শনিবার, ১৬ মার্চ ২০১৩
জামায়াত নিষিদ্ধে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন : ওলামা-মাশায়েখ
Home Page » প্রথমপাতা » জামায়াত নিষিদ্ধে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন : ওলামা-মাশায়েখবঙ্গ-নিউজ ডটকম :
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে
ওলামা-মাশায়েখরা।
ওলামা-মাশায়েখ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ফরীদ উদ্দীন বলেন, “চলুন, সকলে মিলে আবারো গর্জে উঠি-মুরতাদ নাস্তিকদের স্থান বাংলাদেশে নাই, এদের বরদাস্ত করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, এবার তাদের রক্ষা নাই।”মুরতাদ-নাস্তিক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জামায়াত হতে পারে, কিংবা অন্য কেউ হতে পারে। যারাই ইসলাম নিয়ে কুৎসা প্রচার করে তারা সবাই।”সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা মাসঊদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু যুদ্ধাপরাধী শক্তি নয়, এরা ইসলামেরও শত্রু। এরা দেশে ধর্মের নামে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার আমদানি করেছে।
সুতরাং ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ রুখতে হলে জামায়াতের উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের অর্থের উৎসগুলোকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আল-বদর, আল-শামস নামে কিছু ‘কুলাঙ্গার’ হানাদার বাহিনীর সহায়তায় হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো নানাবিধ যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত হয়। বর্তমানে তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামী নামে ‘ইসলাম ব্যবসায়ী’ একটি দলের প্রথম সারির নেতা।”অতীব দুঃখের বিষয় এরা এসব কিছু করেছে মহান ধর্ম, অসাম্প্রদায়িক, উদার, শান্তিবাদী ও মানবতাবাদী ইসলামের নামে।”ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধকে ‘জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এই মাওলানা বলেন, “রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো এদের বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।”তাই বিচারিক প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে এসব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই ‘জাতির দায়মুক্তি’ সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।জামায়াত ও শিবিরের তরুণ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মাওলানা মাসঊদ বলেন, “তরুণদের অত্যন্ত আদরের সঙ্গে, স্নেহের সঙ্গে আহ্বান জানাব, তারা যেন জামায়াতের দায় কাঁধে না নেয়।”সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৩ মার্চ বেলা ১১টায় মহাসমাবেশ শুরু হবে। সেখানে দুপুরের নামাজ পরবর্তী সময়েও মহাসমাবেশ চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আবদুল কাইয়্যুম খান, মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাইফী, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল আলিম ফরিদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ‘ইসলামবিরোধী কুৎসায় আমার দেশ-ইনকিলাব’ ফরীদ উদ্দীন বলেন, ইনকিলাব ও আমার দেশ ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করে হযরত মুহম্মদ (সা.) কে ও ইসলামকে অবমাননা করেছে। তারা সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিকতা রক্ষা করতে পারেনি।”কে জানি ব্লগে ইসলাম ও নবীকে নিয়ে কুৎসা রচনা করেছে। ব্লগের লেখা কয়জন পড়ে, ৫০ থেকে ১০০ জন। কিন্তু আমার দেশ ও ইনকিলাব কীভাবে এটাকে ছেপে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে প্রচার করেছে। সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। আজকে ইসলামের নামে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
এটা ছেপে প্রথম অপরাধ করেছে ইনকিলাব। আমার দেশ এসব কথা কীভাবে টাইপ করল? তাদের হৃদয় কি একটুও কাঁপেনি?”
“আল্লাহ পাক বলেছেন, মুনাফিকরা অশ্লীল কথাকে প্রচার করতে চায়।”
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৩:২২ ৪৮৮ বার পঠিত