বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

‘বেঁচে আছি জেনে রাতেই কয়েকজনকে বিদেশে পাঠানো হয়” সংসদে প্রধানমন্ত্রী

Home Page » জাতীয় » ‘বেঁচে আছি জেনে রাতেই কয়েকজনকে বিদেশে পাঠানো হয়” সংসদে প্রধানমন্ত্রী
বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবঙ্গ-নিউজ: ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবহীন ভয়াবহ নিষ্ঠুর হামলা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রেনেড হামলার পর যখন জানতে পারে যে, আমি বেঁচে আছি, তখন সেই রাতেই তাজউদ্দিনসহ আরও কয়েকজনকে দেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এর আগে বিকেলে  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। এই হামলায় মহিলা লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত শত শত দলীয় নেতা-কর্মী দু:সহ সেই স্মৃতি আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, এই মামলাটি বর্তমানে রায় দেয়ার পূর্ববর্তী ধাপ অর্থাৎ যুক্তিতর্ক পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫২জন আসামীর মধ্যে ১৮জন আসামীর যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট আসামীদের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার একজন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই মো. তাজউদ্দিন এই মামলার অন্যতম আসামী। গ্রেনেড হামলা চলাকালে টিয়ার সেল ছুঁড়ে হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয় এবং গ্রেনেড হামলার পর যখন জানতে পারে আমি বেঁচে আছি, তখন সেই রাতেই তাজউদ্দিনসহ আরো কয়েকজনকে দেশ থেকে বিদেশে যাবার সুযোগ করে দেয় হয়। যেখানে গ্রেনেড হামলা হয় সেই স্থানের সকল আলামত পরদিনই সরিয়ে ফেলা হয় ও রাস্তা ধুয়ে ফেলে অন্যান্য আলামতও নষ্ট করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গ্রেনেড হামলা মামলার প্রকৃত আসামীদের আড়াল করা জন্য তথাকথিত জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে চার্জশীট দাখিল করে।

পরবর্তীতে জানা যায়, জজ মিয়াকে এই নাটকে অংশ নেয়ার জন্য তাকে বেশ কিছুদিন মাসিক ভাতাও দেয়া হয়। বিএনপি-জামাত জোট সরকার ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে যেনতেনভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে ২১ শে আগষ্ট, ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল আসামীদের অন্তভূক্ত করে চার্জশীট প্রদান করে এবং ২০১৪ সাল থেকে আরো ১৬৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। এভাবে মোট ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে মামলাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৭:৫৩   ৪৮২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #