সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

আদালতে উচ্চ স্বরে কাঁদলেন কণ্ঠশিল্পী মিলা ইসলাম

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » আদালতে উচ্চ স্বরে কাঁদলেন কণ্ঠশিল্পী মিলা ইসলাম
সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭



ফাইল ছবি

 

বঙ্গ-নিউজঃ যৌতুক আইনের মামলায় স্বামী পারভেজ সানজারির জামিন নামঞ্জুর চেয়ে আদালতে উচ্চ স্বরে কাঁদলেন কণ্ঠশিল্পী মিলা ইসলাম।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির সময় এই ঘটনা ঘটে। ঢাকা সিএমএম আদালতে এ আসামির দুই দফা জামিন আবেদন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ওই সময় আদালতে উপস্থিত হন মামলার বাদিনী কণ্ঠলিল্পী মিলা। শুনানিতে মিলা জামিন আবেদনের বিরোধীতা করে বলেন, বিয়ের ৪ দিন পর জোর করে আমাকে তালাক দিতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বিয়ের আগে তার (স্বামী পারভেজ সানজারি) সাথে আমার ১১ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১১ বছরে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু বিয়ে ৪ দিনের মধ্যে তার আচারণ পরিবর্তন হয়ে যায়। আমি তার জামিন নামঞ্জুরের জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ করছি বলে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই সময় আসামির পক্ষে আইনজীবীকে বাদিনীর সঙ্গে মিমাংসা করতে বলেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী মিমাংসার জন্য সময় প্রার্থনা করলে বিচারক আগামী ২৭ নভেম্বর জামিন আবেদনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরই সানজারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সানজারিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ৯ অক্টোবরও আদালত এ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।
মিলার দায়ের করা মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে তার স্বামী পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। আরও দশ লাখ টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেয়ে তার স্বামী তাকে মারধর করেছেন।
একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১২ মে তারা বিয়ে করেন।


 

 

 

 

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৯:০৬   ৮৭৫ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #