শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৩

‘ব্রাজিল’ই অনুপ্রেরণা উরুগুয়ের

Home Page » খেলা » ‘ব্রাজিল’ই অনুপ্রেরণা উরুগুয়ের
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৩



2013-06-14-05-08-48-51baa56002139-uruguay-players.jpgবঙ্গ- নিউজ ডটকমঃ আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে ফিফা কনফেডারেশনস কাপ। ফিফার কনফেডারেশনগুলোর লড়াই। মহাদেশীয় মহাযুদ্ধ। একই সঙ্গে এটি বিশ্বকাপের মহড়া টুর্নামেন্টও। ফিফা কনফেডারেশনস কাপের দলগুলো নিয়ে নতুন ধারাবাহিকের পঞ্চম পর্বে থাকছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে নিয়ে বিশেষ ফিচার:
১৯৫০ সালের শোকটা বোধ হয় এখনো ভুলতে পারেনি ব্রাজিল। সেবার নিজেদের মাটিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিশ্বকাপে তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা ধূলিসাত্ করে দিয়েছিল উরুগুয়ে। ব্রাজিল পরিণত হয়েছিল শোকের রাষ্ট্রে। সেটাই ছিল ব্রাজিলের মাটিতে ফিফা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ের সর্বশেষ অংশগ্রহণ। আগামী বিশ্বকাপে ব্রাজিল হয়তো সেই হতাশা ভোলার সব রকম চেষ্টাই করবে। তবে তার আগে বিশ্বকাপের মহড়া কনফেডারেশনস কাপে উরুগুয়ে ফিরিয়ে আনতে পারে ৬৩ বছর আগের সেই সুখস্মৃতি। ব্রাজিলের মাটিতেই হয়তো প্রথমবারের মতো জিততে পারে কনফেডারেশনস কাপ।
উরুগুয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য খুব বেশি আশাব্যঞ্জক নয়। বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে তারা আগামী বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট সংশয় আছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুধু হতাশারই জন্ম দিয়ে চলেছেন অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা। সর্বশেষ সাতটি ম্যাচের চারটিতেই হারের মুখ দেখেছে উরুগুয়ে। দুটিতে ড্র। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচটা না জিততে পারলে হয়তো আগামী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আশা ছেড়েই দিতে হতো উরুগুয়েকে। তবে এখন সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই কনফেডারেশনস কাপ শুরু করতে যাচ্ছে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীরা।
২০১০ সালে চতুর্থ স্থান নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করলেও উরুগুয়ের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল ফুটবলপ্রেমীদের। ডিয়েগো ফোরলান, লুইস সুয়ারেজ আর এডিনসন কাভানি প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। ২০১১ সালের কোপা আমেরিকাতেও সেই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিল উরুগুয়ে। শিরোপা জয়ের পথে ছয়টি ম্যাচের একটিতেও হারের মুখ দেখেনি তারা। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন সুয়ারেজ। এবারও দলের এই তিন প্রধান খেলোয়াড়কে নিয়েই ব্রাজিলে এসেছেন কোচ তাবারেজ। কাজেই তাঁদের উপস্থিতিতে কনফেডারেশনস কাপ জয়ের স্বপ্ন তো দেখতেই পারেন উরুগুয়ের সমর্থকেরা।
ব্রাজিলের মাটিতে উরুগুয়ের উল্লেখযোগ্য সাফল্য নিশ্চয়ই থাকবে বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ সাফল্যের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রাজিলে আয়োজিত আগের চারটি কোপা আমেরিকাতেও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল উরুগুয়ে। শিরোপা জয়ের স্বাদ না পেলেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল আশাব্যঞ্জক। দুটি আসরেই তারা গিয়েছিল ফাইনাল পর্যন্ত। একটি আসর শেষ করেছিল তৃতীয় স্থান নিয়ে।
কনফেডারেশনস কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপজয়ী স্পেনের মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নাইজেরিয়া ও নবাগত দল তাহিতি। ফলে সেমিফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিতই। আর সেমিফাইনালে গেলে ফাইনাল তো মাত্র একটা ধাপই!

বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৪:৪৪   ৪১৩ বার পঠিত