শুক্রবার, ৩ আগস্ট ২০১৮

ট্রাফিক শৃঙ্খলার নজির দেখিয়ে দিল ওরা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ট্রাফিক শৃঙ্খলার নজির দেখিয়ে দিল ওরা
শুক্রবার, ৩ আগস্ট ২০১৮



ট্রাফিক শৃঙ্খলার  নজির

বঙ্গ-নিউজঃ   স্কুল-কলেজ সরকার তিন দিনের ছুটির ঘোষণা দিলেও রাজপথে ছিল শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বরং জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাফিক পুলিশের মতো যানবাহনের কাগজপত্র যাচাইয়ের দায়িত্ব পালন করেছে। এ যাচাই-বাছাইয়ের হাত থেকে রেহাই পাননি মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব-পুলিশ কর্মকর্তারাও। আবার এসব গাড়ির বিরুদ্ধে সার্জেন্টদের দিয়ে মামলা ঠুকে দিতে বাধ্য করে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। গত রবিবার দুপুরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শহীদ রমিজউদ্দীন কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া ও রাজীবকে বাসচাপায় হত্যার পর পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রাস্তায় পোশাকধারী পুলিশের উপস্থিতি কম ছিল। গণপরিবহনও ছিল খুব কম।

পাঠাওসহ অন্যান্য অ্যাপসভিত্তিক মোটর রাইড চালকরা চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত ভাড়ায় চলাচল করেছে। বিআরটিসির গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় সেগুলোয় মামলা দেওয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কোথাও-কোথাও মানববন্ধনও করে। শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সরাতে গিয়ে বিকাল ৪টার দিকে মিরপুর বিআরটিএ-পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিএমও) গেট পর্যন্ত পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে থাকা কয়েকজন যুবক চড়াও হয় শিক্ষার্থীদের ওপর। এতে পোশাক পরা তিন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছিলাম। পুলিশ হঠাৎ এসে আমাদের লাঠিপেটা শুরু করে। ফাঁকা গুলি করে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগও যোগ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পুলিশের পল্লবী জোনের এসি ইয়াসমীন সাইকা পাশা বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলা ও পিএমও গেট ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পুলিশের সঙ্গে লাঠিহাতে কারা ছিল, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে দুপুরে ধানমণ্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরি সিগন্যালে বায়েজিদ নামে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। সার্জেন্ট তখন উত্তেজিত হলে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সার্জেন্টকে মারধর করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই সার্জেন্টের মোটরসাইকেলের অগ্নিসংযোগসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডির ১৫ নম্বরে পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর গাড়িচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু চালক লাইসেন্স দেখাতে না পারায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকে স্লোগান দেয়- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘সবার জন্য আইন সমান’। পরে মন্ত্রী নিজেই গাড়ি থেকে নেমে ছাত্র আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অন্য একটি গাড়িতে চড়ে গন্তব্যে যান। আড়াইটার দিকে আসাদগেটে আটকে দেওয়া হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের গাড়ি।
একই কারণে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনের গাড়ি আটকে দেয়। সকাল ১০টার দিকে মগবাজারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। সকালে শাহবাগে মামলা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবর রহমানের গাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও।
গাড়ি ও চালকের কাগজপত্র না থাকায় সংসদ ভবনে প্রবেশ ও বের হতে পারেননি অনেক মন্ত্রী-এমপি। এভাবে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে নৌপুলিশের ডিআইজি, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, সাংবাদিকের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে কাগজপত্রবিহীন পুলিশের মোটরসাইকেলেও সার্জেন্টকে মামলা গ্রহণে বাধ্য করা হয়।
দুপুরে না খেয়ে রাজধানীর শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, কাঁটাবন, হাতিরপুল, বাংলামোটর, ফার্মগেট, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর, উত্তরা, কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, মতিঝিল, রাজারবাগ, শান্তিনগরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি মোড়ে ছিল বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী। গাড়ির কাগজপত্র যাচাই ছাড়াও লেনে শৃঙ্খলার সঙ্গে গাড়ি চলাচলে বাধ্য করে তারা।
শাহবাগের সাবেক শেরাটন হোটেলের সামনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বিআরটিসির একটি গাড়ি আটকের সময় কথা হয় উদয়ন স্কুলের শিক্ষার্থী আহসানের সঙ্গে। তার ভাষ্য, এই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। এটা আমাদের মতো সবাইকে দেখা উচিত।
ঢাকা ছাড়াও গতকাল দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনও করে।
সারা দেশ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কেরানীগঞ্জ : বুড়িগঙ্গা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে কেরানীগঞ্জের কদমতলী নুর ইসলাম কমান্ডার চত্বরে বিক্ষোভ করে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগান দেয়- ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সুষ্ঠু মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই’, ‘ছাত্রসমাজ জেগেছে, রাজপথ কেঁপেছে’।
রাজশাহী : সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকে। হাতে নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা বিক্ষোভে অংশ নেয়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ।
সিলেট : সকালে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডিপুল এলাকায় মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক আধঘণ্টা অবরোধ করে রাখে তারা। এর পর বেশকিছু পরিবহনের লাইসেন্স চেক করে তারা। বিকালে নগরীর জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে হাজারো শিক্ষার্থী।
বরিশাল : বেলা ১১টার দিকে নগরীর চৌমাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি চালিয়ে যায়। পাশাপাশি বেশ কিছু যানবাহন বিক্ষোভস্থল অতিক্রম করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় তারা।
বগুড়া : সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু করে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। সবার হাতে প্রতিবাদের বিভিন্ন স্লোগান লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছিল। ঘণ্টাখানেক পর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তিনমাথা রেলগেট এলাকায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর করে।
ঠাকুরগাঁও : দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় বিক্ষোভে নামে শত শত শিক্ষার্থী। তারা সব যানচলাচল বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন গাড়িচালকের লাইসেন্স চেক করতে থাকে। লাইসেন্স না পেয়ে তারা দুটি ট্রাক ভাঙচুর করে।
ভোলা : সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার হাতে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ ছাত্রদের বক্তব্য রাখতে বাধা দেয় এবং মানববন্ধন থেকে চলে যেতে বাধ্য করে।
জাবি : দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন।
পটুয়াখালী : বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী চৌরাস্তা এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। এতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটাগামী যান চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করে।
গাজীপুর : টঙ্গী, চন্দ্রা, রাজেন্দ্রপুর ও চান্দনা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
নরসিংদী : দুপুর ১২টা থেকে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অবরোধ সৃষ্টি করে। এ অবরোধ পরে ছড়িয়ে পড়ে সৈয়দনগর ইটাখোলারসহ মাহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অবরোধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নোয়াখালী : বেলা ১১টায় জেলা শহর মাইজদীতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।
নাটোর : সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর এনএস কলেজ, সরকারি বালক বিদ্যালয় ও রানী ভবানী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং কানাইখালী পুরনো বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টাাব্যাপী মানবববন্ধন করে।
শেরপুর : বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে শহরের নিউমার্কেট চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের নেতারা, সাধারণ পথচারী অংশ নেন।
নওগাঁ : সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রধান সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিলা স্কুল, পিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
ঝালকাঠি : সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।
হবিগঞ্জ : বেলা ১১টায় বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশের একপর্যায়ে যানবহনের চালকদের লাইসেন্সসহ ফিটনেস না থাকায় সড়ক অবরোধ করে তারা। একই সময় ভাদৈ ও ধুলিয়াখাল এলাকায় হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করা হয়।
বান্দরবান : বেলা ১১টায় শহরের ট্রাফিক মোড়, প্রেসক্লাব চত্বর ও বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল নিয়ে থানার দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করে।
মুন্সীগঞ্জ : ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া এলাকায় বিক্রমপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।
মাদারীপুর : ঢাকায় পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাদারীপুরের দূরপাল্লার বাস চলাচলা বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহন চলাচল করছে।
যশোর : বেলা ১১টার দিকে যশোর এমএম কলেজ, সিটি কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, বিসিএমসি, শাহীন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং স্লোগানে-স্লোগানে শহর প্রকম্পিত করে তোলে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সকাল সোয়া ১০টায় শহরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাত্রসমাজের উদ্যোগে কয়েকশ শিক্ষার্থী মানববন্ধন রচনা করে।
পঞ্চগড় : পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে ১ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে পঞ্চগড় এম আর সরকারি কলেজ, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ, পঞ্চগড় বিপি সরকারি বালক উচ্চ বিদালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়।
পাবনা : দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা কালেক্টরের পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জেলা স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাবনা শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে এসে জড়ো হয়। পরে তারা সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করে। এ সময় চালক ও যাত্রী এবং পথচারীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সাধুবাদ জানিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা না করার অনুরোধ জানান।
কিশোরগঞ্জ : সকাল ১০টা থেকে শহরের গুরুদয়ার সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ১৫টি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে শহরের কালীবাড়ী এলাকায় নরসুন্দা নদীতীরবর্তী শহীদ এটিএম হায়দার বীরোত্তম চত্বরে। দুপুর ১২টার দিকে তারা নরসুন্দা নদের দুপাড়ের সংযোগ ব্রিজে অবস্থান নেয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের পর প্রশাসনের অনুরোধে সরে যায় তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৪:১৬   ৭২১ বার পঠিত   #  #