রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
সুপ্রিয় সাগর সাহেব
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সুপ্রিয় সাগর সাহেববঙ্গ-নিউজঃ ভালোবাসাযুক্ত সালাম নেবেন। দুদিন যাবত সকালে চ্যানেল আই তে বাংলা খ্যয়ালশৈলী নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করার যে প্রচেষ্টা, তা খুব ভাল। তবে এর ইতিহাস ও বিবর্তন নিয়ে কোন আলোকপাত করা হয়নি। বরং আজাদীয় দূ্র্বল রচনার বিকৃত ও সাম্প্রদায়িক ইতিহাস প্রচারের হীন চেষ্টা করা হয়েছে। এতে দর্শক শ্রোতা খ্যয়াল সম্বন্ধে ভুল ইতিহাস ও তথ্য পাবেন। আর এত হালকা, সাযুজ্যহীন শব্দচয়ন এবং বাংলা রচনার বিচিত্র প্রকরণের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। পণ্ডিত যদুভট্ট (বিষ্ণুপুর ঘরাণা) ,পরে জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের বাণীসমৃদ্ধ রচনা,ও নজরুলীয় অসাধারন বন্দিশ, পাক বেতারে প্রচারিত ( ২৫ বছর,৪৮থেকে ‘৭১), সৈয়দ শামসুল হুদার বন্দিশের সংকলিত বাংলা খ্যয়াল গ্রন্থ (যা ১৯৭৪ শালে কাজী মোতাহারের ভূমিকাসহ প্রকাশিত ) কে আড়াল করা কেন? এর পূর্বে সর্বপণ্ডিত তারাপদ চক্রবর্তী, চিন্ময় লাহিড়ী, ভীষ্মদেব চ্যাটার্জী, জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ গোস্বামীর গীত অসাধারণ গায়কী সমৃদ্ধ খ্যয়াল সত্যি অপূর্ব। জনাব আজাদ রহমানের জ্ঞানের ঊনতা আমাদের সংশয়ে ফেলে দেয়। নজরুলের খ্যয়াল তো অনবদ্য। বাংলা খ্যয়াল রচনার ইতিহাস শতবর্ষের। এত কম জানাশোনা নিয়ে এমন একটি ভারী বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান করতে আসা অর্বাচীনতা ছাড়া আর কিছু নয়। আর যারা পেছনে পেছনে ভেড়ার দলে গেলেন সেটাও আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। তাদের শিক্ষার বহর ও মান দেখে আমি ভাবি এরা কী ঘরাণেদার উস্তাদদের তালিম পেয়েছেন, না এরা অতাঈ! সব বাদ দিয়ে শুধু যে ‘আজাদ প্রভাত’ হচ্ছে সেটা পূর্বে ঘোষিত হয়নি। ১৯৫২ ও ১৯৭১ এ বাঙালী জীবনে এতোবড় জাতীয় ঘটনা ঘটে গেলো তখন তার ভূমিকা কী ছিল, জানতে চাই। শালাউদ্দিন, করিম সাহাবুদ্দিন নামক ভারতীয় পচাঁ সাম্প্রদায়িক মালগুলি যখন বাফার মুসলিম লীগার সম্পাদক আমানউল্লা সাহেবের পোষকতায় প্রতিষ্ঠিত, তখন সে ধারার কিছুটা অপপ্রচেষ্টার পূ্র্বসূরী তো থাকবেই। তারা এখনো আমাদের দেশকে পাকিস্তান ভাবে। এসব বিকৃত ইতিহাস দিয়ে এখন দাঙ্গা লাগানো যাবে না। নাকি সৈয়দ হাদীসহ বাংলাদেশ বিরোধীদের পরোক্ষভাবে সামনে আনা হচ্ছে, এ প্রশ্ন এসেই যায়। এ ব্যাপারে একটা সেমিনার আয়োজন করতে পারেন আপনি। আজাদ রহমানের দলবাজী এবং দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। বিষয়টি ভেবে দেখবেন মহোদয়। আর আজ প্রচারিত দাদরা ও খ্যয়ালের পার্থক্য সুরারোপে স্পষ্ট নয়। পদ্মিনী দে নামক গায়িকার কণ্ঠ প্রচার অযোগ্য। কাজেই বাণী ও সুরারোপে উপস্থাপকের যোগ্যতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত! আর ইতিহাস আড়াল করার উদ্দেশ্য কি? এর একটা বিহিত হওয়া প্রয়োজন।
বাবু রহমান
জা বি, ঢাকা। ৩১/০১/১৭। স ৯-২০।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৪:১২ ৮১৬ বার পঠিত #bangla news #bangla newspaper #bangladesh news #bd news #daily newspaper #World News