রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের পথে পথে জনতার উল্লাস

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের পথে পথে জনতার উল্লাস
রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭



জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পদত্যাগের দাবিতে জনতার সমাবেশ। ছবি: এএফপি।

বঙ্গ-নিউজঃ জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের পথে পথে এখন চলছে আনন্দ-উল্লাস। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিলেও প্রেসিডেন্ট পদে এখনো বহাল রবার্ট মুগাবে। সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে পথে পথে উল্লাস চলছে। মুগাবে যুগের পুরোপুরি অবসানের দাবিতে তাঁকে পদত্যাগের আহ্বানও জানাচ্ছেন উল্লাসকারীরা।

বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মুগাবেবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ আসলে উদ্‌যাপনে রূপ নিয়েছে। পথে নেমে আসা বিক্ষোভকারীরা সেনাসদস্যদের সঙ্গে আলিঙ্গন করছেন, জয়ধ্বনি দিচ্ছেন। একজন বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেন, এটা তাঁদের ‘নতুন দিনের শুরু’।

সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিওটিক ফ্রন্ট (জেডএএনইউ-পিএফ) এই বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছে।

জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুগাবের সহযোদ্ধারা গত বছর পর্যন্ত তাঁর অনুগত ছিলেন। তাঁরাই এখন বলছেন, মুগাবের পদত্যাগ করা উচিত। বিবিসির সংবাদদাতা বলেন, হারারের পথে পথে উল্লাস ও সমাবেশে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব।

সমাবেশে যোগ দেওয়া একজন বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের নাগরিক হিসেবে আমরা সেনাবাহিনীকে বলব, শান্তিপূর্ণ হস্তক্ষেপের জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। এবং জনগণের এখন বলার সময় এসেছে: মুগাবেকে অবশ্যই চলে যেতে হবে। আমরা তাঁর ফেরা দেখতে চাই না। আমাদের কাছে এটা হলো কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান।’

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট মুগাবের সরকারি বাসভবনে ঢোকার চেষ্টাকালে আন্দোলনকারীদের মিছিলে বাধা দিয়েছে সেনারা। অপরদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুগাবে ও তাঁর স্ত্রী গ্রেস ‘সত্যের জন্য মরতে প্রস্তুত’ এবং সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে বৈধতা দিতে তাঁদের পদত্যাগের কোনো ইচ্ছা নেই। আজ শনিবার মুগাবের এক ভাগনে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গোপন স্থান থেকে রয়টার্সকে এ কথা বলেন।

১৯৮০ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতায় রবার্ট মুগাবে। ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্টকে ৬ নভেম্বর বরখাস্ত করা হয়। স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি এটা করেন বলে ধারণা করা হয়। এরপরই দেশটিতে রক্তপাতহীন ‘অভ্যুত্থান’ ঘটে।
এ ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার তিনি প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হন। ওই দিন হারারেতে তিনি চ্যান্সেলর হিসেবে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁর স্ত্রী গ্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০২:৫৯   ৭৪৪ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #