শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৩

“কেসিসি নির্বাচন: ২০২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ”

Home Page » জাতীয় » “কেসিসি নির্বাচন: ২০২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ”
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৩



khulna-logo20130613212303.jpgবঙ্গ -নিউজ ডটকমঃ  খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন শনিবার। এরই মধ্যেই ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়।রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার নির্বাচনে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ২৮৮টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোয় বুথের সংখ্যা এক হাজার ৪২৮টি। এছাড়া অস্থায়ী বুথ রয়েছে ৩৩টি। মোট ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০২টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

আরও জানা যায়, নির্বাচনে ২৮৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৪২৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৮৫৬ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

এবারই প্রথম কেসিসি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বমোট পাঁচটি কেন্দ্রে এ পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোয়ালপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, ক্রিসেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (উত্তর), ক্রিসেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (দক্ষিণ) ও ক্রিসেন্ট কলোনি আলিয়া মাদ্রাসা। এ ওয়ার্ডে পুরুষ ভোটার তিন হাজার ৯৫৪ জন এবং নারী ভোটার দুই হাজার ৬৭৬ জন।

রিটার্নিং অফিসার মোস্তফা ফারুক বলেন, “সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

শনিবার সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নের মাধ্যমে খুলনাবাসীকে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এডিসি রাশিদা বেগম জানান, নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের দিন তিন হাজার ৭৪৪ জন পুলিশসহ ৠাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ব্যাটালিয়ন আনসার ও ভিডিপির নয় হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে।

তিনি জানান, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে সাতজন সশস্ত্র পুলিশ, একজন সশস্ত্র আনসার, দু’জন অঙ্গীভূত সশস্ত্র আনসার এবং ১২ জন ভিডিপি সদস্য থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত দু’জন আনসার থাকবে।

এছাড়া পুলিশের ৩১টি মোবাইল টিম নগরীতে টহল দেবে। মোতায়েন থাকবে ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। তাদের সহযোগিতা করতে মাঠে থাকবে সাত প্লাটুন বিজিবি ও তিন প্লাটুন কোস্টগার্ড।

ভৈরব ও রূপসা নদীতে দিনভর টহল দিবে কোস্টগার্ডের দু’টি ইউনিট। সাদা পোশাকে ৫০ জন ও সাড়ে চারশ’ ৠাব নগরীতে টহল দিবে। এসব কাজে সহযোগিতা করতে ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পাঁচজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কেসিসিতে এবার মোট ভোটার চার লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫০৪ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৬ হাজার ৬২ জন নারী।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৫:১৪   ৪৭০ বার পঠিত