মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮

তাসপিয়ার মৃত্যু বিষক্রিয়া বা অ্যালকোহলে হয়নি- ‘ভিসেরা প্রতিবেদন

Home Page » এক্সক্লুসিভ » তাসপিয়ার মৃত্যু বিষক্রিয়া বা অ্যালকোহলে হয়নি- ‘ভিসেরা প্রতিবেদন
মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮



ছবি সংগৃহীত বঙ্গ-নিউজ: চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসপিয়া আমিনের হত্যাকাণ্ডের ‘ভিসেরা প্রতিবেদন’ পুলিশের হাতে এসেছে। সোমবার (১১ জুন) তাসপিয়া হত্যাকাণ্ডের এ প্রতিবেদনটি আসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে।

পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে উপড় হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা তাসপিয়ার ময়নাতদন্তের ‘ভিসেরা প্রতিবেদন’ এসেছে। প্রতিবেদনে তাসপিয়ার মৃত্যু বিষক্রিয়া বা অ্যালকোহলে হয়নি বলে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভিসেরা পরীক্ষায় ফলাফল ‘নেগেটিভ’ অর্থাৎ বিষক্রিয়া বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনো কিছুর ক্রিয়ায় স্কুলছাত্রী তাসপিয়া আমিনের মৃত্যু হয়নি। তার মৃত্যু হয়েছে অন্য কোনো কারণে। আর সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রয়োজন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। তাহলেই তাসপিয়ার মৃত্যু রহস্য জানা যাবে। সে কারণে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

তবে কবে নাগাদ এ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।

এদিকে মামলার বাদী ও নিহত তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন দাবি করেছেন এই মামলা যেন পিবিআইএর হাতে যায়। কারণ, পুলিশ তার মেয়ের মামলার তদন্তে গাফিলতি করছে। অথবা অন্য কোনো কারণে তারা সফলতা দেখছে না।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়া হলে কম সময়ে সব বেরিয়ে আসবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২ মে স্থানীয়রা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সৈকত এলাকার ১৮ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে পাথরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে। পরে স্বজনেরা লাশটি তাসপিয়ার বলে শনাক্ত করে।

সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়, লাশের এক চোখ উপড়ে ফেলা, অপর চোখ নষ্ট করে দেয়া ছাড়াও নাক-মুখ থেঁতলানো, পিঠ, বুক এবং যৌনাঙ্গে নির্যাতনের ছাপ পায় পুলিশ। তার বুকের মাঝেও নখের দাগ রয়েছে।

এর আগে, গত ১ মে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্রী তাসপিয়া আমিন। প্রেমিক আদদানের সঙ্গে প্রেমের এক মাস পূর্তি উৎসবে মিলিত হয় চায়না গ্রিল নামক একটি রেস্টুরেন্টে। এরপর আর বাসায় ফেরেনি তাসপিয়া।

এ ঘটনায় ৩ মে তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় তাসপিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রেমিক আদনান ও আদনানের বন্ধু মিজানুর রহমান ওরফে আসিফ মিজান গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শওকত মিরাজ, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, কথিত যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ ও তার সহযোগী সোহায়েল ওরফে সোহেল। এই চার আসামি ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। আর তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে রহস্য বৃত্তে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৯:৪৮   ৪৯১ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #