সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮

৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮



৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

বঙ্গ-নিউজঃ দেশে কয়েক দিন ধরে বয়ে চলা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় নেমে এসেছে। ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে উত্তরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এর আগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এত দিন পর্যন্ত এটাই ছিল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড।

আজ সোমবার আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ছাড়া সৈয়দপুর জেলায় আজ দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজধানী ঢাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দু-এক দিন এই শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সকাল ৬টার দিকে সৈয়দপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ভোরের পর আরেক দফা তাপমাত্রা কমে যায়। সকাল ৯টার দিকে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত ৫০ বছরে এটা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আরো জানানো হয়, সৈয়দপুরের পর নীলফামারীর ডিমলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। ঢাকায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশে আরও দু-এক দিন এমন পরিস্থিতি থাকবে। ১০ জানুয়ারির পর সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়বে।

গতকাল রোববার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরে রাজশাহীতে ঠাণ্ডা ছিল বেশি। সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

হামিম উল কবির

শেষ পৌষের তীব্র শীতে বিপর্যস্ত সারা দেশের জনজীবন। তাপমাত্রা কেবল নামছেই। উত্তরাঞ্চলের মানুষ কাঁপছে শীতে। উত্তরাঞ্চলে শীতজনিত রোগে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র শীতে সারা দেশেই মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা বেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সারা দেশেই চলছে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল দিনাজপুরে ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী শহরের তাপমাত্রা নেমেছে ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সকালবেলা পানিও ছোঁয়া যায় না সেখানে। ঠাণ্ডায় হাত অবশ হয়ে যাওয়ার অবস্থা বিরাজ করছে। এত শীত দিনাজপুরের মানুষ অনেক দিন দেখেনি। একই অবস্থা রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সর্বত্র। গতকাল সকাল থেকে শৈত্যপ্রবাহের আওতা আরো বিস্তৃত হয়েছে ঢাকা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের সর্বত্র। বেশ কয়েক দিন রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে বিরাজ করছিল শৈত্যপ্রবাহ। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহ চলছে চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ড ও সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলেও।

তীব্র এ শীতে কদর বেড়েছে গরম কাপড়ের। শীত থেকে বাঁচতে রাজধানী ঢাকার ফুটপাথে গরম কাপড়ের দোকানি যেমন বেড়েছে তেমনি বিক্রিও হচ্ছে বেশ। দাম একেবারেই আকাশছোঁয়া। মতিঝিলের ফুটপাথে গতকাল রোববার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে মানুষ খুব বেশি দাম করতে পারছে না। বেশির ভাগ দোকানেই কিছুটা মানসম্পন্ন সুয়েটার হলেই এক দামে বিক্রি হচ্ছে এবং ক্রেতারাও খুব বেশি বাক্য ব্যয় না করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যে সুয়েটার এই ক’দিন আগেও এক শ’ থেকে দেড় শ’ টাকায় বিক্রি হতো এখন তা দুই শ’ থেকে তিন শ’ টাকায় এক দামে বিক্রি হচ্ছে।

গ্রামের দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের কষ্টের সীমা নেই। কেবল কাঁথা জড়িয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে এখন আর রাত কাটতে চায় না। শীত মোকাবেলার জন্য আরো কিছূ চাই। একটা কম্বল হলেও চলে যেত। কিন্তু দিন এনে দিন খাওয়ার অবস্থা যাদের তাদের কম্বল কেনার সামর্থ্য হয় না বলে জানিয়েছেন আমাদের সংবাদদাতারা।

আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, সাইবেরিয়া অঞ্চলের চরম ঠাণ্ডা বায়ু হিমালয় পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও কিছু বাতাস হিমালয়ের ওপর দিয়ে চলে আসে। আবার কিছু হিমশীতল বায়ু হিমালয়ের পাশ দিয়ে ভারতের বিহার ও পরে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করে বাড়িয়ে দেয় শীতের মাত্রা। এরই কিছুটা দেশের মধ্যাঞ্চলেও চলে আসে। হিমশীতল বাতাসের প্রথম ধাক্কাটা উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে এসে ঠেকে বলে দেশের মধ্যাঞ্চলে আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ফলে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা কম অনুভূত হয়। হিমালয়ে হিমশীতল বায়ুকেই উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় হিসেবে বর্ণনা করে থাকে আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি বিরাজ করছে।
এই প্রচণ্ড শীতেও গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে অথবা রেলস্টেশন অথবা বাসস্টেশনের যাত্রীছাউনিতে বসবাস করছেন। এদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও কৃষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এবং ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল বিভাগে এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট অঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ড এবং সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

রাজধানী ঢাকায় গতকাল ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ৭.২, মাদারীপুরে ৮.১, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে ৮.২ পর্যন্ত নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছীতে ৬, রংপুরে ৭.৫, রাজারহাটে ৭, সৈয়দপুরে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ৫.৮, যশোরে ৬.৩, কুমারখালীতে ৭.৬, সাতক্ষীরায় ৭ এবং খুলনায় ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, পৌষের কনকন শীতে শিবালয়সহ পাশের এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গতকাল রোববার শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি চাঁন মিয়া ফিটার (৬২), তরুণ ব্যবসায়ী জনি (২৮) পাটুরিয়া ঘাটের পরিবহন শ্রমিক গোলাপ (৪০) মারা গেছেন। শীতে নারী-শিশুসহ সব বয়সী লোকজন ও পশুপাখি কাতর হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডজনিত রোগী ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে বয়স্ক লোক ও শিশু বেশি। অব্যাহত শীত ও ঘন কুয়াশায় বিভিন্ন ফসলের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। নিম্নআয়ের মানুষ দারুণ বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী স্থানে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছে।

শিবালয়ের ইউএনও কামাল মোহাম্মদ রাশেদ সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২৫ জন করে দুস্থ ব্যক্তির নামের তালিকা প্রস্তুত শেষে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে স্থানীয় হাট-বাজারে গরম কাপড়ের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শীতজনিত রোগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত পাঁচ দিনের একটানা শৈত্যপ্রবাহ, হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় উপজেলায় জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডা থেকে পরিত্রাণ পেতে তেমন কোনো শীতবস্ত্র না থাকায় কাহিল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। এ দিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- মধ্য বেলকা গ্রামের ফিরিদুল ইসলামের মেয়ে মজিদপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিনা আক্তার তৃষা, উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) ও একই গ্রামের বঙ্কিম চন্দ্র (৬৫)। বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ্ ও ছাপড়হাটী ইউপি চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, এ পর্যন্ত আট হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরে ভয়াবহ শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। গতকাল শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খাতুন নিশ্চিত করেছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দিনাজপুর ও আশপাশের এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা রয়েছে। দিনাজপুর ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলোতেও দিন ও রাত উভয় সময়েই তাপমাত্রা কম। দিনাজপুর জেলায় সকাল থেকে বেলা গড়িয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের নিত্যদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় জেলার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল পর্যায়ের মানুষ পড়েছে দুর্ভোগে। ছিন্নমূল মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

এ দিকে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগী। আক্রান্তদের অনেকেই ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সব বয়সের মানুষের এই তীব্র শীতে সতর্ক থেকে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, গত চার দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে নীলফামারী। সেই সাথে হিমেল বাতাশ আর শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে তারা। দিনভর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথঘাট। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রোববারও সারাদিন সূর্য উঁকি দিতে পারেনি। দিনে যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এ দিকে শীত বস্ত্রের অভাবে শীতার্ত মানুষ খড়কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় বয়স্ক ও শিশুরা। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে।

মিঠাপুকুর (রংপুর) সংবাদদাতা জানান, শীতে কাঁপছে মিঠাপুকুর উপজেলার মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে এই উপজেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। হাটবাজারগুলোতেও সন্ধ্যার পর লোকজনের উপস্থিতি কম লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারিভাবে এ উপজেলায় এখনো পর্যন্ত কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন-অর-রশিদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কিছু বরাদ্দ পেয়েছি তা দ্রুত বিতরণ করব। কী পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা তিনি জানাতে পারেননি।

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে গত ক’দিনের কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত চার দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ, হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে দরিদ্র, ছিন্নমূল, পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ লোকের বসবাস। পাহাড়ি জনপদের লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীত, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় লোকজন জবুথবু হয়ে পড়েছে। শীতের জ্বরে কাঁপছে পুরো উপজেলাবাসী। প্রচণ্ড শীতে সন্ধ্যার পর রাস্তঘাট হয়ে পড়ছে জনশূন্য। ঘন কুয়াশায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না। শ্রমজীবী মানুষ কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। প্রচণ্ড শীতে বোরো রোপণ ও বীজতলা তৈরি ব্যাহত হচ্ছে।
বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর বদলগাছীতে হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জনজীবন ও পশুপাখির বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন রাতে ঘন কুয়াশা আর দিনে হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ ও পশুপাখি। সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ঠাণ্ডা। এতে সাধারণ মানুষ তাদের গরু, ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর মান্দায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ও হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছে। থরথর করে কাঁপছে মানুষ। তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় অসহায় হয়ে পড়েছে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ।

রানীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, গত কয়েক দিনে টানা শৈত্যপ্রবাহে নওগাঁর রানীনগরে জেঁকে বসেছে প্রচণ্ড শীত। এ পর্যন্ত উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও অতিরিক্ত চাহিদা পাঠানো হয়েছে প্রায় আরো চার হাজার শীতবস্ত্রের। প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে গতকাল রোববার দুপুরে আব্দুল জলিল (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধ আব্দুল জলিল উপজেলার সিম্বা গ্রামের বাসিন্দা।

মুকসুদপুর-গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে এখন শীতের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঠাণ্ডায় নাকাল জনজীবন, স্থবির হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা। এখানে বেলা ১১ দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও বিকেল হলেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন। অপর দিকে কাজে বের হতে না পেরে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনতি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিউমোনিয়ায় ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে অর্থশতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। অন্য দিকে ঘন কুয়াশা ও শীতে বোরো বীজতলা, আলু, সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করছে কৃষক।

শিবপুর (নরসিংদী) সংবাদদাতা জানান, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সর্বত্র কনকনে বাতাস ও তীব্র ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ উপজেলার মানুষ। তীব্র ঠাণ্ডায় নিম্ন আয়ের লোকজন পড়েছে চরম দুর্ভোগে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। গত কয়েক দিনের শীতে ছিন্নমূল মানুষ পড়েছে চরম বেকায়দায়। দুস্থরা গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশায় যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে উপজেলায় অসহনীয় শীত অনুভূত হচ্ছে। গত ক’দিন ধরে এই অঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। হাসপাতালে দিনদিন শীতজনিত রোগী বাড়ছে। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় উপজেলার হাওরাঞ্চলে বোরো জমিতে চারা রোপণ ও অন্যান্য কাজে নি¤œ আয়ের লোকজন যেতে পারছে না। অনেকে শীত নিবারণে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে ঊষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছে। এ দিকে স্কুলগামী ছেলেমেয়েরা সময় মতো স্কুলে পৌঁছতে পারছে না।

ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর ধামইরহাটে প্রচণ্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা বিপাকে পড়েছে। এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সারা দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত শৈত্যপ্রবাহে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় শীত জেঁকে বসেছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মধ্যরাত থেকে পরদিন বিকেলে পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড শীত ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বর্তমানে এ উপজেলায় ৫.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে শৈতপ্রবাহ বেড়েই চলছে। সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে সারা দিন। হাওরাঞ্চলে ঠাণ্ডায় বোরো জমিতে চারা রোপণ ও অন্যান্য কাজে দিনমজুর হতদরিদ্ররা নিজ নিজ কাজে যেতে পারছে না। ফলে হাওর অঞ্চলের কর্মজীবী খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুয়ের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। জানা যায়, হাওরাঞ্চলে মানুষকে গত কয়েক বছর ধরেই বোরো ফসলহানির ধকল সইতে হয়েছে। শীতের প্রস্তুতি না থাকায় চরম দুর্ভোগে আছে হাওরাঞ্চলবাসী। ভোর থেকে ১১-১২টা পর্যন্ত কুয়াশার ডাকা থাকে চার পাশ। কোনো কোনো দিন সারাদিনেই কুয়াশা এবং সেই সাথে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাশ, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জেলার হাওরাঞ্চল ও সীমান্ত এলাকার রাস্তাঘাট।

বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর বদলগাছীতে হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো কন কনে শীতে জনজীবন ও পশুপাখির জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জানা যায় গত কয়েক দিনে রাতে ঘন কুয়াশা আর দিনের বেলায় হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষজন ও পশুপাখি। সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ঠাণ্ডা এতে সাধারণ মানুষ তাদের গরু, ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এ ছাড়া তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমানে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা সকালে ঘর থেকে বের হতে পারছে না বিশেষ করে কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। এই শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে। ব্যাপক হারে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন অসুখ দেখা দিয়েছে।

রাজবাড়ী সংবাদদাতা জানান, এক সপ্তাহ ধরে রাজবাড়ীতে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে করে জেলাবাসীর জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুপাখিও কষ্ট পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে দিনের বেলায় কেউ ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।

শ্রমিক শ্রেণীর এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। দিনের বেলায়ও মাঝে মধ্যে হেডলাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাতে হচ্ছে। একই কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিনই। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে নির্ঘুম রাত পার করছেন তারা। এক সপ্তাহ ধরে রাত ৮টার পর জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পরপরই দোকানপাট বন্ধ করে বাড়ি ফিরছেন অনেক ব্যবসায়ী।

বকশীগঞ্জ (জামালপুুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গতি হারিয়েছে মানুষের চলাফেরা। বিশেষ করে তীব্র শীতে বয়োবৃদ্ধ, শিশুরা চরম কষ্টে রয়েছেন।

চার দিন ধরে আধাবেলা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না বকশীগঞ্জ উপজেলায়। উত্তরে গারো পাহাড়ের হিমেল হাওয়া ও পশ্চিমে দশানী ও ব্রহ্মপুত্র নদের ঠাণ্ডা বাতাসে মানুষ ঝিমিয়ে পড়েছে। কন কনে শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজে যেতে পারছে না। শীত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে এই এলাকার মানুষ। কন কনে শীত ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগের সংখ্যা বাড়ছে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ দিকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন) মোখলেসুর রহমান তার নিজ এলাকা বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কয়েক হাজার কম্বল বিতরণ করেছেন। বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার ইতোমধ্যে সাড়ে ৪০০ কম্বল বিতরণ করেছেন।

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কয়েক দিন ধরে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অধিক শীত ও কুয়াশার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ঘরের লোকজন পড়েছে মহাবিপাকে। শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামের বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের। প্রতিবছর শীতের শুরুতেই কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও এ বছর তেমন একটি শীতবস্ত্র বিতরণের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দরিদ্র মানুষ কোনো কাজের জন্য ঘর থেকে বাইরে যেতে পারছে না। কয়েক দিন ধরে শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। দু’দিন ধরে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কুয়াশার কারণে দিনের অর্ধেক সময় পার হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতের তীব্রতা আর ঘন কুয়াশার কারণে শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই বেড়েই চলছে। বেশি কুয়াশার কারণে জমির বীজধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।

সুত্রঃ নয়াদিগন্ত

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৮:১১   ৮১৬ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #