শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৮
রঙ্গে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ
Home Page » বিনোদন » রঙ্গে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন “-জালাল উদদীন মাহমুদ
৩৪ তম কিস্তি— “
সেনানিবাস শাখা ,বগুড়া-২য় পর্ব।
যা হোক আবার আগের কথায় ফিরে আসি। ম্যানেজার স্যার যতক্ষণ শাখায় থাকতেন ততক্ষণই টেলিফোনে জোরে জোরে প্রায় চিৎকার করে কথা বলতেন। তখনকার অ্যানালগ ফোনে সব কিছু যে দুই প্রান্তে স্পষ্ট শোনা যেত এমন না। তাই জোরে জোরে কখনও কখনও চিৎকার করে করে কথা বলতে হতো। যার উদ্দেশ্যে কথা বলা তিনি ভাল না শুনলেও কাছাকাছি অবস্থিত অনাকাংকিত শ্রোতারা ভালই শুনতো।
সে সময় ট্রাংককল বলে একটি শব্দ খুবই প্রচলিত ছিল। দুই জেলার মধ্যে বা দুরে টেলিফোনে কথা বলাকে ট্রাংককল বলা হতো। ট্রাংক কলের কথা আরো আস্তে শোনা যেত।
‘ট্রাংক কল’ শব্দটা প্রাপক ও প্রেরক দুজনের ক্ষেত্রেই ভীষণ ভয়ের এক ব্যাপার ছিল। এক্সচেঞ্জ-এর অপারেটরকে তখন মহা ক্ষমতাধর মনে হতো। তার কাছে প্রার্থিত নম্বর চেয়ে, কলটা ‘আর্জেন্ট’ না ‘অর্ডিনারি’ তা জানিয়ে, অসহায়ের মতো অপেক্ষার প্রহর গুনতে হতো। একেই বলা হত ‘ট্রাংক কল বুকিং’। এ সময় হঠাৎ যদি কোনও ফোন এসে পড়তো, বা অন্য কেউ এসে ঐ টেলিফোন ব্যবহার করতে চাইতো , তবে তাকে বলা হত, ‘ ভাই প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি করবেন, ট্রাংক কল বুক করেছি।’
এখন ডিজিটাল যুগের দ্রুততায় সবাই এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, ক্লীক করা মাত্রেই কিছু না ঘটলে বড় অসহিষ্ণু হয়ে উঠি আমরা। কমান্ড দিয়ে দু -এক মিনিট সময় কম্পিউটার স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় পার হয়ে যাচ্ছে বুঝি অনাদিকাল ! অথচ এইতো মাত্র দশ -পনের বছর আগেও এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ফোন করার জন্য, আমরা ট্রাংক কল বুক করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতাম । তখন কিন্তু আমাদের কোন ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতো না । আর এখন কিনা মোবাইলে একবার কল করে কাউকে না পেলে চরম বিরক্ত লাগে , আর কম্পিউটার স্ক্রীনে ক্লীক করা মাত্রই কাজ না হলে ধৈর্য্যের বাঁধই ভেংগে যায়।
শুধু ম্যানেজার স্যার না , শুধু আমি না, আপনিও না কেউ কোনদিন ভাবে নাই মোবাইল ফোন বলে কিছু আসবে এ দুনিয়ায় । দুরের অন্য কোন শাখায় ট্রাঙ্ককল বুক করে ম্যানেজার স্যার অপেক্ষা করতেন , তারপর কল এলেই চিত্কার করে কথা শুরু করতেন , শুধু ব্যাংকের ভিতর কেন ব্যাংকের বারান্দাতেও তখন টেকা দায় হয়ে যেত।
একটা গল্প মনে পড়ে গেল। ট্রাংককল অফিস থেকে একজন চিৎকার করতে করতে বলছিল ”শুনতে পাচ্ছিস আপা, ”শুনতে পাচ্ছিস -আমি গরু, আব্বা ছাগল, বড় ভাই ভেড়া। বার বার বলছিল। জোরে জোরে চিৎকার করে। আশে পাশের লোকজন যে কি ভাবছিল জানিনা। তবে বেচারা কোরবানী ঈদের আগে দুরে থাকা তার বড় বোনকে জানাচ্ছিল ফ্যামিলির কে কি কোরবানী দিবে।
শৈশবে টেলিফোন ছিল অনেকের কাছেই সত্যিই এক পরম বিস্ময়। ছোটবেলায় দু’খানা দেশলাই বাক্সের ভেতরের খোলটা ফুটো করে, তার মধ্যে দিয়ে সুতো বেঁধে টেলিফোন টেলিফোন খেলা জমাতো বাচ্চারা। এ ধারের কথা ও ধারে এমনিই শুনতে পাচ্ছে, তবু চলছে হ্যালো হ্যালো..হ্যালো..। সে সময় বাচ্চাদের এরুপ খেলতে দেখেছি।
টেলিফোনের প্রসঙ্গ আসাতে সে সময়ের কত কথেই যে মনে পড়ে যাচ্ছে । ক্রসকানেকশন তো তখন প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। দরকারি প্রয়োজনে হয়তো কেউ ডাক্তারকে ফোন করেছে ,কিন্তু লাইনে ঢুকে পড়লেন দুই মহিলা। একজন ঔষধের নাম চাচ্ছেন জবাবে রান্নার রেসিপি শোনা যাচ্ছে। এ পক্ষ অন্য প্রান্তকে লাইন ছাড়তে বলল তো , বেঁধে গেল তুমুল ঝগড়া। সে যুগে ক্রস কানেকশনের দৌলতে অনেকের নাকি প্রেম এবং পরে বিবাহও ঘটে গেছে।কিন্তু আমি তো হেনেস্থা হওয়ার ঘটনাই বেশি দেখেছি। রিসিভার তুললেই শোনা যেত দু’টো অচেনা মানুষ কথা বলে যাচ্ছে। এমন ঘটনা যে কত অজস্র বার ঘটেছে।
শুধু কি ট্রাংকল এখন চিঠিপত্র, ডাক-টিকেট ,পোষ্টখাম, পোষ্ট অফিস, লেটার বক্স, টেলিগ্রাম, এর প্রয়োজনীয়তাও তো শূণ্যের কোঠায় নেমে গেছে। আগে যেখানে গড়পড়তা একটা লেটার বক্সে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শত চিঠি পাওয়া যেত এখন কোন সপ্তাহে ১ টি বা ২টি আর কোন সপ্তাহে চিঠি পাওয়াই যায় না।এস এম এস নামক খুদে বার্তা তারপর ভয়েস আর ভিডিও মেসেজ চিঠির জায়গা দখল করেছে সেই কবে। এখন আবেগ আর মনের কথা চিঠিতে জানানোর জন্য কেউ জমিয়ে রাখে না। সাথে সাথে জানিয়ে দেয় প্রিয়জনকে। আগে ভাবা হতো ‘কীভাবে পাঠাব’ এখন ভাবা হয় ‘কাকে পাঠাব’।
চিঠি নিয়ে একটি কৌতুক মনে পড়ে গেল-
পাবনা মানসিক হাসপাতালের এক রোগী একমনে কী যেন লিখছেন। চুপি চুপি পেছনে এসে দাঁড়ালেন ডাক্তার । বললেন-
ডাক্তার : কী গো , চিঠি লিখছেন নাকি?
রোগী : হু।
ডাক্তার : কাকে লিখছেন?
রোগী : নিজেকে।
ডাক্তার : বাহ্ বা ভালো তো। তা কী কী লিখলেন?
রোগী : আপনি কি পাগল নাকি সাহেব ? সবে তো চিঠিটা লিখছি। চিঠি পাঠাবো, দু’দিন বাদে চিঠিটা পাবো, খুলে পড়বো। তবেই তো বলতে পারবো কী লিখেছি!
দাড়ি কমা ছাড়া চিঠির উৎকৃষ্ট একটি উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশে একটি গল্প প্রচলিত আছে। কম শিক্ষিত এক স্ত্রী লিখতে জানতেন কিন্তু বিরাম চিহ্ণের ব্যবহার জানতেন না। স্বামীর কাছে তিনি নিম্নরুপ চিঠি লেখেন-
ওগো,
সারাটি জীবন বিদেশে কাটাইলে এই ছিল। তোমার কপালে আমার পা। আজ আরও ফুলিয়া গিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবিয়া গিয়াছে ছোট খোকা। স্কুলে যাইতে চায় না ছাগলটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতেছে তোমার বাবা। পেট খারাপ করিয়া অসুস্থ হইয়া পড়িয়াছে আমগাছটা। আমে আমে ভরিয়া গিয়াছে বাড়ির ছাদ। স্থানে স্থানে ফুঁটা হইয়া গিয়াছে গাভীর পেট। দেখিয়া মনে হয় বাচ্চা দিবে করিমের বাপ। প্রতিদিন এক সের করিয়া দুধ দেয় বড় বউ। নিয়মিত রান্নাবান্না করে বড় খোকা। প্রতিদিন বাজার করিয়া আনে করিমের মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে করিমের বাপ। বারবার অজ্ঞান হইয়া যাইতেছে ডাক্তার। বাবু আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন। এমতাবস্থায় তুমি বাড়ি আসিবে না। আসিলে দুঃখিত হইবো। ইতি ….
চিঠি নিয়ে আরেকটি কৌতুক-ভোলার কাছে টাকা ধার চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন আবুল। ভোলা জানেন, আবুল লোকটা ভালো না। একবার টাকা পেলেই হলো, ফেরত দেওয়ার সময় তার আর দেখা পাওয়া যাবে না। এদিকে মুখের ওপর না করে দিলেও ভালো দেখা যায় না।
বুদ্ধি খাঁটিয়ে ভোলা লিখলেন, ‘আবুল সাহেব, আপনার চিঠিটা ভুল করে অন্যের ঠিকানায় চলে গেছে। আমি পাইনি। তাই টাকা পাঠাতে পারলাম না বলে দুঃখিত।’
সেনানিবাস শাখায় অনেক চিঠি আসতো । অনেক চিঠি পাঠাতেও হতো । সারা দেশের সৈনিকেরা এখানে কাজ করতেন। ডিডি বা এমটির মাধ্যমে তারা টাকা পাঠাতেন । ডিডি বা এমটির অ্যাডভাইজ পাঠাতে হতো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। চিঠির খাম খোলার জন্য একজন পিওনকে দায়িত্ব দেয়া হতো । সে খাম খুলে ভিতরের কাগজ গুলি সাজিয়ে দিত। এসব চিঠি আদান-প্রদানের কাজের জন্য তথা “ডেসপ্যাচ”-এর কাজের জন্য একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হত। পাশাপাশি সে অন্য কাজও করতো । তার সব সময় ভয় থাকতো তার ডাক পৌঁছানোর আগেই পোস্ট অফিস যেন বন্ধ না হয়ে যায়। দুপুর একটার আগেই সব চিঠিপত্র ডাকঘরে পাঠাতে হবে।
প্রায় একই রকম ব্যাপার ছিল টেলিগ্রামের বেলাতেও। টিটি কৃত টাকা বা বড়বড় ডিডির বেলাতে ইস্যকৃত শাখা কর্তৃক প্রদানকারী শাখায় টেলিগ্রাম পাঠাতে হতো, নতুবা প্রাপক টাকা পেত না। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতে টানা ১৭০ বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে সংবাদ আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হতো টেলিগ্রাম ।এখন মোবাইলের যুগ। টেলিগ্রামের কী দরকার? তার দিনও শেষ। আবিষ্কারক দেশ গ্রেট ব্রিটেন টেলিগ্রামের ব্যবহার বন্ধ করেছে ৩৬ বছর আগে, সেই ১৯৮২ সালে। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী দেশ ভারত ২০১৩ সালে বন্ধ করে দেয় টেলিগ্রামের ব্যবহার। বাংলাদেশে এক সময় আড়াই হাজারের মতো জনবল ছিল এই টেলিগ্রাফে। এখন আছে শ’তিনেকের মতো। তাও কাজ করেন অন্য দফতরে। বাংলাদেশে প্রায় ৮শ টেলিগ্রাফ অফিস ছিল। বর্তমানে এর যন্ত্রগুলো কেজির দরে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বাঙালির জন্য টেলিগ্রামের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হয়েছিল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়। এই টেলিগ্রামের মাধ্যমেই বিশ্ব দরবারে পৌঁছেছিল বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার খবর।
একটি ঘটনা শুনেছিলাম । একদিন একজন গার্ডের বাড়ী থেকে টেলিগ্রাম আসলো। সে তা একজন অফিসারকে পড়তে দিল। অফিসার পড়ে শুনালো -ওয়াইফ সিরিয়াস কাম শার্প । গার্ড ম্যানেজারকে গিয়ে বললো স্যার ছুটি দিতে হবে-বাড়ী থেকে টেলিগ্রাম এসেছে –ওয়াইফ সিরিয়াস কাম সারা। ছুটি দ্যান স্যার। ছুটি পেয়েছিল কিনা জানিনা । তখন ব্যাংকের গার্ডরা বলতে গেলে ছুটি পেতই না।
কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উপমহাদেশের যে কোন দেশে চিঠিপত্র পাঠাতে সময় লাগতো কমপক্ষে ১ সপ্তাহ থেকে ১৫ দিন ।
