সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তিকর পর্যবেক্ষণ বাতিল চায়

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তিকর পর্যবেক্ষণ বাতিল চায়
সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭



ফাইল ছবি
বঙ্গ-নিউজঃ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের দেওয়া পুরো রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল রবিবার সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয়। ৯০৮ পৃষ্ঠার এই রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ মোট ৯৪টি যুক্তি তুলে ধরে রায়ে দেওয়া কিছু আপত্তিকর পর্যবেক্ষণকে অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

বিশেষ করে “ফাউন্ডিং ফাদার অব দ্য ন্যাশন’-এর স্থলে ‘ফাউন্ডিং ফাদার’স অব দ্য কান্ট্রি”; “আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সংসদ শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে, জনগণ এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা অর্পণ করতে পারছে না”; “সংসদীয় গণতন্ত্র অপরিপক্ব। যদি সংসদের হাতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় তবে তা হবে আত্মঘাতী”; “আমাদের অবশ্যই এই নোংরা ‘আমাদের লোক’ মতবাদ পরিহার করতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে এই আত্মঘাতী ‘আমি একাই সব’ দৃষ্টিভঙ্গি”- রায়ের এসব পর্যবেক্ষণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রিভিউ দায়েরের পর এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রায় দুমাস ধরে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করে এই রিভিউ পিটিশন তৈরি করেছি এবং এই আবেদনের যুক্তিগুলো তৈরি করেছি। রিভিউ আবেদনে বলেছি, ৩ জুলাই আমাদের যে আপিল খারিজ করা হয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনা করা হোক।

আবেদনে পুরো রায়ের রিভিউ চাওয়া এবং অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণগুলোর বাতিল চাওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিভিউ আবেদনের গঠনটাই (ফর্মটাই) এমন যে, এই রায়টা পুনর্বিবেচনা করা হোক। অনেক সময় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি নিয়ে পুরো রায় বাতিল করা হয়, আবার কোনো সময় রায়ের আংশিক বাতিল করে দেওয়া হয়। কোনো কোনো সময় পর্যবেক্ষণ বাতিল করে দেওয়া হয়। এ জন্য রিভিউয়ের ফর্মটাই এমন। ধরেন, পুরো রায়টা যদি বাতিল না-ও করে, তা হলে সেসব পর্যবেক্ষণ যেন বাতিল করে।

রিভিউ দ্রুত শুনানির জন্য কী উদ্যোগ নেবে রাষ্ট্রপক্ষÑ এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।

এদিকে আইনবিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, রিভিউ আবেদনে রায় পরিবর্তনের নজির খুবই কম। এর পরও সাতজন বিচারপতি ঐকমত্যের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেছেন। এ অবস্থায় পুরো রায় উল্টে ষোড়শ সংশোধনী বৈধ হওয়াটা খুবই কঠিন।

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। সুপ্রিমকোর্টের ৯ আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। গত তিন জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ। সাত বিচারপতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয় ১ আগস্ট।

এই রায়ে প্রধান বিচারপতির দেওয়া বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারপন্থি আইনজীবীরা। তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন। সমালোচনার মধ্যেই গত ১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা হঠাৎ এক মাসের ছুটির কথা জানিয়ে চিঠি দেন।

পরের দিন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর আইনমন্ত্রী জানান, প্রধান বিচারপতি ক্যানসারে আক্রান্ত। গত ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। দেশ ছাড়ার আগে তিনি তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি অসুস্থ নই। বিচার বিভাগের স্বার্থে আবার ফিরে আসব। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে একটি মহল প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন।

এসকে সিনহা একটি লিখিত বিবৃতিও সাংবাদিকদের দিয়ে যান। পরের দিন ১৪ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ১১টি দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চাননি আপিল বিভাগের বিচারপতিরা। এর পর ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে কানাডায় ফিরে যান। এর পর গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে রায়টি পর্যালোচনা করে পুনর্বিবেচনার জন্য।

ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায়ের একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘ফাউন্ডিং ফাদার’স অব দ্য কান্ট্রি (ঋড়ঁহফরহম ঋধঃযবৎ’ং ড়ভ ঃযব পড়ঁহঃৎু)। রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের একটি অংশ তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের মর্যাদা ও অখ-তা রক্ষার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।’ এখানে এটা স্পষ্ট, শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা (বাঙালির) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে একটি বহুবাচনিক (প্লুর্যাল) শব্দ ‘ফাউন্ডিং ফাদার’স অব দ্য কান্ট্রি’ (দেশের) ব্যবহার করে ভুল করেছেন, যা পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।

রায়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা লেখেন, ‘কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি। আমরা যদি সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্নে সোনার বাংলায় বাঁচতে চাই, তা হলে এই আমিত্বর আসক্তি এবং আত্মঘাতী উচ্চাভিলাষ থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে। এই আমিত্ব হলো কেবল এক ব্যক্তি বা একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারেন এমন ভাবনা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের দেশে একটি রোগ আমাদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। আর সেই রোগের নাম ‘অদূরদর্শী রাজনীতিকীকরণ’। এটা একটা ভাইরাস এবং দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সংস্কৃতিকে তা এমন বিস্তৃতভাবে সংক্রমিত করেছে যে, আমাদের নীতিনির্ধারকরা এমন একটি ভবিষ্যৎ দেখতে বা কল্পনা করতেও পারছেন না যে, ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পুরো জাতি, কোনো একজন ব্যক্তি নন। এই বাজে রোগের কারণে নীতিনির্ধারকরা সবকিছু ব্যক্তিকরণ করে ফেলেছেন। তারা তাদের ক্ষুদ্র এবং সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে একটি ভুয়া ও ‘মেকি গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের অবশ্যই এই নোংরা ‘আমাদের লোক’ মতবাদ পরিহার করতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে এই আত্মঘাতী ‘আমি একাই সব’ দৃষ্টিভঙ্গি।’

