শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

অনৈতিকতার আবর্তে সমাজ ও রাষ্ট্র, ড. আবদুল লতিফ মাসুম

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » অনৈতিকতার আবর্তে সমাজ ও রাষ্ট্র, ড. আবদুল লতিফ মাসুম
শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭



ড. আবদুল লতিফ মাসুম

শুধু প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটিই যদি পর্যালোচনা করা হয় তাহলে বোঝা যাবে, এই জাতির নৈতিক মানদণ্ড কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস পাবলিক পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়, এখন তা সর্বপ্লাবিত ও সর্বগ্রাসী। মহামারীর মতো এটা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ইদানীং দ্বিতীয় শ্রেণীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কতটা সর্বনাশ এই সরকার সাধন করেছে তার নমুনা এই ঘটনা। ইতঃপূর্বে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তখন মন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন ‘সব ঝুট হ্যায়’। সব মিথ্যা। আগবাড়িয়ে আরো বলেছিলেন, এসব গুজব যারা ছড়াবে, যারা কিনবে, এমনকি গণমাধ্যমে প্রকাশ করবে- সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সর্বশেষ প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর তিনি নতুন কথা বলেছেন- এ জন্য শিক্ষকেরাই দায়ী। তা যদি আদৌ সত্য হয়ে থাকে, এর জন্য তিনিই দায়ী। কারণ তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে এইচএসসি পর্যন্ত হাইব্রিড রেজাল্ট দেখতে চেয়েছেন। ফেলের কোনো নমুনা তার কাছে শিক্ষার অবনতি। অপর দিকে প্রাথমিক, নি¤œমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পরীক্ষার এত ঘনঘটা ছড়িয়েছেন যে, বিদ্যালয়গুলো শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা শিক্ষাবিদদের সাধারণ অভিযোগ। পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতে গিয়ে তিনি তুঘলকি কাণ্ড ঘটিয়েছেন। শিক্ষকদের যথার্থ প্রশিক্ষণ না দিয়ে পাঠ্যসূচিতে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঘটিয়েছেন। শিক্ষকদের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই। সুতরাং যা হওয়ার তাই হয়েছে। শিক্ষকদের এভাবে অবাস্তব, অন্যায় ও অনৈতিকভাবে দায়ী করে মন্ত্রী মহোদয় শিক্ষামন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। এত শিক্ষা কেলেঙ্কারির কিভাবে তার পদ থাকে তা একটি বিস্ময়ের ব্যাপার।

শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের দায়ী করছেন। অথচ এই সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে ভিন্ন কথা। দুদকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ সরকারি প্রেস (বিজি প্রেস), ট্রেজারি ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো প্রশ্ন ফাঁসের উৎস। অপর দিকে টিআইবির রিপোর্টে কোচিং সেন্টার এবং মতলববাজ ব্যক্তিদের দায়ী করা হয়েছে। তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন কোনো ক্ষেত্র নেই- যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত নয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে সংবাদপত্রে খবর এসেছে যে সাধারণভাবে শিক্ষকেরা দায়ী, তবে এর সাথে উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা জড়িত। এত কিছুর পরও শিক্ষামন্ত্রী আত্মরক্ষার নানা কৌশল এঁটে যাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রাথমিক থেকে এইচএসসি- বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। বিষয়টি এ রকম- ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দেবো কোথা’।

সম্পূর্ণভাবে জনগণের আস্থা হারিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন উঠতে পারে, শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশ্নফাঁসের জন্য তারা দায়ী। কিন্তু মেডিক্যালের প্রশ্নফাঁসের জন্য দায়ী কারা? বিগত কয়েক বছরে এমন কোনো চাকরির পরীক্ষা বাকি নেই যা ফাঁস হয়নি। কারা ফাঁস করল এসব পরীক্ষার প্রশ্ন? আরো কথা আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ওইসব এলাকায় পরীক্ষাও স্থগিত হয়েছে। দ্বিতীয় বা চতুর্থ শ্রেণীর যারা ছাত্র তারা তো অনেক ছোট। প্রশ্নফাঁস বলতে কী বোঝায়Ñ তারা এখনো তা শিখে ওঠেনি। তাহলে কারা সেই মানুষ নামের অমানুষ বা কুমানুষ, যারা তাদের শিশুসন্তানদের আখের খেয়ে ফেলতে চায়। সেই অভিভাবকদের প্রতি ঘৃণা, যারা বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে মেডিক্যাল অথবা অন্যত্র ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছেন। এই দুষ্টচক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, তারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মেকানিজম ডেভেলপ করে পরীক্ষা চলাকালীন উত্তরপত্র তৈরিতে সহায়তা করেছে। তাহলে এটা প্রমাণিত যে, প্রশ্নফাঁস, অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নয়; সর্বত্র রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। একটি জনপ্রিয় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি কোনো কোনো ব্যক্তির পেশায় পরিণত হয়েছে। এর সাথে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদেরও যোগসাজশ রয়েছে। সামগ্রিকভাবে এই সর্বনাশের আবর্তে সব সমাজকাঠামো নিপতিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, এর সাথে রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংযোগ। বাংলাদেশের সর্বত্র যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তারই নিকৃষ্ট নমুনা প্রদর্শিত হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ব্যাপারে। এ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারের তরফ থেকে কোনো কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছেÑ এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সামাজিক বিজ্ঞানের যেকোনো শিক্ষার্থী স্বীকার করবে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টির একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক ও নৈতিক প্রেক্ষিত রয়েছে। এ দেশে এই সেদিনও এ অবস্থা ছিল না। একজন শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেন- এটা বিশ্বাস করা হতো না। একজন অভিভাবক তার শিশুসন্তানকে ফাঁস করা প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়াবেন- এটা কল্পনা করা যেত না। একজন বেকার লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেবেন- এটা অবাস্তব ছিল। সঙ্গতভাবেই বিবেকবান মানুষ ভেবে দেখতে পারেন- এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতি, পরীক্ষায় দুর্নীতি এবং ঘুষের বিস্তার কখন, কোথায়, কিভাবে ঘটেছে। কথায় বলে, মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে। সেভাবে সমাজের পচন শুরু হয় নেতৃত্ব থেকে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সফলতা-ব্যর্থতা নিরূপিত হয় নেতৃত্ব কর্তৃক অনুসৃত নীতি ও কার্যব্যবস্থা দ্বারা। নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব পরস্পর নির্ভরশীল বিষয়। ইংরেজি প্রবাদ এ রকম- ‘এবসুলেট পাওয়ার কারাপ্টস এবসুলেটলি’। সর্বাত্মক ক্ষমতা সর্বাত্মকভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত করে। উন্নত রাষ্ট্রগুলোয় সভ্যতা ও পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকতার কারণে ব্যক্তি নেতৃত্বের বিষয়টি গৌণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নেতৃত্বের ওপর নিয়মনীতি-প্রথাপদ্ধতি নির্ভর করে। আমাদের মতো রাষ্ট্রব্যবস্থায় শাসনব্যবস্থাকে বুঝতে নেতৃত্বের আচার-আচরণের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বংশগত বা সম্মোহনী নেতৃত্বের কারণে শাসনব্যবস্থার ধরন-ধারণ, নীতি-নির্দেশনা শাসকপরিমণ্ডলের ওপর নির্ভর করে। এই পরিমণ্ডল সোজা কথায় সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল। মূল রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের ওপর সুশাসন বা কুশাসন নির্ভর করে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি যদি কুশাসনের নমুনা হয়ে থাকে তাহলে এটি প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের সাথে সম্পর্কিত। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে যখন এরা ক্ষমতাসীন ছিল তখন নকলের বন্যা বয়ে যায়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এখন প্রায় চার যুগ পরে একই ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও নেতৃত্ব ফিরে এসেছে। তার সাথে ফিরে এসেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো নৈরাজ্য। সংসদীয় গণতন্ত্রে সামান্য ঘটনার জন্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়। ২১ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, নিল ছবি কম্পিউটারে থাকার অপরাধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার কথিত অবাধ যৌনাচারের দেশে কী রকম মূল্যবোধের প্রাধান্য থাকলে ওই মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। ১৯৬৬ সালে ভারতে এক রেল দুর্ঘটনা হলে রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। আমাদের দেশে আমরা এতটা উন্নত সংস্কৃতি দাবি করতে না পারলেও ন্যূনতম মূল্যবোধ তো রক্ষা করব। কিন্তু তার বিপরীতে অসৎ লোককে যদি সৎ চরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়া হয়, যদি চৌর্যবৃত্তিকে উৎসাহিত করা হয়, মাস্তানির অভিভাবকত্ব দাবি করা হয় এবং সন্ত্রাসের জন্য সোনার ছেলেদের লালন করা হয়, তাহলে তিনি কী করে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের শাস্তি দেবেন?

পাঠককে মনে করিয়ে দেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে কারা জড়িত ছিল? বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ইলেকট্রিক মেকানিজম ব্যবহারে কাদের নাম এসেছিল? অবশেষে যে কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের জারিজুরি ফাঁস হলো, তার রাজনৈতিক পরিচয় কী? আগেই বলেছি, আমাদের দেশে উন্নত দেশের মতো প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন হয়নি। সুতরাং আমাদের অর্থ, পদ, চাকরি, ক্ষমতা, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুর উৎস হচ্ছে রাজনীতি। আর রাজনীতির মালিক-মোখতার জনগণ নয়। একক ব্যক্তিত্বের দ্বারা রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালিত। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের মধ্যে এটিই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এদের জন্য রাজনীতি হলো ‘রাষ্ট্রসম্পদের কর্তৃত্বপূর্ণ বণ্টন’। এরা মানুষের সেবার কথা বলে তাদের সর্বনাশ করে। মনীষী প্লেটোর ভাষায়, ‘এরা ঔদ্ধত্যকে বলে আভিজাত্য, অরাজকতাকে বলে স্বাধীনতা এবং অপব্যয়কে মহানুভবতা আর মূর্খতাকে বলে বিক্রম। (রিপাবলিক ৮ : ৫৬০ )’ প্রশ্নফাঁসের বিষয়টিকে হয়তো তারা ‘চেতনায়’ শামিল করে ফেলবেন অথবা বেশি বলাবলি হলে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে প্রমাণ করার প্রয়াস পাবেন। অতীতে তারা এসব করেছেন। তারা প্রমাণ করেছেন ‘শিষ্টের দমন ও দুষ্টের লালন’ই তাদের ধর্ম। গোটা জাতিকে তারা এতটাই লোভাতুর করে তুলেছেন যে, তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়াতে খুশি নন। তারা বটগাছ হতে চান। একজন ছাত্রনেতা যখন কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক খোলেন তখন বুঝতে বাকি থাকে না যে তারা কী করতে পারেন।

প্রতিটি ঘটনার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক ও নৈতিক প্রেক্ষিত রয়েছে। বাংলাদেশের মতো সমাজ ও রাষ্ট্রে যেকোনো ঘটনার অনুঘটক হিসেবে এসবের কার্যকারণ রয়েছে। বিদ্বজ্জনরা হা-হুতাশ করছেন, সমাজের মূল্যবোধের নিদারুণ অবক্ষয় ঘটেছে। অর্থনীতিবিদেরা কার্লমার্কসের ‘অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদ’ উদ্ধৃত করে সব কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থনীতিকে দায়ী করছেন। মনস্তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা সব অপরাধের পেছনে ‘মনোরোগ’ খুঁজছেন। নৈতিক আদর্শের প্রবক্তারা নৈতিকতার বিপর্যয় দেখছেন। এই কারণগুলো অবাস্তব এমন নয়। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন বাস্তবতা হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা (পলিটিক্যাল উইল)। ‘রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়’। আর রাজা যদি হন ন্যায়বান ও নিষ্ঠাবান তাহলে সেটি হবে উত্তম নেতৃত্ব। সুতরাং সামাজিক বিজ্ঞানী তথা সচেতন নাগরিকদের ভেবে দেখা উচিত- কী কারণে একটি রাজনৈতিক সরকারের মতাদর্শগত পরিবর্তন ঘটে এবং কী কার্যকারণ সূত্রে পরিবর্তন সূচিত হয়। সুতরাং প্রতিজ্ঞা হোক পরিবর্তনের লক্ষ্যে।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ সময়: ৯:১১:১৪   ১৪৭৭ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #