শুক্রবার, ২৫ মে ২০১৮

‘খালেদার মাথায় উকুন হয়েছে কি না জানি না’:সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ

Home Page » জাতীয় » ‘খালেদার মাথায় উকুন হয়েছে কি না জানি না’:সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ
শুক্রবার, ২৫ মে ২০১৮



 

 

ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজ: বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পোকামাকড়ে কামড়াচ্ছে বলে রুহুল কবির রিজভীর দাবি নিয়ে হাস্যরস করেছেন হাছান মাহমুদ। বলেছেন, বিএনপি নেত্রীর মাথায় উকুন হয়েছে কি না, সেটি তিনি জানেন না। আর রিজভী একেই পোকামাকড় বলেছেন কি না সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে টেলিভিশন, ফ্রিজ, নিজস্ব গৃহপরিচালিকা-সবই দেয়া হয়েছে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, এই রকম সুযোগ সুবিধা এর আগে কেউ পায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করছিলেন হাছান। এ সময় তিনি আগের দিন রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের জবাব দেন।

রিজভী বুধবার তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অসংখ্য পোকামাকড়ে আকীর্ণ কক্ষটিতে বাস করা যেন নরকবাস। এসব পোকামাকড় তার শরীরের নানাভাবে দংশন করছে, এতে তিনি (খালেদা জিয়া) আরও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

বিএনপি নেতার বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান বলেন, ‘বেগম জিয়ার মাথায় কি উকুন হয়েছে কি না আমরা জানি না। এখন সেই উকুনকে রিজভী আহমেদরা যদি পোকামাকড় মনে করেন তাহলে আমাদের কিছুই করার নাই।’

বিএনপি নেত্রীকে দেয়া সুযোগ সুবিধাকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোন রাজবন্দী নন, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন বন্দী। যেখানে কোন রাজবন্দীরাও এতো সুযোগ পায়নি।’

হাছান মাহমুদ

‘সেখানে তিনি তার পছন্দনীয় গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে সাথে রাখতে পারছেন, অত্যন্ত পরিপাটি একটি রুমে থাকছেন এবং সেখানে টেলিভিশন, ফ্রিজ, দৈনিক সংবাদপত্র, ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।’

প্রকৃতপক্ষে বিএনপির বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে তাদের সুস্থ চেয়ারপারসনকে কিভাবে জনগণের সামনে অসুস্থ হিসেবে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা।

এ সময় বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে কানাডা আদালতের দেয়া রায় নিয়েও কথা বলেন হাছান। গত ৪ মে কানাডা ফেডারেল কোর্টের রায় প্রকাশ হয়েছে ২১ মে। এর আগেও ২০১৭ সালের ১২ মে এবং একই বছরের ২৫ জানুয়ারি দুটি রায়ে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কানাডার একটি আদালত পুনরায় রায় দিয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি জামায়াত যেভাবে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছিল তা কানাডার আইন অনুযায়ী ‘টেররিস্ট অ্যাক্টের’ আওতায় পড়ে।

এ সময় সাংবাদিকদের রায়ের অংশ পড়ে শুনিয়ে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের চিত্র দেখান আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে পাঁচশত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে। তারা ৫৮২টি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, ট্রেন লাইন উপড়ে দিয়েছে, লঞ্চে আগুন দিয়েছে।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রচারের সুযোগ রেখে বিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদও জানান হাছান। বলেন, ‘এতদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের যে বিধি ছিল সেটি আওয়ামী লীগের জন্য বৈষম্যমূলক।’

‘যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয়, জাতীয় বা প্রাদেশিক যে কোন নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।’

‘এমনকি যে এলাকায় নির্বাচন হচ্ছে সেই এলাকায় তিনি ভোটার হওয়া সত্বেও ওই এলাকার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

‘এটিই ছিল নির্বাচন কমিশনের ইতিপূর্বেকার আচরণবিধি। সুতরাং এই আচরণবিধির ব্যাপারে আমাদের আপত্তি ছিল এবং এই আচরণবিধিটা বৈষম্যমূলক ছিল। এখন সেই বৈষম্যটা কিছুটা কাটবে, কিন্তু পুরোপুরি কাটবে না।’

বাংলাদেশ সময়: ৮:৫৩:০২   ৬২১ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #