শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
লন্ডন প্রবাসী জনপ্রিয় লেখিকা গুলশান আরা রুবিকে সাহিত্য সম্মাননা প্রদান
Home Page » বিবিধ » লন্ডন প্রবাসী জনপ্রিয় লেখিকা গুলশান আরা রুবিকে সাহিত্য সম্মাননা প্রদানবঙ্গ-নিউজঃ- লন্ডন প্রবাসী লেখিকা ও কথা শিল্পী মিসেস গুলশান আরা রুবীকে ৭১ পরিবার সিলেট ক্লাবের পক্ষ থেকে দুটি সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা তুুুলেদেন বিশিষ্ট কবি নির্মেলন্দু গুণ। তিনি বাল্য বিবাহ নিয়ে নিজের আত্ব জীবনী ‘লন্ডনী বধু আত্মকথা’ বই লিখে সমাজ সচেতনায় অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার কবিতা পাঠক ও সন্মাননা অনুষ্ঠান বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল । অনুষ্ঠানে মুল কথা ছিল ‘পূর্ব পুরুষ ও শ্রেষ্ঠ সন্তানেরাই যেখানে বাল্য বিবাহ করে গিয়েছেন, সেখানে এটা প্রতিরোধ করবো কিভাবে’। ২৩ ডিসেম্বর ‘৭১ অনলাইন একটিভিটিস ফোরাম’ যারা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবতা নিয়ে কাজ করে একঝাঁক তরুণ আয়োজন করে এই অনুষ্ঠানের।
আয়োজিত সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সকলের পরিচিত শ্রদ্ধা ভাজন কবি নির্মলেন্দু গুণ । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কাজী রোজী এমপি। বাংলা একাডেমির পদকপ্রাপ্ত কবি আসলাম সানী, প্রফেসর ড. মাহফুজুর আখন্দ, কবি আবু তাহের বেলাল, শিল্পী সাংবাদিক ও লেখক আমিরুল মোমেনীন মানিক। অনুুুুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তাসনীম আলম।
পদকপ্রাপ্তির পর কবি, লেখিকা গুলশান আরা রুবি বলেন আমি বাল্যবিবাহ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দেশে মা বাবারা ছেলে মেয়েদেরকে পড়া লেখার সুযোগ না দিয়ে উচ্চ শিক্ষিত থেকে বঞ্চিত করেন । মেয়েদেরকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন ফলে দেশ হারাচ্ছে একটা শিক্ষিত মা। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও । আমি তোমাদেরকে শিক্ষিত জাতি দিব কিন্তু বাংলাদেশ শিক্ষিত মা পাচ্ছে না বলে শিক্ষিত জাতি গড়া সম্ভব হচ্ছেনা । আজ বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরূরী একটি উন্নত দেশ গড়তে বাল্য বিবাহ সমস্যাটি বাংলাদেশে জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা । বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনটি বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা প্রয়োজন। রেডিও টেলিভিশনে ও সংবাদ মাধ্যমে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা যেতে পারে । গ্রাম পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও মা ও কিশোর সমাবেশ এক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যতিত কোন অবস্থায় নিকাহ রেজিস্ট্রার যেন বিবাহ নিবন্ধন না করেন । প্রতিটি ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা যেতে পারে । পাঠ্য বইতে এ বিষয়টি অন্তরভুক্ত করা হলে এর সুফল পাওয়া যাবে। জন সচেতনতা বৃদ্ধিতে বেসরকারী সংস্থা গুলো ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে । আমি ভবিষ্যৎ আশাবাদী । আমি নিজেও একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে বাল্য বিবাহের শিকার হয়ে জীবনে অনেক কঠিন পথ পার করতে হয়েছে। যা আমি আমার ‘লন্ডনী বধু আত্মকথা’ বইয়ে বর্ণনা করেছি ।
বাংলাদেশ সময়: ৩:৫৭:৪০ ৮৯১ বার পঠিত