সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আইনটি সম্পূর্ণ মানবাধিকার পরিপন্থী। সংবিধান সবাইকে বাকস্বাধীনতা দিয়েছে অথচ এ অধিকারকে লজ্জাকরভাবে হরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে এবং তাদের পক্ষে রাজনীতি করে না তা প্রতিহত করতে এ আইন করা হয়েছে।
ব্যারিষ্টার রফিকুল বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন পাশ হওয়ার পর চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ম্যাজিট্রেটকে আক্রমণ করেছে। ছাত্রলীগের লোকজন অস্ত্রসহ মহড়া দিয়েছে। আমরা জানতে চাই, এসব ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা।
এ সময় এতোবড় একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন তড়িঘড়ি করে সংশোধন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৮:০৮ ৪০৭ বার পঠিত