শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

জিম্বাবুয়ের অদ্ভুত সেনা অভ্যুত্থান!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » জিম্বাবুয়ের অদ্ভুত সেনা অভ্যুত্থান!
শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭



---

বঙ্গ-নিউজঃ  জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী দেশটির ৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ও তাঁর স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে আটক করেছে। রাজধানী হারারের সড়কগুলো আর প্রধান টেলিভিশন স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর পরবর্তী সম্ভাব্য পদক্ষেপ হতে পারে সেনাবাহিনীর পছন্দের কারও হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুগাবেকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করছে সেনাবাহিনী।

ঘটনার সূত্রপাত ৬ নভেম্বর। ওই দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত এবং ক্ষমতাসীন দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিওটিক ফ্রন্ট (জেডএএনইউ-পিএফ) থেকে বহিষ্কার করেন মুগাবে। গত সোমবার এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কনস্ট্যানতিনো চিয়েংগা এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট মুগাবে, তাঁর দল জেডএএনইউ-পিএফ ও মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে সেনাবাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেবে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাসদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন।

গত বুধবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেনি। এই অভ্যুত্থানে সহিংসতা বলতে কয়েকটি গুলির শব্দ আর কয়েকজনকে মারধর করা ছাড়া আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ২৬ মিনিটে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র টেলিভিশন ও রেডিওতে দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট মুগাবের আশপাশের অপরাধী, যাঁরা অপরাধ করছেন এবং সামাজিক ও আর্থিকভাবে দেশের ক্ষতি করছেন, তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী নিরাপদে রয়েছেন। ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের অভিযান সফল হওয়া মাত্রই আমরা দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।’

নানা দিক থেকেই এই অভ্যুত্থানকে অদ্ভুত বলা যায়। সেনাবাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিলেও সেনাশাসন জারি করেনি। সংবিধান স্থগিত কিংবা প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুতও করেনি। একদিকে সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থকেরা যেমন অভ্যুত্থান ঘটানোর দায় গায়ে মাখতে চাইছে না, অন্যদিকে ক্ষমতার বাইরে থাকা ব্যক্তিরা চলমান ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার এই নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে ‘অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করতে পারছে না। সেনাবাহিনী শুরু থেকেই দাবি করছে, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে এই পদক্ষেপ কোনোভাবেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নয়। জিম্বাবুয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনী (জেডডিএফ) কেবল রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধোগমন রোধের চেষ্টা করছে, যা না করলে দেশে সহিংস সংঘাতের সূচনা ঘটবে।’

বাংলাদেশ সময়: ৮:৪২:৫৫   ৬২৭ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #