মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন বললেন ‘বিএনপির কাছে ৩০-৪০টি আসন চেয়েছি’

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন বললেন ‘বিএনপির কাছে ৩০-৪০টি আসন চেয়েছি’
মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮



ফাইল ছবি   বঙ্গ-নিউজ:  বিএনপির কাছ থেকে গণফোরাম ৩০ থেকে ৪০টি আসন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এর মধ্যে রাজধানীতে থাকতে হবে দুটি। তবে কোন দুটি আসন এখনো নিশ্চিত করেননি ড. কামাল হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে ড. কামাল হোসেন বেইলি রোডের নিজ বাসায় আসনবণ্টন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান।

ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সময় স্বল্পতার কারণে এখন জোটগতভাবে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। আপাতত দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। তবে আসন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটা জোটগতভাবে হচ্ছে না। আলাদা আলাদা হচ্ছে। পরে বসে এগুলোকে সমন্বয় করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, সময় স্বল্পতার জন্য এখন দলীয়ভাবে হচ্ছে। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

নির্বাচনে ইভিএমের ব্যাহারের ব্যাপারে ইসি সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্ট মেনে নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘না মেনে নিলে কী করা যাবে? সংসদ নির্বাচন তো এ কারণে আমরা বাদ দেব না। ইভিএম নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইভিএম বাতিল না করায় নির্বাচন বর্জন নয়, আমরা যে কোনো মূল্যে নির্বাচনে যাব।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অসুস্থতার কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করবেন না।

তিনি বলেন, আপাতত জোটগতভাবে নয়, দলীয়ভাবে মনোনয়ন জমা দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। পরে আলোচনাসাপেক্ষে জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করে বাকিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে গণফোরামের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। যে দলের প্রার্থী যোগ্য সেই দলের প্রার্থীর জন্য ছাড় দেয়া হবে। আমাদের প্রার্থী যোগ্য হলে ওদের বলব ছাড় দিতে। আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী নির্বাচনে লড়ব।’

বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, জোটের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইশতেহারে দলগুলোর যাতে সামঞ্জস্য থাকে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে এত কথা বলার পরেও কমিশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি রাখেনি, এটা দুঃখজনক। কমিশনের একজনের আত্মীয় সরকারি দলের হয়ে নির্বাচন করছে, যা সন্দেহের উদ্রেক করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৬:৪১   ৪৪০ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #