মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮

বন্দুকযুদ্ধে’ আরও চার মাদক ব্যবসায়ী নিহত

Home Page » জাতীয় » বন্দুকযুদ্ধে’ আরও চার মাদক ব্যবসায়ী নিহত
মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮



দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্য গতকাল সোমবার রাতে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এতে আলমডাঙ্গায় একজন, সৈয়দপুরে দুজন ও বিরামপুরে একজন নিহত হন।

 গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে আলমডাঙ্গা শহরের রেলস্টেশনের পাশে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কামরুজ্জামান ওরফে সাধু (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।

পুলিশের ভাষ্য, কামরুজ্জামান জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নে।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিনটি গুলি ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। তারা বলছে, এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সদর) আহসান হাবীবের ভাষ্য, বিপুল পরিমাণ মাদক আসার খবর পায় পুলিশ। এই খবরের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গতকাল রাতে স্টেশনের পাশে অবস্থান নেয়। রাত একটার দিকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে থামতে বলে পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বন্দুকযুদ্ধে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা।

পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হামিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল মাসুদ রানা আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, কামরুজ্জামানের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। কারাভোগের পর সম্প্রতি বাড়ি ফিরে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। 

 সৈয়দপুরের গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় গতকাল রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁরা হলেন শহরের নিচু কলোনি এলাকার জনি (৩৪) ও ইসলামবাগ এলাকার শাহিন (৩২)।

পুলিশ বলছে, জনি ও শাহিন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, জনি ও শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল। আজ মঙ্গলবার ভোরে গোলাহাট এলাকায় তাঁদের লাশ পাওয়া যায়।

সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালের ভাষ্য, আটকের পর জনি ও শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় জসিয়ার রহমান ও নূর বাবু নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী মাদকের বড় চালান নিয়ে আসবেন। এই তথ্যের সূত্র ধরে আটক দুজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালায়। ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়। পুলিশ পাল্টা গুলি করে। এ ঘটনায় জনি ও শাহিন নিহত হন। আহত হন পুলিশের তিন সদস্য।

পুলিশ জানায়, নিহত দুজনের লাশের ময়নাতদন্ত হবে। এ জন্য লাশ দুটি মর্গে পাঠানো হবে।

 বিরামপুর পৌর শহরের মনিরামপুর এলাকায় গতকাল রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রবল হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, প্রবল হোসেন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর-বাসুপাড়া গ্রামে। বাবার নাম খলিলুর রহমান।

পুলিশের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিনটি গুলি, পাঁচটি ককটেল ও ৯২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মিজানুর রহমানের ভাষ্য, মাদক ও অস্ত্রের চালান আসছে বলে খবর পায় পুলিশ। এই তথ্য পেয়ে গতকাল রাতে পুলিশের একটি দল মনিরামপুর এলাকায় যায়। এ সময় ১০-১২ জন ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে প্রবল হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন পুলিশের তিন সদস্য।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সবুর জানান, ময়নাতদন্তের জন্য প্রবলের লাশ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:০২:৩৭   ৬৬৫ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #