রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হাসিনা-মোদির বৈঠকে হতে পারে

Home Page » জাতীয় » চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হাসিনা-মোদির বৈঠকে হতে পারে
রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮



ফাইল ছবি বঙ্গ-নিউজ: চলতি  মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বৈঠক লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। আজ কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রায় এক বছর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এরমধ্যে কোনও তৃতীয় দেশের মুখোমুখি হননি তারা। দুটি দেশেই নির্বাচন কড়া নাড়ছে। লন্ডনের বৈঠকটি সম্ভব হলে, কূটনৈতিক শিবিরের হিসাব মতো বর্তমান সরকারের আমলে এটাই দু’দেশের শেষ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ফলে এই বৈঠকের গুরুত্ব গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই যথেষ্ট।

খবরে বলা হয়েছে, ওই সময়ে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সরকার প্রধানদের বৈঠকে যুক্তরাজ্য যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও যোগ দেবেন এতে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ওই সম্মেলনের ফাঁকেই উভয় নেতার বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে দুই দেশের পক্ষ থেকে।

মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, লন্ডনে বৈঠক হলে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে ওই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত কথা দেয়া সম্ভব হবে না মোদির পক্ষে।

সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা ছাড়াও আরও অনেক দিক রয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত পাশে রয়েছে। যে কাজগুলো এরই মধ্যে চলছে তার পাশাপাশি, নতুন কোন ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন মোদি-হাসিনা। কথা হবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও। কট্টর মৌলবাদ এবং সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আগামি দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা বাড়লে তার প্রভাব সীমান্তে পড়তে পারে এই উদ্বেগ রয়েছে নয়াদিল্লির।

তবে তিস্তা নিয়ে আশু নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত যে ঐকান্তিক, এবার এই অবস্থান বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরা হবে। রাখাইন প্রদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে ঢেলে সাজার জন্য কী পদক্ষেপ নিয়ে সুবিধা হয়, সে বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে ভারত।

গত বছরের শেষে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলা রাখাইনের উন্নয়নের জন্য একটি চুক্তিপত্রে সই করেছে ভারত। সেখানে প্রস্তাবিত আবাসন তৈরির প্রকল্পগুলো শুরু করে দিতে সক্রিয় হচ্ছে মোদি সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট রসদ রাখাইন প্রদেশে রয়েছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৫:৪২   ৫৭৫ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #