রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

বিএনপিতে ভাঙনের ভয়-সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বিএনপিতে ভাঙনের ভয়-সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে
রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ  দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করতে পারে। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য এই    আশংকার কথা স্বীকার করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দলের ঐক্য ধরে রাখতে, নেতাদের সক্রিয় রাখতে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপি সমর্থক বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবীদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই পরামর্শ বৈঠক করছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। মাঠের আন্দোলনের সঙ্গে কূটনীতিক পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন দিক থেকে সরকারকে চাপে রাখা। ইতোমধ্যে প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন নেতারা।

যেকোনো প্রয়োজনে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিনিয়র নেতারা বেগম জিয়ার গুলশান অফিসে বসছেন, আলাপ-আলোচনা করছেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন। দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিটি কর্মসূচি মনিটর করছেন। গত চারদিন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, আইনজীবী এবং গতকাল শনিবার রাতে বুদ্ধিজীবীদের বৈঠকে টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান।

দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, সরকার যাতে বিএনপিতে ভাঙ্গন ধরাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবীদের মাধ্যমে কারাগার থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন। যে কোন উস্কানির ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক থাকতে বলেছেন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বলেছেন। সব ধরনের সংঘাতময় কর্মসূচি পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকতে বলেছেন।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করে তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। বিএনপিতে ভাঙ্গন ধরানোর চক্রান্ত করতে পারে তবে দলের সকলেই এখন সতর্ক। তারা কিছুই করতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে রাখার কারণে কেবল বিএনপি নয়, সারাদেশের মানুষ এখন তার জন্য ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ওপর সরকার যে স্টিমরোলার চালাচ্ছে সে পরিস্থিতি আমাদের পরস্পরকে বেশি করে কাছে টানার বা ঐক্যবদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বিএনপি অনেক একতাবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, কোন ফাঁদে আমরা পা দিবো না। বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যেমে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনবো। তার কারামুক্তির আগ পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাব। এ ব্যাপারে চেয়ারপারসনসহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ম্যাডাম নেতাকর্মীদের রাজপথে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দলে এখন নেতা-কর্মীরা সব ঐক্যবদ্ধ। সরকার বিএনপিকে নিয়ে হঠকারী কোন চিন্তা করলে তা টিকবে না। তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, মাঠের নেতারা যে যেভাবে পারছেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তারেক রহমান প্রতিটি কর্মসূচি মনিটর করছেন। সবাই আরো বেশি সতর্ক। বেগম জিয়াও খবর রাখছেন। নেতাকর্মীরা বুঝতে পারছেন তাদের রাজপথে নামার বিকল্প নেই।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করতে পারে। ওয়ান ইলেভেন থেকে এটা চলে আসছে। তবে কোন লাভ হবে না। চেয়ারপারসনকে কারাগারে নেওয়ার পর নেতাকর্মীরা আরো বেশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।

ঢাকায় বড় সমাবেশ করবে বিএনপি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে দলটি। সেখানে না পেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাইবে। সমাবেশে বড় জমায়েত ঘটিয়ে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি জোরালো করতে চায়।

সুত্রঃ ইত্তেফাক

বাংলাদেশ সময়: ৯:১৭:৪৬   ৫৯৭ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #