শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির নেতা সালাউদ্দিনের মামলার রায় আজ

Home Page » প্রথমপাতা » ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির নেতা সালাউদ্দিনের মামলার রায় আজ
শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজ: বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ রায় হতে পারে।

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের একটি আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

সালাউদ্দিনের অনুপ্রবেশের মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলতি বছরের ১৩ আগস্ট শেষ হয়। এরপর থেকেই রায়টি অপেক্ষমান রাখেন আদালত।

সালাউদ্দিনের আইনজীবী এসপি মহন্ত জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আশাবাদী, রায় সালাউদ্দিনের পক্ষেই যাবে।

এদিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে মার্চে তাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাকে শিলংয়ে ফেলে রেখে যায়। আদালতে তিনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

উল্লেখ্য, সালাউদ্দিনকে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে শিলং থেকে মেঘালয় পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। তিনি এর আগে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ ছিলেন। অবশ্য সালাউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, অপহরণকারীরাই তাঁকে ভারতে নিয়ে এসেছে। তিনি কিছুই জানেন না।

এরপর মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ ২০১৫ সালের ১১ মে মাসে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচারকাজ চলার পর ২৮ সেপ্টেম্বর রায় দিতে যাচ্ছেন আদালত।

এদিকে আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তার ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

যদিও সালাউদ্দিনের আইনজীবী বলেছেন, রায় সালাউদ্দিনের পক্ষেই যাবে। সালাহউদ্দিন আহমেদেরও আশা, আদালত ন্যায়বিচার করে রায় দেবেন।

সালাউদ্দিনের আইনজীবী এ পি মহন্তে বলেন, ‘এ ধরনের মামলার কার্যক্রম শেষ হতে এত সময় লাগার বিষয়টি ‘বিরল’। আশা করি তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। আদালতকে সবকিছু স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস হন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতি আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সাংসদ নির্বাচিত ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

তিনি ভারতে আটককালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্বরত ছিলেন এবং আটক থাকা অবস্থায় তাকে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য মনোনীত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০২:২২   ৪৩৩ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #