বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮

সংসার টিকিয়ে রাখতে সন্তান কোন সমাধান নয় - রোদেলা নীলা

Home Page » ফিচার » সংসার টিকিয়ে রাখতে সন্তান কোন সমাধান নয় - রোদেলা নীলা
বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮



ফাইল ছবি
বঙ্গ-নিউজঃ বিয়ের দু’বছর যেতে না যেতেই পরিবারের মুরুব্বিরা কনের কাছে বলতেই থাকে -অনেকতো হলো ,এবার বাচ্চা কাচ্চা নাও। আবার এমনো দেখা গেছে স্বামী যদি বিপথে চলে যায় তখন তাকে সংসারে মনোযোগি করবার জন্য মেয়েরা উঠে পড়ে লেগে যায় মা হবার জন্য। কিন্তু আসলেও কি সন্তান একটি সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য একমাত্র শর্ত কিংবা কোন শর্ত দিয়ে কি সংসার করা যায় ? যে সব দম্পতিদের সন্তান হয়নি তাদের সংসার কি টিকে নেই । সংসাএ -স্বামী বা স্ত্রী একে অপরকে বুঝে উঠবার আগেই সন্তান জন্ম দেবার যে পায়তারা এ দেশে পরিলক্ষিত হয় সেটা আসলেও ভয়াবহ ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে তারকা দম্পতিদের প্রেম-বিয়ে এবং –তালাকের দিকে যদি চোখ রাখি তবে দেখতে পাবো শুধুমাত্র সন্তান একটি সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয় । তারকাদের উদাহরন দিচ্ছি এই কারণে যে সাধারণ মানুষের গল্প গুলো আমাদের অজানা থাকে, কিন্তু তারকারা যতো বেশি লুকোছাপা করে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াগুলো সংবাদ প্রকাশে ততোবেসি তৎপর থাকে। অবশ্য, তারকাদের ব্যক্তিজীবন ফেইসবুকের কল্যানে এখন অনেকটাই খোলামেলা
একটি সংসার ভাঙার পেছনে বেশ অনেকগুলো কারন থাকতে পারে, কিন্তু যারা বার বার বলেন-সন্তান জন্ম দিলেই সংসারে সুখ ফিরে আসবে । তাদের এই প্রাচীন থিউরি আজকাল অবশ্য কোন কাজেই আসছে না ।বরং একটি অগোছালো সংসারে সন্তান জন্ম দান করা মানে হচ্ছে বাচ্চার ভবিষ্যতকে অনিরাপদ করে দেওয়া ।
গর্ভাবস্থায় মায়ের দেহে অতিমাত্রায় অক্সিটোসিন হরমোনের উপস্থিতি এবং শিশু জন্মের পর তা কমে যাওয়ার কারণে পরবর্তী আড়াই বছরের মধ্যে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। সাগ ডিয়েগোতে অনুষ্ঠিত সোসাইটি ফর পরসোনালিটি অ্যান্ড সোশাল সাইকোলজি বিষয়ক বার্ষিক সভায় এই গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
কানাডার ম্যাকগিল উইনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী এবং গবেষক জেনিফার বার্তজ বলেন , সন্তান জন্মদানের পর মায়ের দেহে অক্সিটোসিন হরমোনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপের দিকে যেতে থাকে। শিশু বেড়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে যেতে পারে।
সন্তান পৃথিবীতে আসার প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে সংসার ভাঙা খুব সহজ ঘটনা নয়। দাম্পত্য সমস্যা থাকলেও সন্তানের কথা ভেবে মানিয়ে নেন বাবা-মা। কিন্তু যে নারীদের বিচ্ছেদ ঘটে তাদের দেহে অক্সিটোসিনের পরিমাণ অনেক কম ছিল বলে জানা যায় । গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে অক্সিটোসিনের অভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হতে থাকে। জন্মের পরও হরমোনের ঘাটতি ছিল। এ কারণে সমস্যা বাড়তেই থাকে।
অবশ্য এটা নিশ্চিত করে বলা হচ্ছে না যে অক্সিটোসিনের কারণেই বিচ্ছেদ ঘটেছে। তবে অসম্ভব নয়। যে নারীর দেহে উচ্চমাত্রায় অক্সিটোসিন ছিল তারা নমনীয়তার সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি ইতিবাচক ছিলেন। অক্সিটোসিনের উচ্চমাত্রা মানুষের মধ্যে বন্ধুসুলভ এবং আন্তরিক মনোভাব এনে দেয়। আবার এমনো হতে পারে যে , এ হরমোনের পরিমাণ নতুন মায়েদের বৈশিষ্ট্য বদলায় না। তবে তার মানসিক অবস্থা বদলে দেয়। তবে এ সময় নারীদের সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মানসিকতার পেছনে অক্সিটোসিন অশনিসংকেত হয়ে উঠতে পারে।
তবে এখানে সঙ্গীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অক্সিটোসিন সম্পর্ক বিষয়ক ধারণাকে আরো গভীরে নিয়ে যেতে পারে। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
মা হতে চান না ,এমন অনুভূতি সম্পন্ন নারী এ বিশ্বে হয়তো কমই আছেন ।তবে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর একজন নারী যখন তারকা খ্যাতি অর্জন করেন ,তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা অনেক সময় মা হবার খবরটি লুকিয়ে রাখেন । এর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উক্ত তারকার ব্যক্তিজীবনে । এর ব্যতিক্রমও দেখা গেছে অনেক তারকাদের মধ্যে ,তাদের প্রেম-বিয়ে-বাবা মা হবার খবর আমরা যেমন পেয়েছি ঘরে বসে ,কিছু সময় না যেতেই তাদের বিবাহ বিচ্ছদের খবরো এমন করেই পেয়ে গেছি ।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন গুনি শিল্পী আছেন যারা প্রেম করে বিয়ে করেছেন ,চুটিয়ে সংসার করেছেন ,কিন্তু সন্তান জন্মদানের পর ঠিক আগের মতোন সংসার টিকিয়ে রাখতে পারেন নি ।স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে ,তবে কী একটি সন্তান পৃথিবীতে এসেই দু’জননার জীবনে অন্তরায় হয়ে গেল ? কথিত আছে –সন্তান হচ্ছে সংসারের সেতু ।দুট মানুষকে একটি সূতোয় বেঁধে রাখে ।বেশির ভাগ দম্পতি কেবল সন্তা্নের মুখের দিকে চেয়ে নিজেদের সংসার টিকিয়ে রাখেন ।তাই বলে সন্তান জন্ম দিলেই সুখের সংসার করা যাবে এমন প্রমাণ নেই ।
আজ এমন কয়েকটি জুটি নিয়ে আগে আলোচনা করবো যাদের মধ্যে সন্তান কোন সেতু হিসেবে কাজ করেনি ,বরং সংসার জীবনে ফুটফুটে বাচ্চা আসবার পরো তাদের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে ঙ্গেরপর আলোচনা করে নেব কোন সময়টা বুঝবেন আপনাদের বাবা –মা হওয়া উচিৎ ।

ফাইল ছবি

হিল্লোল-তিন্নি

তিন্নি-হিল্লোল প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর । তাদের বিয়েটা সে সময় আলোচনার ঝড় তোলে। বিয়ের পর সব দম্পতির মতোই টুকটাক মন কষাকষি ছাড়া ভালোই চলছিল তাদের সংসার। মিডিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ঝলমলে তারকা দম্পতির প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই টোনাটুনির সংসার আলোকিত করে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান ওয়ারিশা। গর্ভধারণের জন্য মাঝে তিন্নিকে মিডিয়া থেকে লম্বা একটা সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই আগের শীর্ষ অবস্থানটি তার হাতছাড়া হয়ে যায়। কন্যা জন্মের পর আবারও তিন্নি কাজ শুরু করেন মিডিয়ায়। কিন্তু আগের অবস্থানে পৌঁছাতে না পারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিন্নি। মিডিয়ায় প্রভাবশালীদের সঙ্গে গড়ে তোলেন সম্পর্ক। অশান্তি ভর করে এই তারকা দম্পতির সংসারে।
তিন্নি আর হিল্লোলের দাম্পত্য কলহ তীব্র আকার ধারণ করলে ২০০৯ সালের শেষের দিকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। একাধিকবার তাদের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয় নি।গতবছরের নভেম্বরের শেষের দিকে হিল্লোল তালাকনামা পাঠিয়েছিলেন তিন্নির কাছে।

ফাইল ছবি

ভেঙ্গে গেল বাঁধনের সংসার ঃ

জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী বাঁধনের বিচ্ছেদ হয় বিয়ের পাঁচ মাস পরই। মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর।
এ প্রসঙ্গে বাঁধনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার আর মাশরুরের আলাদা থাকার বিষয়টা আমি চাইনি কেউ জানুক। তবে আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, কাছের মানুষরা অনেকেই বিষয়টা জানত। আর খবর গোপন রাখার পেছনে শুধু একটি কারণই ছিল। তা হলো, আমি চাইনি আমার মেয়ের মনে এর প্রভাব পড়ুক। কারণ, আমাদের আলাদা থাকার কারণ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হলে আমার মেয়ে সায়রাকে অনেকেই এ বিষয়ে প্রশ্ন করত। যেহেতু সায়রা বয়সে এখন অনেক ছোট, এই বিষয় ওর মেনে নিতে কষ্ট হতো। সায়রার বয়স এখন চার বছর। চলতি বছরেই সায়রা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। ওর স্কুলের ভর্তির জন্য মূলত আমি অপেক্ষা করছিলাম।
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ভালোবেসে মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী। এদিকে স্বামীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে কি না, এ বিষয়ে বাঁধন এখনো সরাসরি কথা বলেননি। শুধু বলেছেন, তাঁরা আলাদা থাকছেন। মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়েছে। বাঁধন ভেবেছিলেন, সন্তান জন্মের পর হয়তো মানসিক দূরত্ব কেটে যাবে। তাই বিয়ের পরপরই দ্রুত সন্তান নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সন্তান জন্মের পরও এই দূরত্ব কমেনি, বরং বেড়েছে।

ফাইল ছবিআলোচিত ডিভোর্স শাকিব-অপু

গেল বছরের ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে তালাক নোটিশ পাঠান শাকিব খান। ওইদিন থেকে আইন অনুযায়ী তিনমাস অর্থাৎ ৯০ দিন সময় ছিল এই তালাক কার্যকর হবার ,২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ হলো তিন মাস।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। অপু এগিয়ে এলেও উপস্থিত ছিলেন না শাকিব। তাই তাদের এক করা যায়নি। হিসাব অনুযায়ী ডিভোর্স লেটার পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হওয়ায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটছে। তালাকের পর বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব খান। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণ করবেন।
২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই ছবির হিট জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়ের। দীর্ঘদিন এসব খবর অপ্রকাশিত থাকে। গত বছরের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে এসে বিয়ের খবর ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। সন্তানকেও সবার সামনে নিয়ে আসেন সে সময়। এরপর অবশ্য বেশ কিছুদিন শাকিব ও অপুকে একসঙ্গে দেখা গেছে। তবে বেশি দিন তারা এক থাকেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয় দুজনের।
সেসব মিডিয়াতে নিয়মিতই প্রকাশ পায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শাকিব খান তিন মাস আগে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান অপুর কাছে। এরপর অপু বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন সংসার টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ শাকিব চাননি সংসার আর টিকিয়ে রাখতে। শেষ পর্যন্ত অপুও জানিয়েছেন তিনি ডিভোর্স মেনে নিয়েছেন।

ফাইল ছবি


বিজরী বরকত উল্লাহ-শওকত আলী ইমন
অভিনেত্রী বিজরী বরকত উল্লাহ ও সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলী ইমন একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ফুটফুটে সুন্দর এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু তাদের এ বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ডিভোর্স হয় তাদের। বিজরী পরে বিয়ে করেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনারকে। অন্যদিকে ইমন পরবর্তীতে একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও নতুন করে এখনো আর কাউকে বিয়ে করেননি।

ফাইল ছবিকণ্ঠশিল্পী সালমা-শিবলী সাদিক

২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি দিনাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও দিনাজপুরের পিকনিক স্পট স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী শিবলী সাদিকের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সালমা। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি সালমার কোল জুড়ে আসে এক কন্যা সন্তান।
বিয়ের বছর দুয়েক আগে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতে গেলে শিবলীর সাথে সালমার পরিচয় হয়। সেই সুত্র ধরেই দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে তাদের বিয়ে হয়। গত বছর ২০ নভেম্বর একটি রেস্তোরাঁয় তাদের ডিভোর্সের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

ফাইল ছবি
মুরাদ পারভেজ ও সোহানা সাবা
মিডিয়ার সংসার ভাঙার তালিকায় আরো একটি নাম যোগ হলো। ঘর ভাঙার পথে এখন মুরাদ পারভেজ ও সোহানা সাবা। তাদের মাত্র ১৭ মাসের সন্তানের ব্যাপারে কিছু জানতে চাওয়া হলে বাবা মুরাদ পারভেজ বলেন, ‘ছেলের দেখভাল ঠিকঠাকই করবো আমরা। হয়তো এক ঘরে থাকা হবে না। কিন্তু ছেলে যাতে বাবা-মাকে মিস না করে সে ব্যবস্থায় করবো।’
এদিকে প্রায় সকল গণমাধ্যমে নিজের স্টেটমেন্ট স্বরুপ একটি মেসেজ পাঠান সোহানা সাবা।তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আজ অল্প কথায় কিছু ব্যাপারে সবাইকে কিছু জানাতে চাই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি কি করছি,কি ভাবছি, কোথায় যাচ্ছি,পছন্দ-অপছন্দ এগুলো মানুষকে জানাতে পছন্দ করি না। তবুও বিকৃত হয়ে যাতে নোংরা কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ির সুযোগ বাইরের কেউ না পায় আমি নিজেই আজ কিছু কথা সবাইকে বলতে চাই।
ভালবেসে মুরাদ পারভেজকে বিয়ে করি,অনেক অল্প বয়সে,বাবা-মার ইচ্ছের বিরদ্ধে,মাত্র ৩মাস প্রেম করে। মাত্র আমার সিনেমা ২টাতে অভিনয় করেছি তখন। মুরাদ দৌড় সিরিয়াল পরিচালক হিসেবে পরিচিত। খুব সুন্দর অনেকগুলো বছর মুরাদের সাথে কাটিয়েছি। আমাদের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে স্বপ্নের মত কিছু বছর পার করেছি। কিন্তু গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা আলাদাভাবে আছি,আমাদের নিজেদের মধ্যে কিছু মতের অমিল হওয়ায়। মুরাদ আমার সবচেয়ে পছন্দের ডিরেক্টর।আইনী পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। যার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।’
এদিকে সন্তানের দেখভাল ও বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সোহানা সাবা  বলেন, ‘মুরাদ আমার প্রিয় জীবনসঙ্গী না হলেও প্রিয় নির্মাতা এখনও। আর ছেলের বয়স তো খুব কম ওর ব্যাপারে এখনই কোনো কিছু সিদ্ধান্তের বিষয় আসছে না।’
এতো গেল মিডিয়া পারার গল্প।এমন আরো অনেক গল্প আছে দম্পতিদের জীবনে যা কোথাও ছাপার অক্ষরে লেখা থাকে না।কেউ কেউ মামলা মোকদ্দমা করে একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে ,কেউবা বিচ্ছেদের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অন্যকে হেনস্থা করতে থাকে ।কিন্তু তারা ভুলে যায় কোন এক নিবির আলিংগনে স্বর্গ থেকে পাওয়া যে সন্তান ; সেতো নিষ্পাপ । সে মায়ের একার যেমন সম্পত্তি নয় ,তেমন বাবারো নয় ।যে মানুষটা পৃথিবীতে আসে সে তার আলাদা স্বত্তা নিয়ে আসে , সুন্দর নিরাপদ পৃথিবীতে পদার্পণ করতে পারা তার জন্মগত অধিকার ।
এখন কথা হচ্ছে ;তাহলে কি বাবা মা হবে না নব দম্পতিরা ? অবশ্যই হবে ,তার জন্য নিজেদের মধ্যে সমঝোতাটা আগে করে নেওয়া দরকার ।কে কতোটা বাচ্চাকে সময় দেবে ,কখোন দেবে কিংবা বাইরে কতোক্ষন কাজ করবে –এই বিষয়গুলো নিজেদের মধ্যে আগে চর্চা না করে নিলে বাচ্চা হবার পর সব গুবলেট হয়ে যায় ।তখন দেখা যায় মেয়েদের ওপর সব দায় এসে পড়ছে ,বাচ্চাকে খাওয়ানো-রান্না করা –ঘরের কাজ-অফিস সব এক হাতে করতে গিয়ে স্বামীর সাথে তিক্ততা বেড়েই চলেছে । আর হরমোন জনিত বিষয়টাতো পাশাপাশি কাজ করছেই।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি মেয়েকে সংসার চালানোর পুরো দায় ভার নিতে হয় ।তাই বইয়ের ভাষায় আমি কখনো বলবোনা যে দু’জন মিলে সিদ্ধান্ত নিন কখোন বাবা -মা হবেন ।আমি শুধু মেয়েদেরকে বলছি-আগে জীবন সংগীকে বুঝুন ,তিনি কি আপনার কোন কাজে সাহায্য করতে পারবে কিংবা আপনি কোন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে তার উপর নির্ভর করতে পারছেন কীনা সেটা আগে বুঝে পরে মা হবার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। বিয়ের পর ছেলেরা আবেগি হয়ে অনেক কথাই বলে ,কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে –বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা তা রক্ষা করতে পারে না।আর স্বামী যদি প্রবাসী হয় তাহলে পুরো চক্রটা স্ত্রীকে একাই সামাল দিতে হয় তা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ ।
আমাদের দেশে বিয়ের আংটি পড়ানো শুরু করে বৌ-ভাত অব্দি যতোগুলো অনুষ্ঠান হয় তার একটা এসান যদি দম্পতিদের গ্রুমিং-এর ব্যাপারে করা হতো তাহলে দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমান এতো বাড়তো না বলে আমার বিশ্বাস ।

অনেক মেয়েদের মুখে শোনা যায় তারা গর্ভবতী হরে বসে আছে সেটাই তারা জানে না ,কিন্তু মেডিকেল সায়েন্স বলে কনসিভ করবার প্রথম তিন মাস মায়ের শারীরিক বা মানসিক সুস্বাস্থ্য খুবই জরুরি ।না,শুধু বাচ্চার কথাই ভাবলে চলবে না,এখানে মায়ের বিষয়টাও মাথায় রাখাটা খুব জরুরি । এমন আনপ্ল্যান্ড বাচ্চা নিলে অনেক সময় মা এবং বাচ্চা দু’জনার জীবন ঝুঁকিতে পরবার আশংকা থাকে ।তাই সঠিক বয়সে বিয়ে করে অন্তত তিন বছর নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা পোক্ত করবার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুয়ায়ী কনসিভ করা উচিৎ।

নিজেদের অসুখি জীবনের প্রভাব কোন ভাবেই সন্তানের ওপর ফেলা ঠিক নয়।একটি মধুর সম্পর্কের মধ্য দিয়েই একটি বাচ্চার জন্ম , কোন কারনে মতের অমিল হতে পারে-বিচ্ছেদ হতে পারে ।কিন্তু যে সুন্দর সময়ের মধ্য দিয়ে শিশুটির জন্ম ,সে থাকনা ঐ সুন্দর সময়টুকুর মধ্যে বন্দী । একটি সুন্দর সুস্থ শিশু জন্মের মধ্যে নারী জীবনের তৃপ্তি ,তার মানে এতো নয় যারা মা হতে পারেন নি বা পারবেন না তাদের জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে । জীবনে অপ্রাপ্তি বলে কিছু নেই ,যে আপনার গর্ভে জন্মেনি তাকে অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে আসুন ।মায়ের স্নেহ দিন ,দেখবেন সেই হয়তো একদিন আপনার জীবনে এনে দিতে পারে নারীত্বের সর্ব সুখ ।

রোদেলা নীলা

বাংলাদেশ সময়: ২:১৮:৩৪   ২১৮১ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #