রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নিবে ২০ দলীয় জোট: মির্জা ফখরুল

Home Page » জাতীয় » খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নিবে ২০ দলীয় জোট: মির্জা ফখরুল
রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮



বঙ্গ-নিউজ:  জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কর্মসূচী অংশ নিবে ২০ দলীয় জোট বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

আজ (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। এসময় মিথ্য ও বানোয়াট মামলায় তাকে সাজা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে বিএনপির চলমান আন্দোলনের কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী দিনে জোটের পক্ষ থেকে সমন্বিত কর্মসূচি দেওয়া হবে। এ ছাড়া বৈঠকে জোটের পক্ষ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সারা দেশে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও জোট সম্প্রসারণে সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দল। এবং এই স্বৈরাচারি সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছে। আসন্ন নির্বাচনে যেন সব দলের অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য নিরপেক্ষ ও সহায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকুক বা যেখানেই থাকুক তিনিই জোটের নেত্রী। তিনিই ২০ দলের নেত্রী। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সমন্বয়ক হিসেবে আমি কাজ করেছিলাম। এখনো করছি।

এদিকে, ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে লন্ডন থেকে টেলিফোনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যোগ দেন বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম। জনগণের জন্য একটা প্লাটফর্ম তৈরির ওপর বিএনপি জোর দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।বিএনপির পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যেজোটের (একাংশ) আবদুর রকিব, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মুনি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এইচ এম কারুজ্জামান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মুর্তজা ও সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ।

এর আগে রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। শনিবার দলের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে ভাইস-চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম-মহাসচিবদের সাথে বিএনপির স্থায়ী কমিটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এখন আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত ও স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে একাকী রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

ফখরুল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া যে ঘরটিতে আছেন সেটি নড়বড়ে ও ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়ায় বহু পুরোনো। তিনি অসুস্থ হওয়ার পরেও তাকে ওষুধ দেওয়া হয়নি, তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২০:২৯   ৪৮১ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #