রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৮
ঢাবির শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসেনি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ঢাবির শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসেনিবঙ্গ-নিউজঃ ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে পুরো দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এরই অংশ হিসেবে গত কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর, তাণ্ডবলীলা চলেছে। সেদিন (২৩ জানুয়ারি) উপাচার্যসহ অনেক শিক্ষককেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে, কিন্তু বিষয়গুলো বস্তুনিষ্ঠভাবে গণমাধ্যমে আসেনি বলে তাদের দাবি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কার্যালয় ভাঙচুর এবং উপাচার্যের সঙ্গে অসদাচরণের প্রতিবাদে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করে। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই শিক্ষকেরা এসব কথা বলেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল মানববন্ধনে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা আন্দোলনে ছিল। এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনকে সামনে রেখে কুশীলবেরা মাঠে নেমেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে অস্থিতিশীল করে পুরো দেশকে অশান্ত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা ওই দিন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। উপাচার্যের হাত ধরে টানাটানি করেছে। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবদুল আজিজকে লাথি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুই গণমাধ্যমে সম্প্রচার বা প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়গুলো বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।
শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের অপমান করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়গুলো বস্তুনিষ্ঠভাবে গণমাধ্যমে আসেনি। তারা একেপেশে সংবাদ পরিবেশন করেছে।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য জিনাত হুদা কী কারণে এসব ঘটেছে সেই সত্য বের করে আনতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন।
মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, তথাকথিত ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা তাঁকে সেদিন গালিগালাজ করেছে, তাকে লক্ষ্য করে থুতু দিয়েছে। এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সামাজিক অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, ‘সেদিন যে সহিংসতা দেখেছি, তা যে পক্ষই করুক না কেন তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি অভিযোগ করেন গণমাধ্যম কোনো কোন জায়গায় সঠিকভাবে বক্তব্য নিয়ে আসেনি। তিনি বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলের ধরার আহ্বান জানান।
অন্যদের মধ্যে কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সামাদ, চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সৌমিত্র শেখর এবং অন্য শিক্ষকদের মধ্যে দিদারুল ইসলাম, জিয়া রহমান, হাফিজুর রহমান কার্জন, হারুন অর রশীদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১০:৫১ ৫৮৩ বার পঠিত #bangla newspaper #bd news #daily newspaper #world newspaper