আবার, টাকা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে মানি অর্ডার পাঠাতে সময় লাগত দেশের অভ্যন্তরেই ৫ -৭ দিন কিন্তু মোবাইল ফোন আবিস্কার হওয়ার পর থেকে খবর আদান-প্রদানের জন্য সময় লাগে কয়েক মুহুর্ত আর অন লাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় ২ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যেই দেশের যে কোন স্থানে। মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেট এখন একেবারেই সহজলভ্য । নতুন প্রযুক্তি কেবল হরণ করে না, নতুন কিছু বরণও করে।
এখন চিঠি কেউ আর লিখে না। তবে রংমিস্ত্রি মামুদ মিয়া নাকি লিখেছিল। শোনা যাক সে কাহিনী।
মামুদ মিয়াকে ফোন করেছে তার প্রেমিকা। শুরুতেই ধমক দিয়ে প্রেমিকা বলল, এই! মোবাইল থাকতে তুমি আমাকে চিঠি পাঠিয়েছ কেন? যদি বাবার হাতে পড়ে যেত?
মামুদ মিয়া: তোমাকে ফোন করেছিলাম তো! একটা মহিলা কণ্ঠ বলল, ‘প্লিজ, ট্রাই লেটার’। তাই লেটার পাঠানোর ট্রাই করলাম!
অতীত হয়ে যাওয়া এ সব বস্তু নিয়ে আজ ভেবে ভেবে হয়রান । এখন কেউ কেন এসব ব্যবহার করে না –এমন অসম্ভব অপরিপক্ক চিন্তাও মাথায় এসে গেল। হঠাৎ মনে হলো আমরা তো হ্যারিকেনের আলোয় লেখাপড়া করেছি। এখন কি কেউ আর তা করবে? তবে যত কষ্টেরই হোক যার যার অতীত তার তার কাছে তো সোনালীই। ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে ‘নস্টালজিয়া’। এর কোনো জুতসই বাংলা বোধ হয় নাই। আমি এখন পুরাপুরি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত।
গত শতাব্দির সম্ভবতঃ চল্লিশ বা পঞ্চাশের দশকের প্রেক্ষাপটে যাযাবর লিখেছিলেন “বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, আর কেড়ে নিয়েছে আবেগ” । কিন্তু কই বিজ্ঞানের এ চরম উন্নতির যুগে আমরা তো আবেগের কোন কমতি দেখছি না। একদিন যদি কোন শাখায় নেটওয়ার্ক না থাকে , বা এ টি এম বুথ কাজ না করে তখন সংশ্লিষ্টরা তো আবেগে ফেটে পড়তে চায়। বিশ্বকাপ খেলার সময় কারেন্ট চলে গেলে আবেগের বশবর্তী হয়ে মিছিল বের করতেও দেখেছি। ইন্টার নেটের গতি স্লো হলে —না থাক উদাহরণ বাড়িয়ে আর লাভ নাই।
“নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম; বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌঁছাইতাম “-এ গানটির লেখক বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের গীত রচনায় অবদানের জন্য এ পর্যন্ত তিন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মনিরুজ্জামান মনির মহোদয়কে সবিনয়ে জানাতে চাই টেলিগ্রাম না থাকলেও ফেসবুক, টুইটার আর ইনস্টাগ্রামের এ যুগে বন্ধুর কাছে মনের খবর ঠিক ঠাকই পৌঁছাবে; বরং আরও অনেক অনেক দ্রুত পৌঁছাবে।
সেনানিবাস শাখার ৩য় কর্মকর্তা ছিলেন ফজলুল হক নান্টু। আমি দুর সম্পর্কের এক আত্বীয়তার সূত্র ধরে তাকে নানা ডাকতাম। শাখার যত রঙ্গ তাকে ঘিরেই। (ক্রমশঃ)
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩০:২৭ ৮৯৫ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম