শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭

দেশে বাড়ছে বিদেশি প্রতারকের উৎপাত

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » দেশে বাড়ছে বিদেশি প্রতারকের উৎপাত
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭



সংগৃহীত ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ বড় বিনিয়োগকারী, নামিদামি দাতা সংস্থার বড় কর্তাসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে দেশের সরলমনা মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে বিদেশি অপরাধীদের সংঘবদ্ধ চক্র। আর তাদের মদদ দিচ্ছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে ভোলার মতো দুর্গম এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়েছে এই প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশে ২০ দেশের অন্তত ৭০০ নাগরিক প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে, এদের ৯০ শতাংশই আফ্রিকা অঞ্চল থেকে আসা। অপরাধ করতে গিয়ে ধরাও পড়ছে অনেকে। কয়েক দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের ১৫ বিদেশি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার হয় গত বৃহস্পতিবার; এরা ক্যামেরুনের নাগরিক।

গোয়েন্দা সূত্র মতে, তারা দুই ডজন বিদেশিকে শনাক্ত করতে পেরেছে, যারা ভয়ংকর প্রতারণায় জড়িত। তারা অবৈধভাবে অবস্থান করে নাম-পরিচয় পাল্টে প্রতারণার ফাঁদ পেতে লোকজনকে নিঃস্ব করছে। এ অপকর্মে তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি, যাদের মধ্যে নারী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর সাতটি অভিজাত এলাকার দুই শতাধিক বাড়িতে বসবাস করছে সন্দেহভাজন বিদেশিরা।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) সম্প্রতি ৯৬৬ জন বিদেশির ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, তাদের মধ্যে ১৫৮ জনই অবৈধভাবে অবস্থান করছে। বিদেশিদের অপরাধে মদদদাতাদের মধ্যে নাফিসা, আসাদ, মোহাম্মদ আলী, মঞ্জুর মাহমুদসহ কিছু ব্যক্তির নাম জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিদেশিদের প্রতারণার এই ফাঁদ মূলত ইন্টারনেটে পাতা। ফেসবুক, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তুলে লটারি প্রাপ্তি, বিদেশে পাঠানো, ব্যবসায় বিনিয়োগসহ মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া এমন বিভিন্ন লোভ দেখায়। গত বৃহস্পতিবার উত্তরা থেকে ক্যামেরুনের নাগরিক কুয়াতে ফুতসু, আমেলিন মাওয়াবো ও এমবিদা একানিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ ইউরো এবং বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এই বিদেশিরা বিনিয়োগের ফাঁদ ফেলেছিল বলে কালের কণ্ঠকে জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ নামে একজন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাকে গত ৭ অক্টোবর ফোন করে কুয়াতে ফুতসু। নিজেকে জার্মানির নাগরিক ‘রোজার্স’ পরিচয় দিয়ে ১১ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে সে। এরপর ফুতসু নিজেকে বোস্তাভো স্টিভস পরিচয় দিয়ে ওয়েস্টিন হোটেলে জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে এবং ইউরোপে পাঠানোর জন্য আড়াই লাখ ইউরো চায়। লোভের বশে জিয়া ইউরো জোগাড়ও করেন। ৩১ অক্টোবর জিয়ার বাসায় বৈঠক করার সময় কৌশলে ইউরো হাতিয়ে নিয়ে সাদা কাগজ রেখে চলে যায় ফুতসু। প্রায় আড়াই কোটি টাকা হারিয়ে গুলশান থানায় জিডি করেন জিয়া। মুফতি মাহমুদ আরো বলেন, এখন পর্যন্ত প্রতারণার অভিযোগে দুই শতাধিক বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশিরা।

ডিবির উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘বিদেশি নাগরিকরা কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে অপকর্ম করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। অপরাধে জড়িত এমন ২০-২৫ জনকে আমরা শনাক্ত করেছি। এ ধরনের কয়েকটি সিন্ডিকেটের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ’

ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহজাহান সাজু বলেন, এ চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে না। তারা নানা নামে ফেসবুক, ই-মেইল, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহজে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেন না।

ভোলার চরফ্যাশনের গ্রাম্য ওষুধ ব্যবসায়ী কামারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করে প্রিসকো খলিফা নামে এক বিদেশি তরুণী তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। ফেসবুক বন্ধু হওয়ার পর শুরু হয় চ্যাটিং। সম্পর্ক আস্থার স্থানে গড়ায়। একপর‌্যায়ে ৪০ লাখ ডলারের লোভ দেখিয়ে ধাপে ধাপে কামারুজ্জামানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মেয়েটি। শাহনূর হোসেন নামে আরেকজনের অভিযোগ, একইভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। গত জুলাই মাসে ডিবি পুলিশ চার নাইজেরিয়ানসহ দুই বাংলাদেশি তরুণীকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে দেখা যায়, বাংলাদেশি লিজা আক্তার ওরফে অ্যাসতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি টাকা লেনদেন করেছে প্রতারকচক্রটি। ব্যারিস্টার ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তি তাদের সহায়তা করেছে বলে তথ্য রয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, জুচিঝি মাইকেল, মিকাইলসহ দুই ডজনের বেশি বিদেশি ভয়ংকর প্রতারককে শনাক্ত করেছে ডিবি। মাইকেল নিজেকে ইউরোপপ্রবাসী ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়। আসাদ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তার মদদদাতা। এ ছাড়া ইকুবি আইব্যাবি, তেরেন কেসি, হুসিমি অ্যাডউইনি, নিনো সানজোবি, প্রিজো আনিতি, বিমি সিনিনি ইকি, পেরেজ ওয়াই, পেরেজ ইফরায়ন, সেনকারিন নাট্টি, মিকু সানডিও, সানজিলা, অ্যাকাবি, মিথুসি, লিবুথি, নাথালি, লাওরেলকে, মাইক মুটুজুয়া ও চার্লি নামের কয়েকজন বিদেশি প্রতারণায় সক্রিয়। তারা এমনকি জাতিসংঘ বা ইউএনডিপির মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় এবং বড়লোকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। গুলশান, উত্তরাসহ অভিজাত এলাকায় তাদের বাসা। বিদেশি প্রতারকদের মদদদাতা হিসেবে মোহাম্মদ আলী ও মঞ্জুর মাহমুদ নামে দুজনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগে বিদেশি কম্পানির নামে ভুয়া ই-মেইল পাঠিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে গুলশান থেকে নাইজেরিয়ান নাগরিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দেখা যায়, নাইজেরিয়ান অতুরোসো অবিকে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করছে নাফিসা নওরীন ওরফে ফাতেমা আক্তার ওরফে নাফিসা আক্তার নামের একজন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আফ্রিকা অঞ্চলের কিছু মানুষ তাদের পাসপোর্ট ফেলে দিচ্ছে। এরপর তাদের অবস্থানে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু অর্থলোভী নারী-পুরুষ। শুধু তাই নয়, অপরাধেও মদদ জোগানো হচ্ছে। ধরা যদি কেউ পড়েও জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়াচ্ছে। আবদুল বাতেন আরো বলেন, ‘বিদেশি অপরাধীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কী করণীয় তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। পরিসংখ্যান তৈরি করে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হবে। বোর্ড এই বিদেশি অপরাধীদের তাদের নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। ’

কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কারাগারে বন্দি আছে বিদেশিরা। এদের মধ্যে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত দুই বছর জেল খাটছে ৮০ জন। সংশ্লিষ্ট দূতাবাস তাদের ফেরত নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। তবে কত বিদেশি জামিনে আছে তার হিসাব কারা কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। আদালত থেকে যেসব বিদেশি জামিন পায়, তাদের আইনজীবী বা দূতাবাসের যেকোনো কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করছে, বাংলাদশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের ওপর সমন্বিতভাবে কোনো নজরদারি নেই। নেই সঠিক পরিসংখ্যানও। বিদেশিদের ভিসা নবায়ন ও নজরদারির ব্যাপারে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান জানান, তাঁদের কাছে বৈধ বা অবৈধ বিদেশিদের কোনো নির্দিষ্ট তালিকা নেই। বিদেশিদের ক্লিয়ারেন্স দেয় এসবি। বিদেশিদের ভিসার ব্যাপারে তথ্য রাখার এখতিয়ার তাঁদের নেই।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন মাসে ৯৬৬ জন বিদেশির ওপর অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ৮৫৭ জন বৈধ, বাকি ১৫৮ জন অবৈধভাবে অবস্থান করছে। তাদের মধ্য থেকে মাত্র একজনকে বিদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং পাঁচজনকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করেছে ৮২ জন। কালো তালিকাভুক্তির জন্য ৪০ জনের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে এসবি। বাকি ৩০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯৯ জন বিদেশির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সময়ে এদের মধ্যে ২৯ জন বিদেশি জরিমানা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে।

এসবির আরেকটি সূত্র জানায়, দেশে প্রায় দুই লাখ বিদেশি অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার আফ্রিকানসহ ২০ দেশের নাগরিক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিদেশিদের তথ্য সব সময়ই হালনাগাদ করা হয়। অবৈধরা নিয়মিত শনাক্ত না হওয়ায় সঠিক তথ্য নেই কারো কাছেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০টি দেশের অন্তত ৭০০ নাগরিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে গোয়েন্দা তথ্য আছে। খসড়া তালিকা থাকলেও তাদের ওপর যথাযথ নজরদারি নেই। অবৈধ বিদেশিরা কোথায়, কী ধরনের কাজ করছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কি না, প্রত্যেকের ক্ষেত্রে পৃথক তথ্যও নেই কোনো সংস্থার কাছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দুই বছর আগে অপরাধী বিদেশি নাগরিকদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অভিযান শুরু করে। ওই সময় প্রায় ৫০০ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ১৪৭টি বাসার মালিককে নোটিশ করা হয়। ওই তালিকা নিয়েই অভিযান হয়েছিল। কয়েক মাস আগে করা তালিকায় এসেছে নতুন বাড়ির ঠিকানা। এতে আছে অন্তত ২০০ বাড়ির মালিকের নাম। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমণ্ডি, উত্তরা, নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত ও বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস চালাচ্ছে অবৈধ বিদেশি নাগরিকরা।

এদিকে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ ও যথাযথ তদারকির জন্য ‘বিদেশি নাগরিক নিবন্ধন আইন ২০১৫’ বিল সংসদে পেশ করা হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এই আইন বাস্তবায়ন ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ডাটা আপডেট করা হলে সব বিদেশিই নজরদারিতে চলে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো নজির : ‘ডিয়ার কাস্টমার, কনগ্রাচুলেশনস। ইউর মোবাইল নাম্বার ওন ফাইভ লাখ পাউন্ড অ্যান্ড ৫১ ইঞ্চি এলইডি টিভি ফ্রম স্যামসং লটারি, টু ক্লেইম সেন্ট ইউর নেইম, সেক্স, এজ, মোবাইল নাম্বার অ্যান্ড এড্রেস টু…। ’ নাদিয়া রহমান নামে এক গৃহিণীর মোবাইল ফোনে এমন মেসেজ দিয়ে বলা হয়, তাঁর নামে পুরস্কারের একটি পার্সেল এসেছে শাহজালাল বিমানবন্দরে। বিকাশে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কাস্টমসের কাছ থেকে পার্সেলটি নিতে হয়। নাদিয়া টাকা পাঠিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ পরই ফোন নম্বরটি বন্ধ পান। তিনি বিমানবন্দরে গিয়ে দেখেন, তাঁর নামে কোনো পার্সেলই আসেনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১৩ নভেম্বর উত্তরা থেকে কেলচি প্রিন্স জন, নিকেম স্যামুয়েল আজুইকি ও ডেনিস ওসিউডিরি চিফ নামে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ওই চক্রটি গার্মেন্ট ব্যবসা এবং ফুটবল খেলার কথা বলে এ দেশে এসে প্রতারণা শুরু করে।

গত বছরই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে ধরা পড়া মোহাম্মদ আউয়ালু আদামুু, ওবায়দুবাহিমেন, ওলোনোফেমি ডানিয়েল, আদামু জানিয়েছিলেন লটারির নামে তাঁরা প্রতারণা চালিয়ে থাকেন। এ ছাড়া নিকেতন থেকে তিন নাইজেরিয়ান ইজুচিউ ফ্রাংকিন, অবি হেছি, ইক ফ্লিস্ক এবং তাদের সহযোগী মোহাম্মদ আলী ও মঞ্জুর মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গার্মেন্ট ব্যবসার আড়ালে বাংলাদেশে অবস্থান করে প্রতারণা করে যাচ্ছিল এই তিন নাইজেরিয়ান। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্রিটিশ নাগরিক ডেসমন্ড বি সামুয়েল পরিচয়ে প্রতারণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৩:০৩   ৬২৩ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #