শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মধ্যনগরে অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ

Home Page » বিবিধ » মধ্যনগরে অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ
শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮



মধ্যনগর ম্যাপস্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজঃঃসুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানাধীন বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির পাঁচ বস্তা চাউল অবৈধভাবে পাচারের অভিযোগ ওঠেছে । অভিযোগ পাওয়ার পর ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঐ স্থানে উপস্থিত হয়ে  ডিলারের খাদ্য ভান্ডার সিলগালা করে দেয়।এই বিষয়ে  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সেলিম  হায়দারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

হামিদপুর চৌরাস্তার খাদ্যবান্ধব  কর্মসূচির ডিলার মো.আলাল উদ্দীন (৪৮)  জনান,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে যে আমি অবৈধভাবে পাঁচ বস্তা চাউল পাচার করেছি। তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।আমি চাউল গুলো পাঁচজন প্রকৃত কার্ডধারীর নিকট বিক্রি করেছি।এই পাঁচজন কার্ডধারী হলো ১.আইয়ূব আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া,২. রুক্কু মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া ,৩.জরিনা স্বামী জসিম উদ্দীন,৪.রজব আলীর ছেলে মজিবুর  ও ৫.রেখা স্বামী শামছুল হক ।

তিনি আরোও জানান,যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে তারা চারজন হলো হামিপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে মোশারফ(৩৩),জয়পুর গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে মজনু(৩৫),শাহজাহানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম বাবু(২৮),দক্ষিণউড়া গ্রামের বিমল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব  বিশ্বাস(৩৫)। তারা আমার কাছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাউল কার্ডধারী ছাড়া অবৈধভাবে বিক্রির অনুরোধ করে কিন্তু আমি তা দিতে রাজি হয়নি ।যার ফলে আমার ডিলারের গুদাম থেকে ১ কিলোমিটার দূরে  জয়পুর গ্রামের সামনে কার্ডধারীদের কাছ থেকে  পাঁচবস্তা চাউলসহ ঠেলাগাড়িটি আটক করে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় ।এবং ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে। তিনি এসে খাদ্য ভান্ডার সিলগালা করে দেন।

অভিযোগ দায়েরকারীদের মধ্যে দু’জন গেল বছর ২০১৭ সালে মোশারফ ও বিপ্লব বিশ্বাস  “ওএম এস” এর  ডিলার ছিল। কিন্তু অবৈধভাবে চাউল বিক্রি করার দায়ে তাদের ডিলার বাতিল হয়ে যায়।এই বিষয় নিয়ে অনেক  দৈনিক সমকাল,প্রথম আলো,সুনামগঞ্জের খবর সহ আরোও অনান্য অনলাইন মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৯:১০   ৫১৭ বার পঠিত