সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে জাবিতে আটক ৬

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে জাবিতে আটক ৬
সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭



ফাইল ছবি
বঙ্গ-নিউজঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে আরো ৬ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ ভাইবার সময় উত্তর পত্রের লেখার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- নিশাদ আহমেদ, নাঈমুর রহমান সরকার, আশরাফুজ্জামান নয়ন, মাহমুদুল রশিদ সৌরভ ও নাঈমুর রহমান। তারা সকলেই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে। এছাড়া মো. রিজওয়ান নামের এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। তবে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলে, নিশাদ ও নাঈমুর আমাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। জালিয়াতির বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।

প্রসঙ্গত, রবিবার মাহবুব হোসেন, ইমাম হোসেন, অমিত হাসান ও আশিকুল হাসান রবিন নামের আরো ৪ শিক্ষার্থীকে একই অভিযোগে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর থানার মুন্সীপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে নিশাদ আহমেদ। সে সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক কলেজের ছাত্র ছিল।

আইন ও বিচার বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ৪৭ তম অবস্থানে ছিল। তার রোল নং-৬৩২১৩৬। এ সময় সঙ্গে আসা তার বড় ভাই ছাত্রদল কর্মী নাঈমুর রহমান সরকারকেও আটক করা হয়। প্রক্সি দেয়ার জন্য সে ৩ লক্ষ টাকা চুক্তি করেছিল।
যশোরের ঝিকরগাছা থানার বাকুড়ার আবুল কাশেমের ছেলে আশরাফুজ্জামান নয়ন সি (কলা ও মানবিকী) ইউনিটে ১৭তম স্থান লাভ করে। সে যশোর এম এম কলেজের অর্থনীতি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায়। তার রোল নং-৩৪২৪৭৬।
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার হারুনুর রশিদের ছেলে মাহমুদুল রশিদ সৌরভ ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১৫২তম অবস্থানে ছিল। গাজীপুর ক্যান্ট. পাবলিক কলেজের এই ছাত্র ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রক্সির ব্যবস্থা করে। তার রোল নং-৫২৩২৫৩।
নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর থানার হাতিখানা গ্রামের আশেকুর রহমানের ছেলে নাঈমুর রহমান ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১২৭তম অবস্থানে ছিল। সৈয়দপুর ক্যান্ট. পাবলিক কলেজের এই ছাত্র সুবির নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রক্সির ব্যবস্থা করে। ইতোমধ্যে সে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধও করেছে। তার রোল নং-৫২৬০৯৮।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, তারা ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. লোকমান হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৭:৩৭   ৬৪৬ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #