রবিবার, ৮ জুলাই ২০১৮

ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা ‘শুধু একবার দেখা দাও’

Home Page » সাহিত্য » ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা ‘শুধু একবার দেখা দাও’
রবিবার, ৮ জুলাই ২০১৮



শুধু একবার দেখা দাও

কতবার ভেবেছিলাম ভেসে যাবো ঐ মেঘের দেশে।
পূর্ণিমার চাঁদে অবগাহন করব, মাখিয়ে রুপালি জোৎনা।
একবার কতবার এসেছিলে তুমি।
হয়ত কিছু না বলা কথা, বুঝতে চায় তবু বুঝতে পারিনি আমি।
যেখানে ঐ মেঘের লুকোচুরি, ঐ ঘন অরণ্যে,
বিশাল সমুদ্রে, বা ঐ পাহাড়ের মাঝে খুঁজে বেড়ায়।
কতবার ভেবেছিলাম ভেসে যাবো ঐ মেঘের দেশে।
খোঁজা শেষ!
খুঁজতে খুঁজতে আজ বড়ো ক্লান্ত।
তবু অবিরাম তোমার চরণে এক মুঠো শিউলি দিতে ভুলিনি।
ভুলিনি তোমার চরণ স্পর্শ করে,
সবার মঙ্গল কামনা করতে।
তবুও তুমি লুকিয়ে থাকো ,
ঐ মেঘের মাঝে, ঘন অরণ্যে, সমুদ্রের ঢেউয়ে বা পাহাড়ের গহ্বরে।
শুধু একবার দেখা দাও।
আমি কিছু চাইবোনা,
আমি যে সোপে দিতে চায় নিজেকে তোমার চরণ তলে ।
আমার এই আকুতি যদি স্পর্শ না করে যদি মনে না পড়ে, যদি ফিরিয়ে দাও,
তবু মনে রেখো আমি থাকবো তোমার চরণ স্পর্শ করে।
শিউলির গন্ধে ভাঙাবো তোমার ধ্যান।
সম্পূর্ণ সমর্পণ করেও যদি না পাই তবে দোষ দিওনা প্রভু।
শুধু এইটুকুই চেয়েছিলাম, থাকতে তোমার চরণ তলে।
একটু ঠাঁই চেয়েছিলাম তোমার চরনে।
শুধু একবার দেখা দাও প্রভু, শুধু একবার।


ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ২১-শে এপ্রিল ১৯৬১, কলকাতার সঙ্গীতমনস্ক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে। বাবা স্বর্গীয় চিত্তপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ভীশ্বদেব চেট্টাপাধ্যায় এর প্রিয় ছাত্র। কাকা পীযূষপ্রসন্ন পণ্ডিত রবিশঙ্করের শিল্পশিক্ষায় দীপ্ত। ১৭ বছর বয়সে নিজেকে স্বাবলম্বী করা ও দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে সমর্পিত করার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগদান এবং ২১ বছর ধরে এই নিষ্ঠাপালন। ১৯৯৯ সালে বায়ুসেনা থেকে সেবানিবৃত্তির পর আই আই টি খড়্গপুরে যোগদান। ২০০৭ সালে রবীন্দ্রভারতীকে আপন করে নেওয়া এবং নিরাপত্তা সুরক্ষা অধিকারী হিসেবে যোগদান। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ছাত্রকল্যাণ অধিকারী, Purchase Officer এবং Law Officer এর দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের Security and Disaster Management পাঠ্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত। ২০১৬ -তে আমন্ত্রণমূলক বক্তৃতা প্রদান অক্সফোর্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১:০৩:৩৩   ১০৭৮ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #