রবিবার, ৮ জুলাই ২০১৮

অভিযানেও থামেনি মাদক বিক্রি, পার্থক্য শুধু- আগে গিয়ে আনতে হতো, আর এখন এসে দিয়ে যায়

Home Page » এক্সক্লুসিভ » অভিযানেও থামেনি মাদক বিক্রি, পার্থক্য শুধু- আগে গিয়ে আনতে হতো, আর এখন এসে দিয়ে যায়
রবিবার, ৮ জুলাই ২০১৮



প্রতীকি ছবি  বঙ্গ-নিউজ: রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে মাদকবিরোধী অভিযান। এতে প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা কিছুটা কমলেও, থেমে থাকেনি মাদক সেবনকারীরা। এমনকি মাদক সংগ্রহ করতে খুব বেশি কষ্টও পোহাতে হয়নি তাদের। পার্থক্য শুধু- আগে গিয়ে আনতে হতো, আর এখন এসে দিয়ে যায়। আর মাদকের মধ্যে সব থেকে বেশি চাহিদা ইয়াবা ও গাঁজার।

রাজধানীর মিরপুর ভাসানটেক, সাত নম্বর, ১০ নম্বর, কারওয়ানবাজার ও মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায় দিনের আলোতে মাদক বেচাকেনা করছে না কেউ। তবে সন্ধ্যা নামতেই দেখা মেলে আসল চিত্র।

মিরপুর ১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিসের ৪ নম্বর গেটের সামনে সন্ধ্যা হলেই বসে পরে গাঁজা বিক্রেতা সুজন। ক্রেতা সেজে বিডি২৪লাইভের প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত হলে সুজন বলেন, ‘ভাই বেশি সময় দাঁড়ানো যাবে না, তাড়াতাড়ি মাল নিয়া সটকে পড়েন এখন পুলিশ একটু বেশি ঝামেলা করতাছে।’

‘আমি বেচি গাঁজা, রোডের ভেতরে বেঁচে ইয়াবা। তবে এখন গাঁজা, ইয়াবা দুইটার দামই বেশি। ইয়াবা আগে ছিল ২০০ টাকা এখন বেঁচে ৩৫০ টাকা।’

মাদক সেবনকারী (জসীম) ছদ্দনাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আগে ১০০ টাকার গাঁজা দুই দিন যেত এখন একদিনও যায় না।’ তবে পুলিশের অভিযান চললেও মাদক পাওয়া যায় ঠিকই বলে জানান তিনি। বলেন, ‘শুধু দাম একটু বেশি দিয়ে কিনতে হবে।’

এদিকে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের চিত্রটা একটু ভিন্ন। সেখানে মাদক আগে প্রকাশ্যে লেনদেন হলেও এখন আর সেটা হয় না। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘প্রথমে বিকাশ এজেন্ট নম্বর নিয়ে আসতে হবে। বিকাশে টাকা পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে একদম বাসায় হাজির হয়ে যাবে ইয়াবা।’

কারওয়ানবাজার রেলবস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, ‘বাইরে পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে আর তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আগের চেয়ে ৫০-১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা। আর এই কাজ পরিচালনা করছেন ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ রহিমা, ‘ইয়াবা সম্রাটখ্যাত’ মোল্লা আনোয়ার, হারুন, ফইটকা দেলা, রুবেল, ‘ফর্মা জামাল’ তবে দিনের বেলা সেখানেও কিছুই পাওয়া যায় না।

ভাষানটেক এক নম্বর বস্তি, ২ নম্বর বস্তি, ৪ নম্বর বস্তি, শ্যামল পল্লী, রূপসী বাংলা, শিল্পীর টেক, আমানত সমিতি আবাসিক এলাকা এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার স্পটগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম খলিল।

সিআইডি অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে ঢাকার মিরপুর, খিলগাঁও, গুলশান এলাকা থেকে অনেক মাদক ব্যাবসায়ীদের আটক করেছি। এক সঙ্গে সব কিছু দমন করাও সম্ভব হয় না। আমাদের অভিযান চলছে। এটা দমন না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

মাদক অভিযানের বিষয়ে (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘আমরা তালিকা তৈরি করে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। একসাথে সকল চিহ্নিতদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে মাদক বেচা-কেনা কমেছে।’

বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৭:৫১   ৭৩৫ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #