রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফরম পূরণের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

Home Page » এক্সক্লুসিভ » সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফরম পূরণের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ
রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮



বঙ্গ-নিউজ ফাইল ছবিসুনামগঞ্জ প্রধিনিধি, বঙ্গ-নিউজ:- সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায়

কলেজের যাবতীয় পাওনাসহ এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ফি ছিল ৪, ৪০০ টাকা।  রাসেল আহমেদ নামের এক  পরীক্ষার্থীর পক্ষে সেই টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। তাই সে তার পাশের গ্রামের আব্দুল্লাহ আল রামি নামের এক খালাতো ভাইকে বিষয়টি জানায়। আব্দুল্লাহ আল রামি তার বন্ধু স্থানীয় সাংবাদিক মোতালিব আহমেদ মিঠুর সাথে রাসেল আহমেদকে যোগাযোগ করতে বলে। আব্দুল্লাহ আল রামির কথামতো পরীক্ষার্থী মো. রাসেল আহমেদ সাংবাদিক মোতালিব আহমেদ মিঠুর সাথে ফরম পূরণের ব্যাপারে কথা বলে। মোতালিব খান মিঠু মো. রাসেল আহমেদকে ২ ৭০০ টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করিয়ে দিবে বলে জানালে মো. রাসেল আহমেদ সেই টাকা জোগাড় করে ওই সাংবাদিককে দেয়।

গত ২৭ মার্চ পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে মো. রাসেল আহমেদ তার কলেজে যায়। কিন্তু কলেজে গিয়ে জানতে পারে ফরম পূরণের টাকা জমা না হওয়ায় তার প্রবেশপত্র আসেনি। ফলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না এ পরীক্ষার্থী। মো. রাসেল আহমেদ এ ব্যাপারে শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। মো. রাসেল আহমেদ ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেরিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাসিমের ছেলে। পরীক্ষার্থী মো. রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিক মোতালিব আহমেদ মিঠু আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কলেজে জমা না দিয়ে সে আত্মসাত করায় আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছিনা। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

অভিযুক্ত সাংবাদিক মোতালিব আহমেদ মিঠু দৈনিক দিনকালের ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে মোতালিব আহমেদ মিঠু মুঠোফোনে মো. রাসেল আহমেদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। যার কল রেকর্ড মো. রাসেল আহমেদ স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেছে।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি ধর্মপাশা থানায় পাঠানো হবে।’

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৭:০২   ৭৫৭ বার পঠিত