শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মানববন্ধন, ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে

Home Page » প্রথমপাতা » সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মানববন্ধন, ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে
শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮



বঙ্গ নিউজ

বঙ্গ নিউজঃ ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মানববন্ধন (নিজস্ব প্রতিবেদক) : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩২ ধারা প্রত্যাহারের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সমাবেশ ও প্রতিবাদী মানববন্ধন ০২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে উক্ত সাংবাদিক সমাবেশ ও প্রতিবাদী মানববন্ধনে সত্য ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করা চলবে না এবং ৩২ ধারা প্রত্যাহার কর এই স্লোগান কে সামনে রেখে সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেসকøাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র এর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো’র সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, এনটিভি ও যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সময় টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের মুক্ত কন্ঠে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। ৩২ ধারা বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর নামে সাংবাদিকদের সত্য বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ৫৭ ধারা বাতিল করে ৩২ ধারা অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছে সরকারি আমলারা। যা সাংবাদিকদের জন্য বড় ধরনের হুমকি স্বরুপ। এ আইন পাশ হলে সাংবাদিকরা কোন ধরনের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করতে পারবে না। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করতে এ আইন পাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিগত সময়ে ৫৭ ধারা তৈরীর সময় সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ৫৭ ধারার কোন অপপ্রয়োগ হবে না কিন্তু সময়ের সাথে কিছুদিন আগে অক্ষমতাসীন আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেও বলেন ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের হার ৮৭ পার্সেন্ট। অর্থ্যাৎ ৫৭ ধারায় সাংবাদিক হয়রানী হয়েছে বেশী। সর্বশেষ দেখা যায়, ৫৭ ধারায় মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আমরা ৫৭ ধারার ন্যায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩২ ধারার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এছাড়া আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি সর্ববৃহৎ ও ক্ষমতাসীন দল। বর্তমান সরকার দেশে যে উন্নয়ন করেছে তা বিগত কোন সরকারের আমলে চোখে পড়েনি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিশ্বের সৎ সরকার প্রধানদের মধ্যে অন্যতম একজন, তাহলে কার স্বার্থে, কাদের দূর্নীতিকে আড়াল করার জন্য বার বার গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে?

এ সময় প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি ও কালের চিত্র এর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সাতক্ষীরায় ৭/৮টি পত্রিকায় রয়েছে প্রতিটি পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইনে একাধিক ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অন্য কোন পত্রিকা দেখতে পেলেন না। দেখতে পেলেন আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকাটি। এছাড়া দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইনে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকদের নাম সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক যে শোকজ করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের হেনস্তা করার জন্য এধরনের শোকজ করা হয়েছে। এ শোকজের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানান তারা।
এ সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনি সাতক্ষীরায় আসার পর সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে বলেছিলেন, বিগত সময়ের মত সাতক্ষীরায় আর সাধারণ মানুষদের পুলিশি হয়রাণী করা হবে না, কিন্তু কিছু দিন অতিবাহিত হতে না হতেই সেই হয়রানীর দৃশ্য আবার নিপিড়িত মানুষকে কাদাচ্ছে। পুলিশ জনগনের সেবক অথচ সেই পুলিশের হাতেই সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষকে হয়রাণী হতে হয়?? এ দৃশ্য সাতক্ষীরার মানুষ আর কতদিন দেখবে??? আপনি সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষকে পুলিশী হয়রাণী করা হবে না বলে যে স্বপ্ন আশা দেখিয়েছেন তা ভেঙ্গে দিবেন না। ১০ বছর আগে কে মাদক ব্যাবসা করত এটা না দেখে বর্তমানে কে করছে এবং হাতেনাতে গ্রেফতার করুন তাহলে কেউ তদবির নিয়ে যাবে না, সাতক্ষীরার মানুষ শান্তিতে থাকবে।
উক্ত সাংবাদিক সমাবেশ ও প্রতিবাদী মানববন্ধনে বিডি নিউজ ২৪ ডট কম এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন এর পরিচালনায় সত্য ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করা চলবে না এবং ৩২ ধারা প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার পথ উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৬:২২   ৫৯০ বার পঠিত