সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮

ডাঃ মিরাজ উদ্দিন’র স্মরণে আয়োজিত সাহিত্য উৎসব পরিনত হলো কবি সাহিত্যিকের মিলন উৎসবে

Home Page » সাহিত্য » ডাঃ মিরাজ উদ্দিন’র স্মরণে আয়োজিত সাহিত্য উৎসব পরিনত হলো কবি সাহিত্যিকের মিলন উৎসবে
সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮



ডা.মিরাজ উদ্দীন স্মরণে সাহিত্য উৎসববঙ্গ-নিউজ,স্টাফ রিপোর্টার:- সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের লায়েছ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে প্রয়াত ঔপন্যাসিক ডাঃ মিরাজ উদ্দিন’র স্মরণে গতকাল ২.০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য উৎসবটি কবি সাহিত্যিকদের মিলন উৎসবে পরিনত হয়েছে।সাহিত্য উৎসবকে ঘিরে সকাল থেকেই কবি জীবন কৃষ্ণ’র কল্পিত “সাহিত্যের আধ্যাত্মিক নগরী” বংশীকুণ্ডায় বিরাজ করছিল উৎসব উৎসব রব।উৎসবে যোগ দিতে ঢাকা,সিলেট,সুনামগঞ্জ,নেত্রকোনা,কিশোরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছিল বিভিন্ন খ্যাতনামা লেখক কবিগন।স্থানীয় স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যোগদেন এলাকার বিশিষ্ট সাহিত্যানুরাগী ব্যক্তি বর্গ।হাওরের সমীরণেও যেনো মুখরিত হচ্ছিল কবিতা কবিতা রব।অযুত অক্ষৌহিণী পবনদলেরাও যেনো যোগ দিয়েছিল শোঁ শোঁ শব্দে ঐ সাহিত্য মিলন স্থলে।কবি জহিরুল ইসলামের পরিচানায় শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন কবি উমর ফারুখ এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন জীবন কৃষ্ণ সরকার।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবযাত্রা কাব্য পরিষদের সভাপতি,১৪ টি মৌলিক গ্রন্থের লেখক,একাত্তরের রনাঙ্গণের অগ্রসৈনিক,বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি মনজুরুল হক তারা।অনুষ্ঠাণের সূচনা পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন লায়েছ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সাইদুল ইসলাম ও সাংবাদিক আল আমিন আহমেদ সালমান।তারপর অনুষ্ঠানের উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ঔপন্যাসিক ডাঃ মিরাজ উদ্দিনকে নিয়ে লেখা কবি জীবন কৃষ্ণের মূল প্রবন্ধটি পাঠ করেন  নেত্রকোনা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা।কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা পর্ব ও অতিথি হিসেবে যোগদেন, লায়েছ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজ উদ্দিন, দক্ষিণ বংশীকুণ্ডা ইউপির চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ, গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ওবায়দুল হক মুনশী,কবি মনজুর মোহাম্মদ,আন্তর্জাতিক স্বাধীন বাংলা সাহিত্য সমাজ কল্যাণ সংসদের সহসভাপতি কবি বকুল মাস্টার,রাইটার্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র সাহিত্য সম্পাদক কবি মিজান মাহমুদ,পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা কবি শফিকুল হক সোহাগ,কলমাকান্দা পরিবার সাহিত্য গ্রুপের এডমিন কবি কাজল তালুকদার,সাংবাদিক রিনা হায়দার,কবি বিপ্লব সাহা,সাংবাদিক জাকির হোসেন রাজু,বাউল কবি সুধীর রঞ্জন সরকার,ঔপন্যাসিক মিরাজ উদ্দিন’র বড় ছেলে সাবরিন মামুন,লায়েছ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’র গভর্ণিং বডির সদস্য মোঃ ফজলুল হক,মধ্যনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম,বীর মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান,কবি আলাউদ্দিন সরকার,চামরদানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম জিলানী,সাংবাদিক রিনা হায়াদ,কবি ইকবাল হোসেন রুবেল,অত্র বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া,কবি অজয় রায়,নাট্যকার দিবাকর সরকার শেখর,বংশীকুণ্ডা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মনি,বংশীকুণ্ডা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি কৃষ্ণধন সরকার বিদ্যুৎ,মনিরুল ইসলাম মনির,ডাঃ আব্দুল হাই,কবি আব্দুল হামিদ ভাষানী,।অনুষ্ঠাণে কবি শফিকুল হক সোহাগ রচিত “প্রতিশ্রুতির সংলাপ”, কবি জহিরুল ইসলাম জহির রচিত “মানবতার সংকট” নামে দুটি বই অতিথিদের হাতে তুলে দেয়া হয়  ও ইমরান আহমেদ সম্পাদিত “স্বপ্ন সিঁড়ি” নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকার মোড়ক উন্মোচিত হয়।সভায় বক্তারা ঔপন্যাসিক মিরাজ উদ্দিনকে মানবতাবাদী লেখক হিসেবে উল্যেখ করেন।তারা বলেন এমন লেখকরাই জাতির পথপ্রদর্শক।পরে হাওরে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হাসুস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।জমজমাট সাহিত্য আড্ডার একপর্যায়ে উপস্থিত সকলে মোহগ্রস্থ হয়ে পড়েন।জানতে চাইলে হাসুসের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং উৎসবে সভাপতি কবি জীবন কৃষ্ণ সরকার বলেন “আমাদের লক্ষ সমগ্র হাওরপারে সাহিত্য ভাবনা জাগিয়ে তুলা।আমরা সাহিত্য উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর শুভ সূচনা করেছি।সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা এভাবেই হাওরের সকল গুণীজনদের উৎসবের মাধ্যমে স্মরণ করতে চাই।” সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন ডাঃ মিরাজ উদ্দিন ছিলেন নগ্নতাবিহীন সামাজিক উপন্যাসের লেখক।তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।সংক্ষিপ্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৯:৫৬   ১১১৩ বার পঠিত