বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট ২০১৮
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য-ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার
Home Page » এক্সক্লুসিভ » চিত্ত যেথা ভয়শূন্য-ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদারব্যক্তির মন্ত্রিত্ব ঠিকিয়ে রাখার থেকে জনমানসে সরকারের ভাবমূর্তি ধরে রাখা অনেক জরুরি। নৈতিক দায়িত্ব বোধ থেকে মন্ত্রীমহোদয়ের পদত্যাগ করা উচিত ছিল এবং এতে সরকারের ভাবমূর্তি ভাল থাকতো।
জন অভিমতের সমাজতাত্ত্বিক তাৎপর্য অনুধাবন ব্যতীত রাজনীতি ও সরকারনীতি অবচেতনে দুষ্টচক্রের সুবিধাকেন্দ্রিক হয়ে যায়। তাতে জনমানসে আরও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, এবং প্রতিপক্ষ অন্যায্য সুযোগ নেয়।
সেদিক থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ মিটিংয়ে মন্ত্রীমহোদয়দের উদ্দেশে যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং চলমান ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে অবস্থান নিয়েছেন তা অত্যন্ত ইতিবাচক ও গ্রহণযোগ্য।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে মোকাবেলা করা পুলিশের উচিত হয়নি। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীমহোদয়ের ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনা দুর্বলতা প্রকাশ পায়। পুলিশি আচরণের প্রক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীমহোদয়ের আরও সংবেদনশীল ও ডিপ্লোমেটিক আচরণ জনপ্রত্যাশা ছিল।
বেপরোয়াভাবে তিন শতাধিক গাড়ি ভাঙ্গার সাথে উস্কানি ও রাজনৈতিক সুবিধা লুটের অভিসন্ধি থাকার সমূহ আশঙ্কা আছে। মবআচরণ বিশ্লেষণ থেকে আমরা সকলেই বুঝি যে গ্রহণযোগ্য আচরণ নাহলেও এটা সীমিত পর্যায়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, অব্যাহতভাবে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হতে পারেনা। এমনকি মব আচরণের সমাজ-মনোবিজ্ঞানিক সংজ্ঞাও হচ্ছে ‘জনতার সম্মিলিত, তাৎক্ষণিক ও আকস্মিক আচরণ’। মনোবিজ্ঞান আর সমাজবিজ্ঞানের হাতিয়ার ছাড়া এই জনমনস্তত্বের গভীরে আমরা যেতে পারবো না।
তবে অব্যাহতভাবে গাড়ি ভাংচুর সম্ভব হয়েছে ইন্টিলিজেন্স দুর্বলতার কারণে এবং শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কৌশলী আচরণের অভাবে। এটি মোকাবেলায় ব্যর্থতার কারণ একটি অশনি সংকেত।
লেখকঃ গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এবং আহ্বায়ক বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১০:০০ ৮৭৯ বার পঠিত