এই পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে রিভিউ আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতের এই পর্যবেক্ষণ ভিত্তিহীন ও অপ্রত্যাশিত এবং আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতি একটি অপবাদÑ যা আমাদের এই মামলার বিবেচ্য বিষয় ছিল না। এটা পুনর্বিবেচনা বা বাতিলের দাবি রাখে।

রায়ে এসকে সিনহা আরও লিখেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি নিরপেক্ষভাবে এবং কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে না হতে পারে, তা হলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অনুপস্থিতিতে একটি গ্রহণযোগ্য সংসদও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সে কারণে আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সংসদ শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে। জনগণ এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা অর্পণ করতে পারছে না।

এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পর্যবেক্ষণ সঠিক নয় এবং এটি আদালতের বিচার্য বিষয় ছিল না। আইন বিভাগের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের এ ধরনের মন্তব্য অপ্রত্যাশিত এবং বিচারিক শিষ্টাচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যে কারণে এই রায় পুনির্বিবেচনা বা বাতিলের দাবি রাখে।

রায়ে আরও বলা হয়েছিল, ‘সংসদ যদি যথেষ্ট পরিপক্বতা অর্জন না করে, তা হলে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত করা হবে একটি আত্মঘাতী উদ্যোগ। সংসদের কাছে বিচার বিভাগের জবাবদিহি করা উচিত নয়; বরং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে জাতীয় নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্ক হওয়া। যেসব দেশে বিচারপতিদের সংসদীয় অভিশংসনের ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব দেশের গণতন্ত্র আমাদের তুলনায় বয়ঃপ্রাপ্ত হলেও সেখানে ওই ব্যবস্থা কার্যকরভাবে প্রয়োগ সম্ভব হয়নি।’

এ পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে রিভিউ আবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের এই পর্যবেক্ষণ শুধু অবমাননাকরই নয়, বরং ভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্নও বটে! এ ধরনের পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে আদালত বিচারিক এখতিয়ার অতিক্রম করেছে। রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ (বিচার বিভাগ) অন্য একটি অঙ্গের (আইন বিভাগের) বিরুদ্ধে এরূপ মন্তব্য করতে পারে না। এ ধরনের মন্তব্য করে আদালত করে ভুল করেছে, যা পুনর্বিবেচনাযোগ্য বা বাতিলযোগ্য।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আদালত (আপিলের রায় প্রদানকারী আদালত) মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে প্রণীত কোনো আইনকে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করেনি। কিন্তু সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানের বৈধতাসংক্রান্ত বিষয়টি বিপরীত দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ করে ভুল করেছে, যা পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

রিভিউ আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত এবং সরকারের স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ আনয়ন করা হয়। জাতীয় রাজনীতি থেকে দুর্নীতি ও অস্থিতিশীলতা অপসারণ করাই ছিল এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য। কিন্তু সংবিধানের এই যে উদ্দেশ্য, তা বিবেচনা না করে আদালত একটি ভুল করেছে। ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আদালতের এ ধরনের পর্যবেক্ষণ অপ্রত্যাশিত এবং বাতিলযোগ্য।

রিভিউয়ের আরেকটি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। তা হলোÑ যদিও সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অনুযায়ী সংবিধানের ৯৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান রেখে একটি আইন করার কথা ছিল। কিন্তু সংবিধানের ৯৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সেই আইন এখনো করা হয়নি। অথচ এই আইন করার আগেই রিট দায়ের করা হয়েছে। তাই এই রিটটি অপরিপক্ব। অথচ এই অপরিপক্ব রিটটি আদালত আমলে নিয়ে রায় দিয়েছেন, যা সংশোধনযোগ্য।

রিভিউ আবেদনে আরও বলা হয়, মূল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ কার্যকর রেখে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করার মাধ্যমে সরকার কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ প্রমাণিত হলে আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু এই আদালত (আপিল বিভাগ) সেই সংশোধনীকে একটি ‘কালারফুল অ্যামেন্ডমেন্ট’ হিসেবে মন্তব্য করে এবং কোনো প্রেক্ষাপট বিবেচনায় না নিয়ে এই সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করার মাধ্যমে ভুল করেছে, যা সংশোধন হওয়া প্রয়োজন।

রিভিউয়ে যুক্তিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, মার্শাল ল’র যাবতীয় কার্যক্রম সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে মার্জনা করা হয়েছিল, যা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের ক্ষেত্রে বিবেচনা না করে ভুল করা হয়েছে। রায়ে বিষয়টি এড়ানো হয়েছে। এ কারণে এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩২:৫৩   ৬২৭ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #