শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭

প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেয়া হয়েছে

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেয়া হয়েছে
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭



ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতি স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ করেননি, তাকে জোর করে পদত্যাগ করানা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বারের নিজ কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মলনে বারের সভাপতি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোনীর রায় প্রদানের জন্য শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতিকে বিদায় নিতে হবে জাতি আশা করেনি। জাতির জন্য এটা দুর্ভাগ্যজনক। এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর ঘটেনি।

এ ঘটনা বিচার বিভাগের জন্য সরকারের কারো থাবা উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, এটি প্রধান বিচারপতির ওপর নয়, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের ওপর সরকারের হামলা। একটি রায়ের জন্য প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, অতীতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অনেকবার অভিযোগ করেছেন সরকার দেশের সব আদালত তথা বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আজ একটি রায়ের জন্য পদত্যাগের মাধ্যমে, তার (প্রধান বিচারপতির) অতীতের কথাই সত্য হলো।

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তবে ই-মেইলে করেছেন না সরকারের কোনো এজেন্সির মাধ্যমে তা জানি না।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন সংবিধানের ৭৯ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলেন, প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যে না আসা পর্যন্ত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের মাধ্যমে পদটি শূন্য হলে পদটি শূন্য থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, এ পদে নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। এখন জাতি দেখবে প্রধান বিচারপতি কে হবেন? বিচার বিভাগের ভবিষ্যৎ এখন কী হবে জানি না। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে; ওই অভিযোগের একটিও দেখাতে পারেনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে এই আইনজীবী বলেন, শোড়শ সংশোধনীর রায় রিভিউতে উল্টবার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২২:০৬:৫৯   ৬৬২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #