শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নৌকার বিজয়ের প্রশ্নে ঐক্য বজায় রাখতে হবে–ড.রফিকুল ইসলাম তালুকদার

Home Page » এক্সক্লুসিভ » নৌকার বিজয়ের প্রশ্নে ঐক্য বজায় রাখতে হবে–ড.রফিকুল ইসলাম তালুকদার
শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮



ড.রফিকুল ইসলাম তালুকদার                                 স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজঃঃবঙ্গবন্ধু পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা  আহ্বায়ক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার সুনামগঞ্জ-১ আসনের তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ থানার গ্রামে-গ্রামে, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে-ইউনিয়নে ও হাট-বাজারে নৌকার পক্ষে শতাধিক উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, পথসভা ও মত বিনিময় করেছেন। তিনি  এই আসনের প্রতিটি থানা/উপজেলা পর্যায়ে কয়েক সহস্র মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী রালি, মিছিল ও আলোচনা সভা করেছেন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাদাভাবে মতবিনিময় করেছেন। তিনি নিজ বাড়িতে হাজার হাজার মানুষকে সাথে নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছেন। এসব কর্মসূচীর মাধ্যমে তিনি জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগ-তিতীক্ষা, অর্জন এবং সরকারের সাফল্যগাঁথা সুনামগঞ্জ-১ এর জনগণের কাছে  তুলে ধরেছেন।
তিনি যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশে ও বিদেশে ১৬ ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৭ মে ও ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ও ২৮ সেপটেম্বর পালন করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপন বা তা জাতীয়/স্থানীয়  দৈনিকে প্রকাশ করেছেন। অধিকন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা, জীবন-দর্শন, জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অর্জন ও ত্যাগ তিতিক্ষা এবং সরকারের উন্নয়ন সাফল্য নিয়ে ডেইলি স্টার, ইনডিপেনডেনট, ডেইলি সান, ঢাকা ট্রিবিউন, সমকাল, আমদের সময়, ভোরের ডাক, ভোরের কাগজ ও কালের কণ্ঠে অসংখ্য প্রবন্ধ লিখেছেন।
ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার সকল বাঁধা ও ষড়যন্ত্র সমূলে প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ক্ষমতায় আনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী এবং জনগণের প্রতি ঐক্যবব্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, জননেত্রী ও দল যাকেই মনোনয়ন দিবেন তার জন্যই আমাদের নিবেদিত ভাবে কাজ করতে হবে। নৌকার বিজয়ের প্রশ্নে সর্বতোভাবে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। নৌকার বিজয় মানে জননেত্রীর বিজয় আর সেটাই হল আমাদের বিজয়।
তবে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী নেতা, বিশ্ব শীর্ষ দশ নেতৃত্বের অন্যতম। তিনি মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতৃত্ব পছন্দ করেন এবং নেতৃত্বের বিকাশ করতে জানেন ও ভালবাসেন।
তিনি বলেন, “আমি ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুরের বিভিন্ন জায়গায়, সুনামগঞ্জ-১ আসনের আনাচে-কানাচে, হাট-বাজার, ইউনিয়ন, গ্রামে-গঞ্জে সব জায়গায় গিয়েছি, মানুষের ভালবাসা, আন্তরিকতা ও অতিথ্যেয়তা আমাকে অবিভুত করেছে।
তিনি আরো বলেন আমি জায়গায় জায়গায় মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক করেছি। মানুষের মনের কথা, বেদনার কথা শুনেছি। সবচেয়ে সম্পদশালী ও অত্যন্ত নান্দনিক একটি হাওড় জনপদের মানুষের যাপিত জীবন ও জীবিকায় সুযোগের অপ্রতুলতা ও বঞ্ছিত হওয়ার কথা, বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বঞ্ছনার কথা, এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত পশ্চাদপদতার কথা শুনেছি। মানুষ এখন উচ্চশিক্ষিত, প্রতিশ্রুতিশীল তরুন নেতৃত্ব চায়।
ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দান করেন,আমি মানুষের কথা, ভালবাসা ও প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে বলছি সুনামগঞ্জ-১ আসনে নৌকার বিজয় ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে সুনিশ্চত ইনশা আল্লাহ্‌। আর বিজয়ী হলে আমি আমার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংগঠনিক কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিষ্ঠার সাথে দল, এলাকা ও দেশের জন্য কাজ করব এবং তাৎপর্যপূর্ণ আবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করি।”
উল্লেখ্য ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার একজন উন্নয়ন, সুশাসন ও রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি দেশে ও বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণা করেন। তিনি ডেইলিস্টার, ঢাকা ট্রিবিউন, ডেইলিসান, ইন্ডিপেনডেন্ট, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, আমাদের সময় ও কালেরকণ্ঠে নিয়মিত কলাম লেখেন। একাডেমিক ক্ষেত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠযোগ্য তিনটি বই, আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত নয়টি পিয়ার রিভিউড জার্নাল প্রবন্ধ প্রবন্ধ ও চারটি বইয়ের অধ্যায়ের লেখক।
তিনি জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সুশাসন, পাবলিক সেক্টর রিফরমস, উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অর্থনীতি সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কনসালটেন্সি করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ও এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে পিএইচডি করেন।
তার জন্ম ১লা মার্চ ১৯৭৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে, যেখানে ১৯৭১ সালে ৯ মাস ব্যাপী মোহনগঞ্জ ও নেত্রকোনা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। তার দাদা মক্রম আলী তালুকদার ছিলেন ব্রিটিশ আমলের গ্রাম পঞ্চায়েত, চাচা অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক তালুকদার একজন সমাজসেবী, বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার একজন সাধারণ কৃষক ও সমাজসেবী। তার মাতা দিলারা ইসলাম তালুকদার একজন শিক্ষানুরাগী রত্নগর্ভা। মায়ের হাতেই তার এবং তার ভাই-বোনদের পড়াশুনা শুরু। তার ছয় ভাই-বোনের প্রত্যেকেই সুশিক্ষিত। প্রখ্যাত বাউল সাধক উকিল মুন্সি ছিলেন তার মাতামহীর পিতা। তিনি তৃণমুল ও কেন্দ্র সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশী।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪২:০৭   ৫৩৪ বার পঠিত