শনিবার, ১৫ জুন ২০১৩

” বিসিবি সভাপতিই শেষ ভরসা”

Home Page » খেলা » ” বিসিবি সভাপতিই শেষ ভরসা”
শনিবার, ১৫ জুন ২০১৩



bcb20130615094853.jpgবঙ্গ- নিউজ ডটকমঃ  প্রিমিয়ার লিগের দড়ি টানাটানি শেষ হচ্ছে না। ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ ক্লাব সমিতি এক পা এগোলে, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) দাবি করে ১০ পা এগুনোর। ক্লাব টাকা বাড়াবে না, কোয়াব টাকা বাড়ানোর দাবি থেকে নড়বে না। মাঝখান থেকে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) কর্মকর্তারা পড়েছেন গ্যারাকলে। কোনো সমাধানই দিতে পারছেন না তারা। এই জটিল সমস্যার সামাধান করতে পারেন কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।যে সমস্যা বিসিবি সভাপতিকেই সমাধান করতে হয়, অন্যদের দিয়ে সে কাজ না করালেও পারে। শনিবার সিসিডিএম কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন ক্লাব কর্মকর্তাদের নিয়ে। এই বেঠক থেকে কোনো সমাধান আসেনি। বিসিবি সভাপতির কোর্টে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বল। সমাধানটা বোর্ড সভাপতিকেই দিতে হবে।

ক্লাব সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে গত ২১ মে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ২০ জুন দল বদল এবং ১ জুলাই লিগ শুরু। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির পাশে থাকা ক্লাব কর্মকর্তারাও হ্যাঁ-সূচক সম্মতি দিয়েছিলেন সেদিন। কিন্তু বিসিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বৈঠকের সবকিছুই ভুলে গেছেন তারা।

ক্লাব সমিতি মিটিং করে ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেন ২০ লাখ টাকা। কিন্তু তাদের সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কোয়াব দাবি করে ৩০-৩৫ লাখ টাকা। কোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের সঙ্গে বৈঠক করে সিসিডিএম চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বসেছিলেন ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে। ওই বৈঠকে সর্বোচ্চ সম্মানী দুই লাখ বাড়িয়ে ২২ লাখ করা হয়। কিন্তু কোয়াব এতে রাজি না হওয়ায় শনিবার ক্লাবের সঙ্গে আরেকবার বৈঠকে বসে সিসিডিএম। ক্লাব প্রতিনিধিরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয় মিটিং।

আগামী ১৭ জুন সিসিডিএম এবং ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দিবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সভাপতির সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নিলে ২০ জুন দল বদল হতে পারে। তা না হলে আবারও ঝুলে যাবে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ।

এখানেই শেষ না, গ্রেডিং পদ্ধতিতে দল বদল মেনে নিতে রাজি না দু’একটি ক্লাব। তাদের দাবি আগেই ক্রিকেটারদের বেশি টাকা দিয়ে রেখেছেন তারা। এই টাকা কিভাবে ফেরত পাবেন এ প্রশ্নও উঠেছে। সিসিডিএম চেয়ারম্যান এ সম্পর্কে বলেন,‘যাদের তারা টাকা দিয়েছে তাদের ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য, সেই নামগুলো লিখিত দিতে বলেছি। কিন্তু তারা সেটা করেনি। এই দায় আমাদের না।’

এদিকে একজন ক্লাব কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন,‘সিসিডিএম এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের গ্রেড ঠিক করে দেয়নি। খেলোয়াড়দের তালিকা পাওয়ার পরই না ক্লাব দল বদলের প্রস্তুতি নিবে। এখানে খেলোয়াড় পছন্দের বিষয় আছে।’

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৭:০৪   ৪০৭ বার পঠিত