সোমবার, ৭ মে ২০১৮

এক দশক পরে লেবাননে অনুষ্ঠিত হয়েছ পার্লামেন্ট নির্বাচন

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » এক দশক পরে লেবাননে অনুষ্ঠিত হয়েছ পার্লামেন্ট নির্বাচন
সোমবার, ৭ মে ২০১৮



ফাইল ছবি লেবান্নে নির্বাচন

বঙ্গ-নিউজঃ প্রায় এক দশক পরে লেবাননে অনুষ্ঠিত হয়েছ পার্লামেন্ট নির্বাচন। রোববার দেশটির ১৫ জেলায় ১২৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫৮৩ জন প্রার্থী। দেশটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০৯ সালে। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে পরবর্তীতে ২০১৩ ও ২০১৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও দেশটির নির্বাচনী আইনে কিছু সংস্কার করার কারণে ওই দুইবার নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। দুইবার বৃদ্ধি করে দেয়া হয়েছিল তৎকালীন সরকারের চার বছরের মেয়াদ।

এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি।
খবরে বলা হয়, নতুন আইন অনুসারে এইবারের নির্বাচনে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী লেবানিজ নাগরিকদের ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রবাসীরা শনিবারই ভোটদান শেষ করেছেন। এইবার একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন। একটি হচ্ছে একাধিক প্রার্থীদের জন্য ও অপরটি হচ্ছে পছন্দের প্রার্থীর জন্য। এ ছাড়া, কমিয়ে আনা হয়েছে নির্বাচনী জেলার সংখ্যা।
লেবাননে মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৩৮ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে ৭০ হাজারের বেশি ভোটার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। পুরো দেশজুড়ে খোলা হয়েছে ৬ হাজার ৮০০ ভোটকেন্দ্র। রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। সোমবার বা মঙ্গলবারের আগে আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা নেই। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববার রাতেই বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশ হতে পারে।
নিসরিন আফফার নামে এক ভোটার নির্বাচন নিয়ে বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি। আমরা শেষ ভোট দেয়ার পর অনেক সময় পার হয়ে গেছে। এই নির্বাচন যে পরিবর্তন নিয়ে আসবে আমি তার জন্য খুশি। ওই পরিবর্তনে আমাদেরও ভূমিকা থাকবে। যেটাতে আমাদের ছাপ থাকবে। আমাদের আগে দেশের সেবা করতে হবে তাহলে দেশ আমাদের সেবা করবে।’ নিসরিন একজন ব্যাংক কর্মী।
নতুন নির্বাচনী আইনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন করে সজ্জিত হতে বাধ্য করেছে। দেশজুড়ে গঠিত হয়েছে নতুন ও অবাক করা জোট। দেশের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওন সকালে ভোটদানের পর একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন। এতে তিনি বলেন, নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক ভোটের দরকার আছে। কেননা, এমনটা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম যে, বেশির ভাগ ভোটার প্রার্থী-তালিকায় থাকা প্রত্যেক প্রার্থীকে পছন্দ করবে।
ভোটদানকে একটি পবিত্র দায়িত্ব বলে বর্ণনা করে প্রেসিডেন্ট বলেন, যেখানে অনেক দেশ ভোটদানকে বাধ্যতামূলক করে রাখে সেখানে লেবানন প্রত্যেক নাগরিককে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুসরণ করার স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু লেবানিজদের তাদের অধিকার অবহেলা করা উচিত নয়।
নির্বাচনকে ঘিরে পুরো দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহ, গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, তারা হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত জেলাগুলোর খবর পেতে চায় তাহলে তাদেরকে দলটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে

বাংলাদেশ সময়: ১২:১১:৫৩   ৭৯৮ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #