সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮

জাবিতে অঙ্কিত হয়েছে দেশের দীর্ঘতম আল্পনা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » জাবিতে অঙ্কিত হয়েছে দেশের দীর্ঘতম আল্পনা
সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮



ছবি আনোয়ার ইউনুস

বঙ্গ-নিউজঃ আল্পনা। বাংলার গ্রামীণ গৃহবধূদের যুগ যুগ ধরে লালন করে আসা এক ঐতিহ্য। কাঁদামাটি, চালের গুড়া, পানিতে গোলানো চালের মন্ড, শুকনো পাতা গুড়িয়ে রঙের গুড়া কিংবা কাঠকয়লা দিয়ে বাহারী আল্পনা এঁকে গ্রামের গৃহবধূরা ঘরের আঙিনায় প্রকাশ ঘটান তাদের শৈল্পিক মনের। তাদের হাতের সেই সুনিপুণ ছোঁয়ায় সেজে উঠে বাড়ির উঠোন। অবশ্য এই আল্পনা শিল্পের কাল নিরূপণ করা কঠিন। তবে অনেক পণ্ডিতই ব্রত ও পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই শিল্পকে চিহ্নিত করেন প্রাক-আর্য কালের উৎপত্তি বলে।

হাজার বছরের এই সংস্কৃতিটি এক সময় শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী গৃহবধূরাই পালন করতেন। তবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উদাহরণ হয়ে পরবর্তীতে এটি বিকাশ লাভ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেও। তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ শে মার্চ ভয়াল কালরাত আর ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৪ দিনের মুক্তিসংগ্রাম উৎসবে অঙ্কিত হলো দেশের দীর্ঘতম আল্পনা।ছবি আনোয়ার ইউনুস

সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের তকমা পাওয়া পাকিস্তান থেকে অসমাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের সূচনা হওয়ার এই দিনে বাংলার অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক রঙিন আল্পনায় যেনো সেজে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।

রবিবার দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের (দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার) পাদদেশে ২ কি. মি. ব্যাপী এই আল্পনা আঁকার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও চারুকলা বিভাগের সহযোগিতায় অঙ্কিত হয় এই আল্পনা। বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এসময় তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।ছবি আনোয়ার ইউনুস

এদিকে ‘মুক্তির আলোয় আলোকিত করি ভুবন’ এই স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে শুরু হওয়া ৪ দিনব্যাপী মুক্তিসংগ্রাম উৎসবের অংশ হিসেবে এর আগে সকাল ১০টায় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে প্রদর্শিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চিত্রকর্ম ও স্মারক। বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ‘জয় বাংলা’ সংগীত ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের মূল পর্ব। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আহ্বায়ক ও টিএসসির পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের জাতি গঠনে ভূমিকা রাখায় স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয় কবি নির্মলেন্দু গুণসহ ১০ গুণী ব্যক্তিকে। সন্ধ্যায় জাবির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের পরিবেশনায় প্রদর্শিত হয় নাটক ‘জেরা’।ছবি আনোয়ার ইউনুস

বাংলাদেশ সময়: ১:১৩:০৫   ২৬৫৩ বার পঠিত