মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আজিজ আর নেই

Home Page » বিনোদন » প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আজিজ আর নেই
মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮



ফাইল ছবি
বঙ্গ-নিউজঃ বলিউডের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আজিজ আর নেই। মুম্বাইর নানাবতী হাসপাতালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে গান গেয়ে কলকাতা ফেরার পথে মুম্বাই বিমানবন্দরে হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি। এ সময় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মোহাম্মদ আজিজ এক আধ্যাত্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম মুন্না, আসল নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজ-উন-নবী। ছোটবেলা থেকেই তিনি গান করছেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। প্রথম গান করেন বাংলা ছবি ‘জ্যোতি’তে। এরপর বোম্বে থেকে একজন প্রযোজক তাঁকে ডেকে পাঠান। ১৯৮৪ সালে তিনি বোম্বে যান।

গত শতকের আশি ও নব্বই দশকে বাংলা, হিন্দি আর ওড়িয়াসহ বিভিন্ন ভাষায় ২০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন৷ অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে ঋষি কাপুর, গোবিন্দ, মিঠুনসহ বলিউডের বিভিন্ন সুপারস্টারের জন্য গান গেয়েছেন তিনি৷ তাঁর গান আর কয়েকজন অভিনেতার কণ্ঠ একসময় পরিপূরক হয়ে উঠেছিল৷ লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, কবিতা কৃষ্ণমূর্তির মতো সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে গান গেয়েছেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী৷ মোহাম্মদ আজিজ আর সংগীত পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল জুটিকে একসময় বলিউডের অন্যতম সফল জুটি হিসাবে মনে করা হতো৷

মোহাম্মদ রফির উত্তরসূরি হিসেবে মনে করা হয় মোহাম্মদ আজিজকে। কিশোর কুমারের যুগে তাঁর ওপর অনেকটাই ভরসা করেছে ইন্ডাস্ট্রি৷ কিশোর কুমারের সঙ্গে পাল্লা গিয়ে গান করেছেন তিনি৷ ভারতীয় সংগীতের ‘স্বর্ণ যুগের’ ঐতিহ্যকে একক দক্ষতায় অনেকটা উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আজিজ৷ পাশাপাশি গেয়েছেন ভজন ও সুফি গান৷

আন্নু মালিকের সুরে ‘মর্দ’ (১৯৮৫) ছবি দিয়ে তাঁর হিন্দি গানের জগতে প্রবেশ। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘গুরুদক্ষিণা’ (১৯৮৭) ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘পৃথিবী হারিয়ে গেল মরু সাহারায়’ একসময় মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। মোহাম্মদ আজিজের গাওয়া খুব জনপ্রিয় হওয়া গানের মধ্যে রয়েছে ‘কুচ হো গ্যায়া ক্যায়া হো গ্যায়া’, ‘বহুত যাতাতে হো পেয়ার’, ‘অ্যায় মেরে দোস্ত’, ‘চৌখাঠ পে তুমহারি হাম’, ‘আতে আতে তেরি ইয়াদ’, ‘মাংতি হুঁ সাজন’, ‘ম্যায় তেরে বিন জি নাহি সাক্তি’, ‘যব পেয়ার কিয়া’, ‘আজ কাল কুচ ইয়াদ’, ‘আদমি জিন্দেগি ঔর ইয়ে’, ‘তেরি বেওয়াফা কা শিকওয়া’, ‘লাল দোপাট্টা কা মলমল কা’, ‘তু কালা চলা যায়েগা’, ‘অ্যায় ওয়াতন তেরে লিয়ে’, ‘মাই নেম ইজ লক্ষ্মণ’ প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৬:১৫   ৫৮১ বার পঠিত